আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
43 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (4 points)
আমি একটি অনলাইন প্লাটফর্মে ভালো বেতনের চাকরি পেয়েছিলাম কিন্তু ভেরিফিকেশনের জটিলতার কারণে জয়েন করতে পারিনি। পরবর্তীতে আমি আমার আব্বুর নামে একটি নকল সিভি বানিয়ে এপ্লাই করলে তারা আবার অনলাইনে ইন্টারভিউ নেয় এবং আমিই সেই ইন্টারভিউ দেই। এরপর ভেরিফিকেশনের সময় আমি আমার বাবার ছবি ও NID দিয়ে ভেরিফাই করি। যেহেতু এখানে কাজ সম্পূর্ণ অনলাইনে এবং ফেইস দেখার কোন দরকার পড়েনা তাই আমিই কাজ করি এবং বেতন প্রচুর দেখে এখানে অনেক টাইম দেই। এক সাপ্তার মতো হলো এখানে কাজ করছি। এর মধ্যে আমি একটি পেমেন্ট পাই ও কিছু খরচ করে ফেলি। বাকি টাকা একাউন্টে পড়ে আছে উইথড্র করা হয়নি। এখানে যে কাজ করতে হয় তা চ্যাট জিপিটির মতো আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স মডেল তৈরি করার মতো। আমি যদিও সঠিকভাবে সৎ উপায় সব করে যাচ্ছি কিন্তু আমার ইন্টারভিউ প্রসেসে অসদুপায় অবলম্বন করায় কি এই ইনকাম আমার জন্য হারাম হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব:-

যদি ব্যক্তি উক্ত পোষ্টের যোগ্য হয়। আর চাকুরী নেবার পর দায়িত্বশীলতার সাথেই উক্ত দায়িত্ব আঞ্জাম দিতে পারে, তাহলে তার চাকুরী নেবার পদ্ধতিটি অবৈধ হলেও চাকুরীর বেতনকে হারাম বলা যাবে না। বরং হালাল হবে। [কিতাবুন নাওয়াজেল-১২/৫১৪, আহসানুল ফাতওয়া-৮/১৯৮]

قوله تعالى- فَاجْتَنِبُواْ الرِّجْسَ مِنَ الأَوْثَانِ وَاجْتَنِبُواْ قَوْلَ الزُّورِ  [الحج-30

তোমরা মুর্তিপূজার নোংরামী থেকে বাঁচো, এবং মিথ্যা কথা থেকে বাঁচো। {সূরা হজ্জ্ব-৩০}

عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- قَالَ « مَنْ حَمَلَ عَلَيْنَا السِّلاَحَ فَلَيْسَ مِنَّا وَمَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا (صحيح مسلم، كتاب الايمان، باب قَوْلِ النَّبِىِّ – صلى الله تعالى عليه وسلم – « مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا، رقم الحديث-294)

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-যে আমার উম্মতের উপর অস্ত্র উঁচু করে সে আমার উম্মতভূক্ত নয়, আর যে আমাদের সাথে ধোঁকাবাজী করে, সেও আমার উম্মতভূক্ত নয়। {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৯৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৫৫৯, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৪১, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৫৮৩৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-৩৭৯৭, মুসনাদে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৭২১}

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

এটি ধোকা দেওয়ার শামিল। এভাবে ধোঁকা দেয়া বৈধ নয়। এটি গোনাহের কাজ। আপনার উচিত অথরিটিকে উক্ত ভেরিফিকেশন প্রবলেমের কথা শেয়ার করা এবং নিজের লিগ্যাল পরিচয় প্রদাণ করা। তবে বেতন হচ্ছে কাজ ও কর্মের বিনিময়। কাজ করে অর্থ উপার্জন করা একটি বৈধ পন্থা। তাই বৈধ শ্রম দিয়ে চাকরির বেতন বৈধ হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...