আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
104 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
একজন মেয়ের    বিয়ের পর সে আর তা  হাসব্যান্ড এক ঘড়ে ঘুমাতাম এরপর তা  শশুর  প্রতিদি৷ মাজরাতে এসে সাইকেল নিয়ে যেততখন তাকে খারাপ অবস্থা মানে উড়না ছাড়া বা বুকের কিছু অংশ বের হয়ে আছে দেখছে কিনা জানিনা বা দেখলে সে খারাপ নিয়তে দেখছে কিনা জানিনা।আরেকদিন সে  তার  যৌনাঈ কাপড়ের উপর দিয়ে  খাটের সাথে সামনে পিছন করে যা দেখতে অনেকটা সহবাসের মত ঘষছিল৷ ঘড়ের দরজা খুলা ছিল হটাত দেখি তার শশুর তাকায়া আছে ত উনি অন্য ঘড়ে যাওয়ার সময়  হয়ত সে এমনিতে তাকাইছে। আর তখন তার উপড় চুখ পড়ে  যে সে তাকাইছে নাকি সে পুর্বে থেকে অন্য ঘড়ে যাওয়ার সময় তাকিয়ে দেখছিল সেটা জানিনা। এরপর কতদিন পর তার  সাথে এ ঘিটনা ঘটে মনে নাই। তবে যা ঘটে তা বলছি দয়া  করে শেষ বারের মত উত্তর দিবেন৷ আর ঠুটে চুম্মন দেয়াএ আগে মেয়েটি মুখ সরিয়ে নেয় কিনা মনে নাই তবে ঠুটের উপর ঠুট রেখে চুমা দিলে মেয়েটি মুখ সরিয়ে নেয় আর সরিয়ে নেয়ার পর শশুড় বলে যে তুমি মুখটা সরায়া নিলা।কেন ঠুটে চুমা দেওয়র সময়? ভাল ভাবে বলে। নিচে পুরা ঘটনাটা বর্ননা করছি কিছু ইনফরমেশ্ন ভাল করে লিখা আছ দয়া করে পুরাটা পরে উত্তর দিবেন।

।তার শশুড়কুনদিন তার দিকে খারাপ নজর দিয়ে তাকিয়েছে বলে সে কোনদিন দেখে নাই।তবে একদিন বাড়িতে মেয়েটি ঘরে বসে রুটি বানাচ্ছিল আর সেই মুহুর্তে তার শাশুড়ী বাজারে বাজার করতে যায় ত বাড়িতে কেউ ছিল না।পুএ বধু শালিন ভাবে বসেই রুটি বানাচ্ছিল।আর তার শশুড় পাশে  বসে ভান্ডারি গান শুনছিল।আর দু ইজন বাবা মেয়ের মতো গল্প করতাছিল হটাৎ মেয়েটি জিগাস করল বাবা তুমি এসব ভান্ডারি গান কেন শোন?এরপর তার শশুর কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে তাকে বলে স্ত্রীও অনেক সময় মা হয়ে যায়।তুমি চাইলে তুমার দুধ আমাকে খাওয়াতে পার।এ কথা শুনে মেয়েটি লজ্জা পায় এবং চুপ হয়ে যায় এবং সে বুজতে পারে না।কি ক রা উচিত।সে নিচ দিকে তাকিয়ে তার মত রুটি বানাচ্ছিল। এরপর তার শশুর তাকে জিগাস করে তুমি আবার রাগ করলা নাকি একথা বলাতে কাউকে এসব বইল না।এরপর তার শুশুর আরও কি কি কথা বলে তার কিছুই মনে নাই।তবে খুব সম্ভবত মনে পড়ে তার শশুড় বলতাছিল যে এইজে আজিকে তুমার সামি যখন কাজে গেল তখন যদি তুমি একথা বলে তার গালে কপালে ও ঠুটে চুম্মন করে দেখায় যদি যাওয়ার সময় এমন করতে তবে ভালোবাসা বারত বা তুমাদের সম্পর্ক ভালো হতে।