ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম
জবাব:-
যদি ব্যক্তি উক্ত পোষ্টের যোগ্য হয়। আর চাকুরী
নেবার পর দায়িত্বশীলতার সাথেই উক্ত দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে পারে, তাহলে তার চাকুরী নেবার
পদ্ধতিটি অবৈধ হলেও চাকুরীর বেতনকে হারাম বলা যাবে না। বরং হালাল হবে। [কিতাবুন নাওয়াজেল-১২/৫১৪, আহসানুল ফাতওয়া-৮/১৯৮]
قوله تعالى- فَاجْتَنِبُواْ الرِّجْسَ مِنَ
الأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُواْ قَوْلَ الزُّورِ
[الحج-30
তোমরা মুর্তিপূজার নোংরামী থেকে বাঁচো, এবং মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো।
{সূরা হজ্জ্ব-৩০}
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ
اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ
مِنَّا وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا (صحيح مسلم، كتاب الايمان، باب قَوْلِ
النَّبِىِّ – صلى الله تعالى عليه وسلم – « مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا، رقم
الحديث-294)
হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ
করেছেন-যে আমার উম্মতের উপর অস্ত্র উঁচু করে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়, আর যে আমাদের সাথে ধোঁকাবাজী
করে, সেও আমার উম্মতভূক্ত নয়।
{সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৫৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৪১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৮৩৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৭৯৭, মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭২১}
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
এটি ধোকা দেওয়ার শামিল। এভাবে ধোঁকা দেয়া বৈধ নয়।
এটি গোনাহের কাজ। আপনার উচিত অথরিটিকে উক্ত ভেরিফিকেশন প্রবলেমের কথা শেয়ার করা এবং
নিজের লিগ্যাল পরিচয় প্রদাণ করা। তবে বেতন হচ্ছে কাজ ও কর্মের বিনিময়। কাজ করে অর্থ
উপার্জন করা একটি বৈধ পন্থা। তাই বৈধ শ্রম দিয়ে চাকরির বেতন বৈধ হবে।