আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
64 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (82 points)
edited by
১।আসালামুআলাইকুম ওরাহমাতুল্লাহ।

কোন মেয়ে ধরেন মেসেজে কবুল বলেছে।সেটা তহ বিয়ে হয় নি।তহ এর পর স্বামী তালাক দিলেও তহ তালাক হবে না।তখন কোন একটা কাজ করার কারনে বিয়ের আগে বলেছিল ধরেন তালাক বলেছিল।তহ সেটা হয়ত স্বামী বিয়ে হয়েছে মনে করে বলেছিল সেটা কি তালাক হবে?

২।তখন কোন শর্ত যুক্ত তালাক দিছিল কিনাও মনে নেই স্ত্রীর।তহ তখন সেই মুহুর্তে মেসেজে কথা হচ্ছিল। তখন কেনায়া তালাকের ব্যাপারেও কেও জানত না।স্ত্রীও তখন তালাক চায় নি।বিয়ের আগে আর কি।তখন স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া শর্ত যুক্ত কেনায়া শব্দ বলে যা বিয়ের পর পতিত হতে পারে এমন। কিন্তুু তালাকের নিয়তে না এমনিতে ধমকের সূরে।তালাক ওটা,দেওয়ার পর।তাহলে কি তালাক হবে? শুনেছি মেসেজে স্ত্রী তালাক না চায়লে আলোচনা হলেও এরপর নিয়ত ছাড়া স্বামী কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় না।

৩।শুনেছি মেসেজে স্ত্রী তালাক না চায়লে আলোচনা হলেও এরপর নিয়ত ছাড়া স্বামী কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় না।এটা কি সত্য?

৪।মেসেজে ধরেন স্বামী বলতেছিল তালাক দিবে কিন্তুু স্ত্রী চায় নি।তহ এরপর স্বামী যদি নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বলে তাহলে কি তালাক হবে?

৫।শুনেছি মেসেজে স্ত্রী তালাক না চায়লে তালাকের আলোচনা হলেও  স্বামী নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে তালাক হয় না।তহ এটা  মেসেজে বা ভিড়িও কল দিয়ে মেসেজে কথা বলার সময় বা ফোনে এমনিতে কথা বলার সময় ও কি একই ফতোয়া?

৬।আপনি বলেছিলেন স্ত্রী মেসেজে তালাক চাওয়ার পর পর স্বামী কেনায়া শব্দ না বললে বা ২-৩ টা মেসেজের পর নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হয় না।আবার স্ত্রী মেসেজে তালাক চেয়েছে এর পর স্বামী দিব বলেছে বা কিছু বলে নি।পর পর স্ত্রী আবার বলেছে ধরেন মা বাবার কথা মত বিয়ে করলে অনেক ভাল হত।তহ এরপর নিয়ত ছাড়া কেনায়া শব্দ বললে তালাক হবে না বলেছিলেন মানে তালাক চাওয়ার উত্তরে বলে নি বরং মা বাবার বিষয়ে কথাটা বলার পর নিয়ত ছাড়া বললে তালাক হবে না বলেছিলেন।এই বিষয় গুলো কি সবার জন্য একই?মানে যাদের সাথে এমন হবে তাদের জন্য?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে। যথা-
বর ও কনেকে কিংবা তাদের প্রতিনিধিকে ইজাব তথা প্রস্তাবনা ও কবুল বলতে হয়।

উক্ত ইজাব ও কবুলটি বলতে হয় দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ক মসলিম পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলার সামনে।

قوله صلى الله عليه وسلم : ( لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل ) رواه البيهقي من حديث عمران وعائشة ، وصححه الألباني في صحيح الجامع (7557) 
বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। রাসুলুল্লাহ  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮)]।

 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী- “তোমরা বিয়ের বিষয়টি ঘোষণা কর।”[মুসনাদে আহমাদ এবং সহীহ জামে গ্রন্থে হাদিসটিকে ‘হাসান’ বলা হয়েছে (১০৭২)]
۔
ইজাব ও কবুলটি উভয় সাক্ষ্যি স্বকর্ণে শুনতে হবে।

উক্ত তিনটির কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে ইসলামী শরীয়তে বিবাহ শুদ্ধ হয় না।

উপরোক্ত তিনটি শর্ত  পাওয়া গেলে বিবাহ হবে,অন্যথায় বিবাহ হবেনা।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,    
বিবাহ সহীহ হওয়ার জন্য শর্ত হল দু’জন আযাদ প্রাপ্ত বয়স্ক বিবেকবান দুই জন মুসলিম স্বাক্ষের সামনে পাত্র/পাত্রি প্রস্তাব দিবে আর অপরপক্ষে পাত্র/পাত্রি তা কবুল করবে। আর সাক্ষিগণ উভয়ের কথা সুষ্পষ্টভাবে শুনবে। আর শরয়ী এ শর্তাবলী পরিপূর্ণভাবে টেলিফোনে পাওয়া সম্ভব নয়। তাই টেলিফোন বা মোবাইলে বিবাহ করা জায়েজ নয়। {ফাতওয়ায় উসমানী-২/৩০৪,৩০৫}

বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
(০১)
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু বিবাহই শুদ্ধ হয়নি,তাই তালাকের কোনো প্রশ্নই উঠেনা। 

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ হয়েছে ধরে স্বামী যেটি বলেছিলো,এর দরুন তালাক হবেনা।

(০২)
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো শর্তযুক্ত তালাকও পতিত হবেনা। 

(০৩)
স্বামী যদি তালাকের ব্যাপারে ধমক দেয়,সেক্ষেত্রে সেটিও তালাকের মজলিস হয়ে যায়।
বিধায় সেক্ষেত্রে তালাকের কিছু কেনায়া শব্দ নিয়ত ছাড়া বললেও তালাক হবে।

(০৪)
এক্ষেত্রে কোনো কেনায়া বাক্য বলেছে,সেটি কমেন্টে উল্লেখ করুন।

(বিশেষ কিছু বাক্য আছে,যাহা বললে এক্ষেত্রে তালাক হবে। কেননা এটি তালাকেরই মজলিস ছিলো।)

(০৫)
তিন নং জবাব দ্রষ্টব্য।
এই ফতোয়া ভিডিও কল ও সামনা-সামনির ক্ষেত্রেও একরকম হবে।

(০৬)
হ্যাঁ, মাসয়ালাটি সকলের জন্যই একই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...