জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
কাছাকাছি মাখরাজ হওয়ায় অনেকে বলেন যে এতে সমস্যা নেই।
সালামের উদ্দেশ্য হাসিল হয়ে যাবে।
(০২)
এক্ষেত্রে অর্থ পরিবর্তিত হয়ে যাচ্ছেনা।
কেউ চাইলে এভাবেও উত্তর দিতে পারবে।
তবে এটি ব্যাকরণ গত ঠিক নয়।
(০৩)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে কথা দিয়ে কথা না রাখার মতো হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং এক্ষেত্রে আগেরজনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে নিবেন। তাহলে আর কোনো সমস্যা থাকবেনা।
(০৪)
আপনি মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ সহ হাদীসের কিতাবের জান্নাত জাহান্নাম এর অধ্যায় পড়তে পারেন,হক্কানী শায়েখদের নিকটে যেতে পারে,তাদের বয়ান শুনতে পারেন,বিশেষ করে তাদের জান্নাত জাহান্নামের বয়ান শুনতে পারেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতের সাথে যুক্ত হতে পারেন, আকীদার জন্য "ইসলামী আকীদা ও ভ্রান্ত মতবাদ" বইটি পড়তে পারেন।
(০৫)
গুনাহ থেকে বাঁচতে নিম্নোক্ত দুয়া নিয়মিত পড়বেন।
اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْكَسَلِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কাসালি ওয়াল মা-ছামি, ওয়াল মাগরামি। অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই অলসতা, গুনাহ ও ঋণ থেকে।
اللَّهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ الْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল মা-ছামি, ওয়াল মাগরামি।
অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই গুনাহ ও ঋণ থেকে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ فِتْنَةِ النَّارِ وَعَذَابِ النَّارِ وَفِتْنَةِ الْقَبْرِ وَعَذَابِ الْقَبْرِ وَشَرِّ فِتْنَةِ الْغِنَى وَشَرِّ فِتْنَةِ الْفَقْرِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ فِتْنَةِ الْمَسِيحِ الدَّجَّالِ - اللَّهُمَّ اغْسِلْ قَلْبِي بِمَاءِ الثَّلْجِ وَالْبَرَدِ وَنَقِّ قَلْبِي مِنَ الْخَطَايَا كَمَا نَقَّيْتَ الثَّوْبَ الْأَبْيَضَ مِنْ الدَّنَسِ وَبَاعِدْ بَيْنِي وَبَيْنَ خَطَايَايَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ - اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكَسَلِ وَالْمَأْثَمِ وَالْمَغْرَمِ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি, জাহান্নামের ফিতনা ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে। কবরের ফিতনা ও কবরের ‘আজাব থেকে। আশ্রয় চাচ্ছি, সম্পদের ফিতনা ও দারিদ্রের ফিতনার ক্ষতি থেকে। হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি মাসিহিদ দাজ্জালের অনিষ্ট থেকে।
হে আল্লাহ! আমার অন্তরকে বরফ ও ঠান্ডা পানি দিয়ে ধৌত করে দাও। আমার অন্তরকে গুনাহ থেকে পরিষ্কার করে দাও। যেমন সাদা কাপড়কে ময়লা থেকে তুমি পরিষ্কার করে থাকো। হে আল্লাহ! থেকে পূর্ব থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত তুমি যে বিশাল দূরত্ব সৃষ্টি করেছ আমার আমলনামা থেকে আমার গুনাহগুলো ততটুকু দূরে সরিয়ে দাও। হে আল্লাহ! আমার অলসতা, গুনাহ ও ঋণ থেকে আমি তোমার নিকট আশ্রয় চাই। (বুখারি ও মুসলিম)
(০৬)
এ সংক্রান্ত জানুনঃ-
(০৭)
যেই বিষয় নিয়ে ওয়াসওয়াসা হচ্ছে,সেই বিষয়কে আপনি বিন্দুমাত্র পাত্তা দিবেননা।
(০৮)
নামাজের প্রথম সিজদায় ৩ বার সিজদার তাসবীহ পড়ে, পরের সিজদায় ৫ বার সিজদার তাসবীহ পড়লে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা।
(০৯)
এক্ষেত্রে আগে আসরের নামাজের কাজা আদায় করবেন।
তবে আপনার জীবনে যদি বালেগ হওয়ার পর ৬ ওয়াক্তের বেশি নামাজ কাজা থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত আসরের নামাজের কাজা আপনি চাইলে মাগরিবের পর আদায় করতে পারেন।
এক্ষেত্রে মাগরিবের আগে আসরের কাজা আদায় করা আপনার জন্য আবশ্যক নয়।
হ্যাঁ যদি বালেগ হওয়ার পর আপনার জিম্মায় ৬ ওয়াক্তের বেশি নামাজ কাজা না থাকে,সেক্ষেত্রে উক্ত আসরের নামাজের কাজা মাগরিবের আদায় করা আপনার উপর আবশ্যক।
(১০)
আপনি নামাজ চালিয়ে যাবেন।
এক্ষেত্রে নিষিদ্ধ সময়ে নামাজ হলেও সেদিনের আছরের নামাজ হওয়ায় আপনার উক্ত আছর নামাজ আদায় হয়ে যাবে।
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা)
আরো জানুনঃ-