আসসালামু আলাইকুম।
একজন বোনের তরফ থেকে প্রশ্ন
১.তালাক সংক্রান্ত সমস্যার জন্য হুজুর দের সাথে স্ত্রীর বেশি কথাবার্তা হয়ে যাচ্ছিলো।এতে স্বামী নারাজ হয়ে বলেছে," যদি তুমি হুজুরদের সাথে কথা বলো অথবা ফতোয়া নাও তাহলে আমি তোমাকে তিন তালাক দিবো(এখানে সরাসরি ফোনকল / মেসেজের মাধ্যমে ফতোয়া নেয়া বুঝাইসেন স্বামী)। "
২.এই কথার পরের দিন স্বামী বলেছে," আমি তোমাকে কোনো তালাক দেই ও নি আর দিবো ও না"।আর ও বলেছেন," আমি যদি আগের দিনের[১.নম্বর শর্তটি] শর্ত উঠায় না নেই আর তুমি যদি কথা বলো তাহলে হবে।( এখানে হবে দিয়ে তালাকের কথা বুঝাইসে.কিন্তু এই হবে দিয়ে তালাক হবে বুঝাইসে নাকি তালাক দিবো বুঝাইসে সেটা শিওর না।)
এই কথার একটু পরেই স্বামী বলেছে, "আমি তোমাকে কোনো শর্ত দেই ও নাই আর দিলে ও উঠায় নিসি।"
আমার প্রশ্ন হলো ২ নং শর্ত টা কি আর কার্যকর হবে যদি স্ত্রী অন্য বিষয়ে মাসা'আলার জন্য হুজুরের সাথে কথা বলে?কেননা স্বামী বলসে যে হুজুরের সাথে কথা বলা সংক্রান্ত ১নং শর্তটি যদি তিনি উঠায় না নেন আর স্ত্রী কথা বলে তাহলে কার্যকর হবে / দিবেন।পরে তো তিনি ১ নং শর্ত টি উঠায় নিসেন।
৩.এর পরের দিন আবার বলসেন, "তুমি যদি সরাসরি হুজুরের সাথে কথা বলতা তাহলে সত্যি তালাক দিতাম।"এই কথা বলার জন্য কি স্ত্রী ভবিষ্যতে ও মাস'আলা জানার জন্য সরাসরি কোনো হুজুরের সাথে কথা বলতে পারবে না?
পরবর্তীতে স্বামী সব রকমের শর্ত উঠায় নিসেন বলেছেন আর বলেছেন উনার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে হুজুরের সাথে সরাসরি কথা বলা যাবে। এক্ষেত্রে স্ত্রী যদি স্বামী থেকে অনুমতি নিয়ে হুজুরের সাথে ভবিষ্যতে সরাসরি কথা বলে তাহলে কি তালাক কার্যকর হতে পারে?