আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (14 points)
আসসালামু আলাইকুম!

আমি বিবাহিতা। আমার বাবা আগে চাকুরি করতেন। রিটায়ারের পর ছোট একটা বিজনেস করেন যা দিয়ে আলহামদুলিল্লাহ কোনো রকমে দিন চলে যায়। আমার বাবার নিজস্ব বাড়ি নেই এখনও। টাকার জন্য বাড়ির কাজ আটকে আছে। প্রয়োজনে ব্যাংক থেকে লোন ও দেয় যেটা আমার পছন্দ না। আমি নিজেও হেল্প করতে পারিনা।আমার বড় কোনো ভাই নেই। ছোট ভাই এর পড়াশুন্স শেষ হতে আরও ৩-৪ বছর বাকি। বাবা ছাড়া পরিবারে আর কোনো আর্নিং পারসন নাই। আমার জাওজ আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভাল মানুষ, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ির সেবা, সম্মান, হাদিয়া প্রদান এমনকি গুরুতর অসুস্থ হলে আর্থিক হেল্প ও করে ক্ষেত্রবিশেষে।
কিন্তু আমার বাবার বাড়ি আটকে আছে, একারনে আমার অনেক দুঃশ্চিন্তা হয়। জাওজের উপর তার পারিবারিক অনেক প্রেশার, অনেক খরচ হয়। আমার বাবা মার জন্য তাকে প্রেশার দিতে ইচ্ছে করেনা। আমি আলহামদুলিল্লাহ সেলাই কাজ জানি এবং ভালবাসি। আমার নিজের জন্য কোনো ইনকাম সোর্স দরকার নেই তবে মাঝে মাঝে ভাবি বাবাকে হেল্প করার জন্য ছোট খাটো কিছু করা যায় কিনা। যেমন সালাতের হিজাব খিমার বানিয়ে অফলাইন/অনলাইনে সেল করা। এটা থেকে অল্প যাই আসবে তা দিয়ে আমি বাবাকে বাড়ির কাজে হেল্প করতে পারবো। এরকম করা কি আমার জন্য জায়েজ আছে? বা বাবার পরিবারের এমন অবস্থায় কি ওনাদের জন্য আমার কোনো দায়িত্ব আছে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ﺟﺎﺀ ﻓﻲ ﺍﻟﻜﻮﻳﺘﻴﺔ :
ﻣَﻦْ ﺗَﺠِﺐُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ :
ﺗَﺠِﺐُ ﻧَﻔَﻘَﺔُ ﺍﻷُْﺻُﻮﻝ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ، ﻷَِﻥَّ ﻟِﻸَْﺑَﻮَﻳْﻦِ ﺗَﺄْﻭِﻳﻼً ﻓِﻲ ﻣَﺎﻝ ﺍﻟْﻮَﻟَﺪِ ﺑِﺎﻟﻨَّﺺِّ، ﻭَﻷَِﻧَّﻪُ ﺃَﻗْﺮَﺏُ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺇِﻟَﻴْﻬِﻤَﺎ، ﻓَﻜَﺎﻥَ ﺃَﻭْﻟَﻰ ﺑِﺎﺳْﺘِﺤْﻘَﺎﻕِ ﻧَﻔَﻘَﺘِﻬِﻤَﺎ ﻋَﻠَﻴْﻪِ - ﻭَﻫِﻲَ ﻋِﻨْﺪُ ﺍﻟْﺤَﻨَﻔِﻴَّﺔِ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﺬُّﻛُﻮﺭِ ﻭَﺍﻹِْﻧَﺎﺙِ ﺑِﺎﻟﺴَّﻮِﻳَّﺔِ ﻓِﻲ ﻇَﺎﻫِﺮِ ﺍﻟﺮِّﻭَﺍﻳَﺔِ، ﻷَِﻥَّ ﺍﻟْﻤَﻌْﻨَﻰ ﻳَﺸْﻤَﻠُﻬُﻤَﺎ (ﻓﺘﺢ ﺍﻟﻘﺪﻳﺮ 4 / 417 ﻁ ﺩﺍﺭ ﺍﻟﻔﻜﺮ)
পিতা-মাতার নাফক্বাহ কার উপর ওয়াজিব হবে।
পিতা-মাতার নাফক্বাহ সন্তানের উপর ওয়াজিব হবে।কেননা হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আছে যে,সন্তানের মালের উপর পিতা-মাতা অধিকার রয়েছে।এবং পিতা-মাতা তাদের সব চেয়ে বেশী ঘনিষ্ঠজন। তাই এজন্য তারা সন্তানের কাছ থেকে খোরপোষের সবচেয়ে বেশী হক্বদার। জাহির রেওয়ায়াত অনুযায়ী হানাফি মাযহাবের মূলনীতির আলোকে পিতা-মাতার খোরপোষের দায়িত্ব ছেলে-মেয়ে উভয়ের। এক্ষেত্রে উভয়ই সমান অর্থ্যাৎ সবার উপর ওয়াজিব।(আল-মাওসু'আতুল ফেক্বহিয়্যায়-৪১/৭৬)(ফাতহুল ক্বাদির, ৪/৪১৭)

وفي ردالمحتار
تحت قَوْلُهُ(بِالسَّوِيَّةِ بَيْنَ الِابْنِ وَالْبِنْتِ) هُوَ ظَاهِرُ الرِّوَايَةِ وَهُوَ الصَّحِيحُ هِدَايَةٌ، وَبِهِ يُفْتَى خُلَاصَةٌ، وَهُوَ الْحَقُّ فَتْحٌ ،3/623ِ
রদ্দুল মুহতার গ্রন্থের ৩নং খন্ডের৬২৩নং পৃষ্টায় বর্ণিত আছে,পিতা-মাতার খোরপোষ ছেলে-মেয়ে উভয়ের উপর সমানভাবে ওয়াজিব হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/3712

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
যেহেতু আপনার নিজস্ব কোনো ইনকাম নেই অন্যদিকে আপনার বাবা এবং ভাই উপার্জন সক্ষম,তাই আপনার উপর বাবা মায়ের ভরণপোষণ ওয়াজিব হবে না। হ্যা, পর্দার আড়ালে থেকে যদি আপনি বাবা মায়ের জন্য কিছু করতে পারেন, তাহলে সেটা নফল হিসেবে বিবেচিত হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...