ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
https://ifatwa.info/13274/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ
শরীয়তের বিধান
অনুযায়ী পরিপূর্ণ পর্দা করা ফরজ।
মহান আল্লাহ
তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
قُلْ
لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ
أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠]
وَقُلْ
لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا
يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ
عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ
آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ
بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ
أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ
أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا
عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا
يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ
الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١]
মুমিনদেরকে
বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি
নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা
যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে
বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে
নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান,
তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না
বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা,
শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র,
ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র,
স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ,
ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ,
তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ,
তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা
সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
يَا
نِسَاءَ النَّبِيِّ لَسْتُنَّ كَأَحَدٍ مِنَ النِّسَاءِ إِنِ اتَّقَيْتُنَّ فَلَا
تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ وَقُلْنَ قَوْلًا
مَعْرُوفًا (32) وَقَرْنَ فِي بُيُوتِكُنَّ وَلَا تَبَرَّجْنَ تَبَرُّجَ
الْجَاهِلِيَّةِ الْأُولَى
হে নবীর স্ত্রীগণ!
তোমরা অন্য নারীদের মত নও [ইহুদী খৃষ্টান)। তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় পাও তবে আকর্ষণধর্মী
ভঙ্গিতে কথা বলনা, যাতে
যাদের মাঝে যৌনলিপ্সা আছে তারা তোমাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়। বরং তোমরা স্বাভাবিক কথা বল।
এবং তোমরা অবস্থান কর স্বীয় বসবাসের গৃহে, জাহেলী যুগের মেয়েদের
মত নিজেদের প্রকাশ করো না। {সূরা আহযাব-৩২}
وَإِذَا
سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَاعًا فَاسْأَلُوهُنَّ مِنْ وَرَاءِ حِجَابٍ ذَلِكُمْ
أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّ
অর্থ : আর
তোমরা তাঁর (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর স্ত্রীগণের কাছে কিছু
চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্য এবং তাঁদের অন্তরের জন্য অধিকতর
পবিত্রতার কারণ। {সূরা আহযাব-৫৩}
★সুতরাং যৌথ পরিবারেও মহিলাদের পূর্ণ পর্দা করতে হবে। এক্ষেত্রে
সবসময় বোরখা পড়া জরুরি নয়, প্রয়োজনীয়
কাজ নিজ ঘরেই সাড়বে, গায়রে মাহরামদের সামনে যেতে হলে পূর্ণ শরীর
চেহারা সহ যেকোনো কাপড়/পোশাক দিয়ে ঢেকে যেতে হবে। শরীরের কোনো
অংশ যেনো প্রকাশ না পায়, এদিকে
পূর্ণ খেয়াল রাখতে হবে।
গায়রে মাহরাম
পুরুষদের সাথে বিনা প্রয়োজনে কথা বলবেনা, প্রয়োজন বশত কথা বলতে হলে কণ্ঠ নরম না করে কথা বলবে।
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/9650/
প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
স্বামীর উপর ওয়াজিব যে সে পর্দা সম্মত থাকার ব্যবস্থা করবে। পর্দা সম্মত থাকার ব্যবস্থা না করার জন্য সে অবশ্যই গোনাহগার হবে। প্রশ্নে উল্লেখিত
ছুরতে আপনি বাহিরে কাজ করার সময় চেহারা ঢেকে কাজ করবেন।
প্রয়োজনে একটি বড় হিজাব বানিয়ে নিবেন,
যেটি দ্বারা চেহারা ঢাকার পাশাপাশি
হাত সহ ঢাকা যায় এবং অনেক বড়।
আপনি হিকমতের
সাথে এভাবে পর্দা করে কাজ করবেন,গায়রে মাহরাম সাথে এভাবে চেহারা ঢেকে কথা বলবেন। অপ্রয়োজনীয় কথা থেকে বিরত
থাকবেন। আল্লাহ তায়ালার কাছে দোয়া অব্যাহত রাখবেন। আস্তে-ধীরে স্বামীকে বুঝিয়ে পূর্ণ পর্দার
পরিবেশ পরিবারের আনার চেষ্টা করবেন। স্বামীকে স্থানীয় কোন আলেমের সোহবতে যাওয়ার
জন্য ফিকির ও চেষ্টা করবেন।
প্রিয় বোন,
আল্লাহ তায়ালা আপনার এ কষ্টের উত্তম
জাযা দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
যৌথ পরিবারে বসবাস সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন: https://www.ifatwa.info/430