বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আল্লাহ তা'আলা জান্নাত ও জান্নাতি রমণীদের আলোচনা করতে যেয়ে বলেন,
فِيهِمَا عَيْنَانِ تَجْرِيَانِ
উভয় উদ্যানে আছে বহমান দুই প্রস্রবন।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
فِيهِمَا مِن كُلِّ فَاكِهَةٍ زَوْجَانِ
উভয়ের মধ্যে প্রত্যেক ফল বিভিন্ন রকমের হবে।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
مُتَّكِئِينَ عَلَى فُرُشٍ بَطَائِنُهَا مِنْ إِسْتَبْرَقٍ وَجَنَى الْجَنَّتَيْنِ دَانٍ
তারা তথায় রেশমের আস্তরবিশিষ্ট বিছানায় হেলান দিয়ে বসবে। উভয় উদ্যানের ফল তাদের নিকট ঝুলবে।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
فِيهِنَّ قَاصِرَاتُ الطَّرْفِ لَمْ يَطْمِثْهُنَّ إِنسٌ قَبْلَهُمْ وَلَا جَانٌّ
তথায় থাকবে আনতনয়ন রমনীগন, কোন জিন ও মানব পূর্বে যাদের ব্যবহার করেনি।
فَبِأَيِّ آلَاء رَبِّكُمَا تُكَذِّبَانِ
অতএব, তোমরা উভয়ে তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?
كَأَنَّهُنَّ الْيَاقُوتُ وَالْمَرْجَانُ
প্রবাল ও পদ্মরাগ সদৃশ রমণীগণ।(সূরা আর-রাহমান-৫০-৫৭)
এখানে মাফহুমে মুখালিফ ধর্তব্য বা গ্রহণযোগ্য। মাফহুমে মুখালিফের অর্থ হল,
যেহেতু জান্নাতি রমণীদেরকে জান্নিতের পূর্বে কোনো মানুষ ও জ্বীন স্পর্শ করতে পারবে না।তাই বুঝা গেল যে,দুনিয়ার রমণীদের স্বামীদের পূর্বে মানুষ ও জ্বীন স্পর্শ করতে পারে।জান্নাতে স্বামীর পূর্বে অন্য কারো স্পর্শ করা অসম্ভব তবে দুনিয়ার রমণীদের স্পর্শ করা সম্ভব। এই সম্ভাবনার অর্থটি মাফহুমে মুখালিফ থেকেই বুঝা যাচ্ছে।