ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/101808/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
পবিত্র কুরআন শরিফে আছেঃ
وَتَعَاوَنُوا
عَلَى الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ
ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের
সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয়
কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা। {সূরা মায়িদা-২}
হাদীস শরীফে এসেছে-
قَالَ
رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: الْمُسْلِمُونَ عَلَى
شُرُوطِهِمْ
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে
বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু
দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}
আরো জানুনঃ https://ifatwa.info/9979/
সরকার বছরের নির্দিষ্ট কিছু দিন
যে সব নদ-নদীতে ইলিশের প্রজনন হয়, সে সব নদ-নদীতে
সর্ব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে থাকে। যেন মা ইলিশ স্বচ্ছন্দে ডিম পড়ার সুযোগ
পায়। জনগণের কল্যাণেই মূলত এই নিষেধাজ্ঞা ৷ ইসলাম মানুষকে নীতি-নৈতিকতা ও শৃঙ্খলা
বোধ শেখায়। সুতরাং বৃহত্তর স্বার্থে জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রণীত সরকারী আইন-কানুন
অনুসরণ করা প্রতিটি নাগরিকের জন্য আবশ্যক। অন্যথায় আইন লঙ্ঘন করার কারণে আল্লাহর
নিকট গুনাহগার হওয়ার পাশাপাশি সরকারী আইনে জেল-জরিমানার সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে।
তবে তার অর্থ এই নয় যে, এ সময় ইলিশ
খাওয়া যাবে না বা ক্রয় করা যাবে না। কেননা হয়ত ব্যবসায়ীগণ অনুমোদিত সময়ে ইলিশ ধরে
ফ্রিজে সংরক্ষণ করেছিল। এখন অতিরিক্ত লাভের আশায় সেগুলো নন মৌসুমে বিক্রয় করছে।
যাহোক, আপনি যদি
নিশ্চিতভাবে জানতে পারেন যে,
মাছ বিক্রেতা চোরাইভাবে নিষিদ্ধ সময়ে মাছ ধরেছে বা জেলেদের
নিকট থেকে মাছ ক্রয় করেছে তাহলে তাদের কাছে তা ক্রয় করা বৈধ নয়। কারণ তা অন্যায়
কাজে সহায়তা করার শামিল। আর ইসলামে অন্যায়, দুর্নীতি ও চোরাকারবারিতে সহায়তা করা হারাম। (সূরা মায়িদা:
২) তবে এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু না জানা গেলে যে কোনও সময় বাজার থেকে ইলিশ
ক্রয় করতে ও খেতে কোন আপত্তি নাই ইনশাআল্লাহ।
★ সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. এই মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে
হবে। এভাবে জেলেদের থেকে আটককৃত মাছ পুলিশদের জন্য খাওয়া জায়েজ হবে না।
২-৩. সরকার বছরের নির্দিষ্ট কিছু
দিন যে সব নদ-নদীতে ইলিশের প্রজনন হয়, সে
সব নদ-নদীতে সর্ব প্রকার মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে থাকে। যেন মা ইলিশ স্বচ্ছন্দে ডিম
পড়ার সুযোগ পায়। জনগণের কল্যাণেই মূলত এই নিষেধাজ্ঞা ৷ ইসলাম মানুষকে নীতি-নৈতিকতা
ও শৃঙ্খলা বোধ শেখায়। সুতরাং বৃহত্তর স্বার্থে জনকল্যাণের উদ্দেশ্যে প্রণীত সরকারী
আইন-কানুন অনুসরণ করা প্রতিটি নাগরিকের জন্য আবশ্যক। অন্যথায় আইন লঙ্ঘন করার কারণে
আল্লাহর নিকট গুনাহগার হওয়ার পাশাপাশি সরকারী আইনে জেল-জরিমানার সম্মুখীন হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে মাছটি খাওয়া
সরাসরি হারাম না। তবে অন্যায় কাজের সহযোগী হওয়াই তা খাওয়া থেকে বেঁচে থাকাই শ্রেয়।