অন্যকে ক্ষমা করার দ্বারা নিজের পাপ মোচন হয়।
মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন,
وَ اِنۡ تَعۡفُوۡا وَ تَصۡفَحُوۡا وَ تَغۡفِرُوۡا فَاِنَّ اللّٰہَ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۱۴﴾
‘আর যদি তোমরা তাদের মার্জনা করো, দোষ-ত্রুটি উপেক্ষা করো এবং ক্ষমা করো, তাহলে নিশ্চয়ই আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।’ (সুরা : তাগাবুন, আয়াত : ১৪)
আল্লাহ তাআলা আরো বলেন,
وَ لَا یَاۡتَلِ اُولُوا الۡفَضۡلِ مِنۡکُمۡ وَ السَّعَۃِ اَنۡ یُّؤۡتُوۡۤا اُولِی الۡقُرۡبٰی وَ الۡمَسٰکِیۡنَ وَ الۡمُہٰجِرِیۡنَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰہِ ۪ۖ وَ لۡیَعۡفُوۡا وَ لۡیَصۡفَحُوۡا ؕ اَلَا تُحِبُّوۡنَ اَنۡ یَّغۡفِرَ اللّٰہُ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ ﴿۲۲﴾
‘তোমাদের মধ্যে যারা ঐশ্বর্য ও প্রাচুর্যের অধিকারী, তারা যেন এমন শপথ না করে যে তারা আত্মীয়-স্বজনকে, অভাবগ্রস্তদের এবং আল্লাহর পথে যারা গৃহত্যাগ করেছে, তাদের কিছুই দেবে না। তারা যেন তাদের মার্জনা করে ও দোষ-ত্রুটি এড়িয়ে যায়।
তোমরা কি চাও না যে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করেন? বস্তুত আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াবান।’ (সুরা : নূর, আয়াত : ২২)
ক্ষমাকারী ব্যক্তি মহান আল্লাহর অফুরন্ত ক্ষমা লাভে ধন্য হয়। যে অন্যকে ক্ষমা করে সে মহান আল্লাহ ও মানুষের ভালোবাসা পায়।
পবিত্র কোরআনে এসেছে,
اِنۡ تُبۡدُوۡا خَیۡرًا اَوۡ تُخۡفُوۡہُ اَوۡ تَعۡفُوۡا عَنۡ سُوۡٓءٍ فَاِنَّ اللّٰہَ کَانَ عَفُوًّا قَدِیۡرًا ﴿۱۴۹﴾
‘যদি তোমরা কোনো সৎকর্ম প্রকাশ করো বা গোপন করো কিংবা কোনো অপরাধ মার্জনা করো, তাহলে আল্লাহ নিশ্চয়ই মার্জনাকারী ও সর্বশক্তিমান।’ (সুরা : নিসা, আয়াত : ১৪৯)
মানুষের ভুল ক্ষমা করার দ্বারা পরকালে পার যাওয়া যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের ভুল ক্ষমা করবে, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার ভুল ক্ষমা করবেন। (ইবন মাজাহ, হাদিস : ২১৯৯)