আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
49 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
আসসালামু 'আলাইকুম,

১.কেউ যদি আমার হক্ক নষ্ট করে বা আমার আমানত এর খেয়ানত করে, আর তা যদি আমি অন্যের সামনে প্রকাশ করি, অন্যকে তার খেয়ানত এর ব্যাপারে জানিয়ে দেই, তাহলে কি সেটা গীবত??

২. ছাত্রীনিবাসে থাকতে হয়, বয়সে বড় আপুরা অনেক সময় বাজে আচরণ করে। অকারণে কোনো কারণ ছাড়া ও অনেক সময় ভুল বের করে আর তার জন্য পাকড়াও করে, এভাবে প্রতি পদে পাকড়াও করলে সত্যি স্বাভাবিক ভাবে সার্ভাইভ করা দুষ্কর। আমি বেশিরভাগ সময় চুপ থাকি, এবং এগুলো নিয়ে কারুর সাথে আলোচনা করি না গীবত হবার ভয়ে। কিন্তু একদিন আমার সহ্য এর সীমা অতিক্রান্ত হয়, এবং আমি আমার রাগ সংবরণ করতে না পেরে অন্য একজনের সামনে তার নাম উল্লেখ না করেই বলে ফেলি যে, " অনেকে ছাত্রীনিবাসে বাসার মতো থাকতে চায়, তারা চায় বাসায় যেভাবে সুবিধা পায়, এখানেও সেসব পাবে, কিন্তু আদৌ সেটা সম্ভব নয়, আমার এখানকার সবাই কে পাগল মনে হয়, কারণ এটা বাসা নয়, এখানে সব পারফেক্ট হবে না "। উল্লেখ্য যে, তখন ওই আপু উপস্থিত ছিলেন না, আমিও ওনার নাম উল্লেখ না করেই রেগে গিয়ে এভাবে বলেছি, এটা কি গীবত হয়েছে??


৩. অনেকে দীনে ফেরার আগে অনেকের হক নষ্ট করে থাকে, টাকা পয়সার হিসেব নাহয় মিটিয়ে দেয়া যায়। কিন্তু ধরুন কারুর যদি ২১ বছর বয়সে হেদায়েত আসে, তারপর থেকে সে আল্লাহর বিধি নিষেধ অনুযায়ী জীবন সাজায়, এবং সে অনুযায়ী চেষ্টা করে। তার আগের ২০ বছরের জীবনে হয়তো সে অনেক কে কষ্ট দিয়েছে, হয়তো অনেকের নাম গীবত করেছে, হয়ত কাউকে ঠকিয়েছে কিংবা ওজনে কম দিয়েছে, মোট কথা সে বান্দার হক নষ্ট করেছে, বুঝ আসার পর, এগুলোর কাফফারা সে কিভাবে দেবে। তার হয়তো মনেও নেই সে কার কার সাথে অন্যায় করেছে এবং কার কার হক মেরেছে। আল্লাহ তো বান্দার হক এর ব্যাপারে কঠোর থাকবেন। এ ক্ষেত্রে কিভাবে সে পূর্বের ভুলের জন্য কাফফারা দেবে?

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অন্যর মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত কারো জন্য হালাল হয় না। কেননা আল্লাহ তা'আলা বলেনঃ
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍْ ﻻَ ﺗَﺄْﻛُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻣْﻮَﺍﻟَﻜُﻢْ ﺑَﻴْﻨَﻜُﻢْ ﺑِﺎﻟْﺒَﺎﻃِﻞِ ﺇِﻻَّ ﺃَﻥ ﺗَﻜُﻮﻥَ ﺗِﺠَﺎﺭَﺓً ﻋَﻦ ﺗَﺮَﺍﺽٍ ﻣِّﻨﻜُﻢْ ﻭَﻻَ ﺗَﻘْﺘُﻠُﻮﺍْ ﺃَﻧﻔُﺴَﻜُﻢْ ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠّﻪَ ﻛَﺎﻥَ ﺑِﻜُﻢْ ﺭَﺣِﻴﻤًﺎ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা একে অপরের সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করো না। কেবলমাত্র তোমাদের পরস্পরের সম্মতিক্রমে যে ব্যবসা করা হয় তা বৈধ। আর তোমরা নিজেদের কাউকে হত্যা করো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা’আলা তোমাদের প্রতি দয়ালু। (সূরা নিসা(২৯)

এবং হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত,
عن ابن عباس قال;قال رسول اللّٰه صلى اللّٰه عليه و سلم ﻻ ﻳﺤﻞ ﻣﺎﻝ ﺍﻣﺮﺉ ﻣﺴﻠﻢ ﺇﻻ ﺑﻄﻴﺐ ﻧﻔﺲ ﻣﻨﻪ " 
নবী কারীম সাঃ বলেনঃ"কোন মুসলমানের জন্য  অন্য কোনো মুসলমানের মাল তার অন্তরের সন্তুষ্টি ব্যতীত হালাল হবে না। (তালখিসুল হাবীর-১২৪৯)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
এটা গীবত হবে না।  এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1715

(২) এটাও গীবত হবে না।

(৩) যাদের হক নষ্ট করা হয়েছে, সেই হক পরিশোধ করা সম্ভবপর হলে, হক পরিশোধ করতে হবে। যদি সম্ভবপর না হয়, তাহলে হয়তো দাতের কাছেই ক্ষমা চাইতে হবে।যদি তাদেরকে খুজে না পাওয়া যায়, তাহলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...