আসসালামু 'আলাইকুম,
১.কেউ যদি আমার হক্ক নষ্ট করে বা আমার আমানত এর খেয়ানত করে, আর তা যদি আমি অন্যের সামনে প্রকাশ করি, অন্যকে তার খেয়ানত এর ব্যাপারে জানিয়ে দেই, তাহলে কি সেটা গীবত??
২. ছাত্রীনিবাসে থাকতে হয়, বয়সে বড় আপুরা অনেক সময় বাজে আচরণ করে। অকারণে কোনো কারণ ছাড়া ও অনেক সময় ভুল বের করে আর তার জন্য পাকড়াও করে, এভাবে প্রতি পদে পাকড়াও করলে সত্যি স্বাভাবিক ভাবে সার্ভাইভ করা দুষ্কর। আমি বেশিরভাগ সময় চুপ থাকি, এবং এগুলো নিয়ে কারুর সাথে আলোচনা করি না গীবত হবার ভয়ে। কিন্তু একদিন আমার সহ্য এর সীমা অতিক্রান্ত হয়, এবং আমি আমার রাগ সংবরণ করতে না পেরে অন্য একজনের সামনে তার নাম উল্লেখ না করেই বলে ফেলি যে, " অনেকে ছাত্রীনিবাসে বাসার মতো থাকতে চায়, তারা চায় বাসায় যেভাবে সুবিধা পায়, এখানেও সেসব পাবে, কিন্তু আদৌ সেটা সম্ভব নয়, আমার এখানকার সবাই কে পাগল মনে হয়, কারণ এটা বাসা নয়, এখানে সব পারফেক্ট হবে না "। উল্লেখ্য যে, তখন ওই আপু উপস্থিত ছিলেন না, আমিও ওনার নাম উল্লেখ না করেই রেগে গিয়ে এভাবে বলেছি, এটা কি গীবত হয়েছে??
৩. অনেকে দীনে ফেরার আগে অনেকের হক নষ্ট করে থাকে, টাকা পয়সার হিসেব নাহয় মিটিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু ধরুন কারুর যদি ২১ বছর বয়সে হেদায়েত আসে, তারপর থেকে সে আল্লাহর বিধি নিষেধ অনুযায়ী জীবন সাজায়, এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করে। তার আগের ২০ বছরের জীবনে হয়তো সে অনেক কে কষ্ট দিয়েছে, হয়তো অনেকের নাম গীবত করেছে, হয়ত কাউকে ঠকিয়েছে কিংবা ওজনে কম দিয়েছে, মোট কথা সে বান্দার হক নষ্ট করেছে, বুঝ আসার পর, এগুলোর কাফফারা সে কিভাবে দেবে। তার হয়তো মনেও নেই সে কার কার সাথে অন্যায় করেছে এবং কার কার হক মেরেছে। আল্লাহ তো বান্দার হক এর ব্যাপারে কঠোর থাকবেন। এ ক্ষেত্রে কিভাবে সে পূর্বের ভুলের জন্য কাফফারা দেবে?