আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
61 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম মুহতারাম, ফেসবুকে বিভিন্ন গার্লস গ্রুপে দেখি বিয়ের পরে ননদেরা যদি ঘনঘন বাবার বাড়ি আসে, বেশি দিন থাকে, এটা নিয়ে সবাই খুব অসন্তুষ্ট হয়। আমি জানতে চাচ্ছি এটা কি নাজায়েজ?


বিয়ের পর একটা মেয়ে সর্বোচ্চ কতদিন বাবার বাড়ি থাকতে পারবে এটা নিয়ে কি কোনো দিক নির্দেশনা আছে?


বিয়ের পর কি বাবার বাড়ি পর হয়ে যায় যে বাবার বাড়ির কোনো বিষয়ে চিন্তা করা যাবে না, কথা বলা যাবে না, বা বাবার বাড়ি বেশিদিন থাকা যাবেনা?


এসব বিষয়ে শরীয়তের ক্লিয়ার মাসআলা জানতে চাই।

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

ইসলামের দিক-নিদের্শনা হচ্ছে বিবাহের পরে স্বামীর প্রথম কতর্ব্য হলো স্ত্রীর জন্য এমন একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করা যেখানে স্ত্রী মানুষের দৃষ্টি থেকে নিরাপদ থাকবে। কেননা পর্দা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ বিধান। আর এই বিধান পালন করার জন্য স্বামীর কতর্ব্য স্ত্রীকে সাহায্য করা। সেই সাথে অন্যান্য সকল কষ্ট থেকে স্ত্রীর আরামের ব্যবস্থা করতে হবে। তবে স্ত্রীকে শ্বশুর ও শাশুড়ির সাথেই থাকতে হবে এমন বাধ্যও করা যাবে না। কেননা এমন কোন অধিকার স্বামীর নেই। তবে এই ক্ষেত্রে স্বামী স্ত্রী উভয়কে সামাজিক অবস্থার উপর বিবেচনা করেও কিছু কাজ করতে হবে।

যদি কোন স্বামী তার স্ত্রীকে স্বামীর পরিবারের সাথে অথবা অন্য আত্মীয়ের সাথে থাকার কথা বলে কিন্তু স্ত্রী কারো সাথে থাকার কথা রাজি না হয় তাহলে স্ত্রীকে আলাদা রাখার ব্যবস্থা করা স্বামীর কতর্ব্য। কেননা স্ত্রীর সকল কিছু রক্ষা করা ও নিরাপদে বসবাস করার দায়িত্ব স্বামীর।

হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ عَمْرِو بْنِ الأَحْوَصِ، قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي أَنَّهُ، شَهِدَ حَجَّةَ الْوَدَاعِ مَعَ رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَحَمِدَ اللَّهَ وَأَثْنَى عَلَيْهِ وَذَكَّرَ وَوَعَظَ فَذَكَرَ فِي الْحَدِيثِ قِصَّةً فَقَالَ " أَلاَ وَاسْتَوْصُوا بِالنِّسَاءِ خَيْرًا أَلاَ وَحَقُّهُنَّ عَلَيْكُمْ أَنْ تُحْسِنُوا إِلَيْهِنَّ فِي كِسْوَتِهِنَّ وَطَعَامِهِنَّ " .

 

সুলাইমান ইবনু আমর ইবনুল আহওয়াস (রহঃ) হতে তার পিতার সূত্র থেকে বর্ণিতঃ

বিদায় হজ্জের সময় তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে ছিলেন। তিনি আল্লাহ তা'আলার প্রশংসা ও গুণগান করলেন এবং ওয়াজ-নাসীহাত করলেন। এ হাদীসের মধ্যে বর্ণনাকারী একটি ঘটনা বর্ণনা করে বলেনতিনি (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ স্ত্রীদের সাথে ভালো আচরণের উপদেশ নাও। ... জেনে রাখ! তোমাদের প্রতি তাদের অধিকার এই যেতোমরা তাদের উত্তম পোশাক-পরিচ্ছদ ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা করবে। (সুনানে তিরমিযী ১১৬৩)

 

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াতে রয়েছে-

تجب السكني لها عليه في بيت خال

মর্থার্থ: স্ত্রীর জন্য আলাদা ঘরের ব্যবস্থা করা স্বামীর উপর আবশ্যক। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়াত১/৬০৪)


আরো জানুনঃ 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
সন্তুষ্টি চিত্তে স্বামীর অনুমতিক্রমে স্ত্রীরা যদি আজীবন বাবার বাসায় থাকে,সেক্ষেত্রেও শরীয়াহ দৃষ্টিকোন হতে সমস্যা নেই।
বিষয়টি সম্পূর্ণই স্বামীর ইচ্ছাধীন বিষয়। 

তবে স্বামীর অনুমতি ছাড়া বা তার অবাধ্য হয়ে এভাবে থাকা যাবেনা।
এটা জায়েজ নয়।

এক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর পক্ষ থেকে কোনো প্রকারের ভরনপোষণ এর হকদার থাকবেনা। 

আরো জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
বিয়ের পর কি বাবার বাড়ি পর হয়ে যায় যে বাবার বাড়ির কোনো বিষয়ে চিন্তা করা যাবে না, কথা বলা যাবে না, বা বাবার বাড়ি বেশিদিন থাকা যাবেনা?


কাইন্ডলি এই প্রশ্মটারও উত্তর দিন। স্বামীর অবাধ্য হওয়ার কথা বলিনি। আমি জানতে চাচ্ছি মেয়েরা আজীবন বাবার বাড়ি থাকলেও ভাবি বা অন্য কারো জন্য এটা নিয়ে মনে কষ্ট ধরে রাখা স্বাভাবিক কিনা। 


আমার কোনো প্রশ্নের জবাব ঠিকমত পাইনি
ago by (559,140 points)


বিয়ের পর বাবার বাড়ির কোনো বিষয়ে চিন্তা করা যাবে, কথা বলা যাবে, বা বাবার বাড়ি বেশিদিন থাকাও যাবে।

কোনো সমস্যা নেই।

তবে স্বামীর অনুমতি নিয়ে বাবার বাসায় থাকতে হবে। অনুমতি ছাড়া থাকা যাবেনা।
ago by (559,140 points)
শরীয়তের বিধান হলোঃ-
স্বামীর জন্য জায়েজ নেই,যে সে তার স্ত্রীকে বাবা মার সাথে কথা বলা ও দেখা সাক্ষাৎ হতে নিষেধ করে।

স্ত্রীর জন্য তার বাবা মার সাথে সাক্ষাৎ করার ক্ষেত্রে বিধান হলো,যদি স্ত্রীর বাবা মা তার কাছে আসতে পারে।
তাহলে তারাই এসে দেখা করে যাবে।
আর যদি তাদের আসা অসম্ভব হয়,তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে এক দিন স্ত্রীকে তার বাবা মার সাথে সাক্ষাৎ এর জন্য যেতে দিতে হবে।
আসা যাওয়ার খরচ স্বামী বহন করবে।

যদি দূরে বাড়ি হয়,তাহলে প্রত্যেক সপ্তাহে না পাঠালেও মুনাসিব তথা উপযুক্ত সময় পর সাক্ষাৎ করার জন্য যেতে অনুমতি দিতে হবে।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...