ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তালাক প্রদান করা সম্পূর্ণ স্বামীর অধীকার।হ্যা শরীয়ত কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রীকে নিজের উপর তালাক প্রদানের অনুমোদন দিয়েছে। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/4506
স্বামী তার স্ত্রীকে তালাকের অধিকার না দিলে স্ত্রী কখনো নিজের উপর তালাক নিতে পারবে না। তাছাড়া স্বামীর অগোচরে কাজী কাবিননামায় স্ত্রীকে তালাকের অধিকার দিলেও স্ত্রী তালাকের অধিকারপ্রাপ্ত হবে না।
তথা আল্লাহর আদালতে স্ত্রী তালাকের কোনো অধিকার পাবে না। তবে কাযাআতান তথা দুনিয়ার সাধারণ নিয়ম হিসেবে তথা স্ত্রী যদি কখনো কোর্টে তালাকের অধিকার নিয়ে মামলা দায়ের করে, তাহলে কাযী বা বিচারক স্ত্রীকে তালাকের অধিকারীনী বলে সিদ্ধান্ত দিবেন।কেননা যেভাবেই হোক কাবিনননামায় তো তালাকের অধিকার দেয়া হয়েছে,এবং স্বামীর স্বাক্ষরও তাতে রয়েছে।
كُلُّ كِتَابٍ لَمْ يَكْتُبْهُ بِخَطِّهِ وَلَمْ يُمِلَّهُ بِنَفْسِهِ لَا يَقَعُ بِهِ الطَّلَاقُ إذَا لَمْ يُقِرَّ أَنَّهُ كِتَابُهُ كَذَا فِي الْمُحِيطِ (الفتاوى الهندية،1/379, المحيط البرهانى،-4/486، تاتارخانية، -3/380)
ভাবার্থ- প্রত্যেক ঐ তালাকনামা যা স্বামী লিখেনি,স্বামী অস্বীকার করলে কোনো তালাকই পতিত হবে না।
স্বামীর স্বতঃস্ফূর্ত অনুমোদন ব্যতিত স্ত্রী কখনো তালাকের অধিকার পাবে না। স্বামীকে সরাসরি জিজ্ঞাসা না করে কাজী নিজ পক্ষ্য থেকে যদি ১৮ নং কলামে স্ত্রীকে অধিকার দিয়ে দেয়, তাহলে স্ত্রী তালাকের অধিকার পাবে না। এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/52353
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এই বোন যে তালাকের নোটিশ প্রেরণ করলেন? কি মর্মে প্রেরণ করলেন? উনার কি তালাকের অধিকার ছিলো? যদি তালাকের অধিকার থাকে, এবং নিজের উপর তালাক নিয়ে থাকেন, তাহলে তালাক পতিত হয়েছে। এক তালাক বা দুই তালাক নিলে, তারা আবার সংসার করতে পারবে, তিন তালাক নিলে আর সংসার করতে পারবে না। আর তালাকের অধিকার না থাকলে কোনো তালাকই পতিত হয়নি।