খুব সম্ভবত  ভাবে মনে আছে যে এই ভাবে যদি সামি কাজের যাওয়ার আগে৷  স্ত্রী কিভাবে সামিকে  চুম্মন করবে সেটা তিনি দেখাতেই তার ছেলের বউকে কপালে ঠুটে ও গালে চুম্মন করে দেখায় ঠুটে চুমা দেওয়ার আগে মুখ সরায় কিনা মনে নাই তবে ঠুটের উপর ঠুট রেখে চুমা দেওয়াএ সাথে সাথে মেয়েটি মুখ সরিয়ে নেয় এরপএ শশুর বলে কি ঠুটে চুমা দেওয়ার সময় মুখটা সরায়া নিলা কেন ভালবাবেই ব্ল্ব।আসলে এরপর তার শশুর বলে যে আরও অনেক কিছু আছে পরে দেখাব।এবং খুব সম্ভবত বলে টিভিতে মেয়েদের দেখ না চুম্মায়।এরপর মেয়েটি রুটি বানাতে শেষ হলে তার সামি কে এই কথা বললে তার সামি রেগে গিয়ে তার শশুরকে ধরলে তার শশুর বলে আমি তরিকা সে নাকি কিসের তরিকা মানে সেটা শিখাতে এমন করে দেখাইছে তার বদ কুন নিয়ত ছিল না।এবং তার ছেলের বউকের কাছে মাফ চায় আমি ভুল করছি তরে চুমা দিয়া।তবে মেয়েটি তার শশুরকে কখন খারাপ চোখে তার দিকে তাকিয়েছে বলে সে কখন দেখে নাই বরং মেয়েটি তার সম্পর্কে ভাতিজি হলেও কুনদিন তার দিকে কু দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়েছে বলে কখন দেখে নাই।তবে এই ঘটনা ঘটানুর পরবর্তিতে মেয়েটি হটাৎ দেখে তার শশুর হাটার  সময় কেমন করে তার বুকের দিকে তাকিয়েছে হয়তো এই কাজ করার পর  আবার নজর সরে গেছে।এমন কয়েকবারই তার শশুর তাকিয়ে আবার চোখ সরিয়ে নিয়েছে। এরকম সে কয়েকবারই  তাকিয়েছে।তবে তাকান টা কেমন যেন মনে হয়েছে খারাপ নজরে তাকিয়েছে মানে মনে একটা বিরক্ততিকর ভাব সৃষ্টি হয় যেভাবে কুন ছেলে মেয়ের দিকে খারাপ ভাবে তাকালে যেমন লাগে তার তাকানো টা এমন লাগছিল তবে সেয়াতা বেশি সময় তাকানো ছিল না বড় জুর ১০সেকেন্ড হবে হয়ত।আমার শশুরের আগে  গাজা সেবন করার অভ্যাস ছিল আমি শুনেছিলাম। তবে এই ঘটনার দিন গাজা খেয়েছিল কিনা জানিনা।আর হুজুর রুটি বানানোর সময় আমি থ্রি পিছ পড়া ছিলাম।তখন আমার জামাটা রুটি বানানর  সময় যদি সরে গিয়েও থাকে আমার বেখায়েল আমার পা পায়জামা দিয়ে ঢাকা ছিল এখন তা দেখে সে উত্তেজিত হয়েছিল কি হয়নি আমি কিছু জানিনা আমার সব ঘটনা পরে দয়া জানাবেন হুরমত হল নাকি।মানে ধরেন আমি রুটি বানাচ্ছি কিন্তু যেহেতু থ্রি অইছ জামাটা একটু সরে গেলে হয়্ত পা জামা দিয়া পা ঢাকা ছিল তা দেখা গেলেও। যেমন আমি যদি ফুল হাতার জামা পরি উড়টা হাতা থেকে সরে গেলে ফুল হাতা জামা পরিধান করা হাত যেমন দেখা যায় তেমন দেখা হয়্র গেছিল।
।এরপর স্ত্রী বাপের বারি গিয়ে একথা জানালে  এসব নিয়ে এনেক বড় ঝামেলা হয়। স্ত্রী সামি না করা সত্ত্বেও একথা তার পরিবারকে জানাইছে তাই সামি স্ত্রী র মাজে একপ্রকার বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হিয় ছেলের বাবাকে অনেক অপমান করে তখন তিনি বলে বাবা কি মেয়েকে চুমা দিতে পারে না।এরপর সামি স্ত্রী এসব নিয়ে ঝগড়া করে দীর্ঘ ১বছির কুন যোগাযোগ থাকে না এবং সামি প্রবাসে চলে যায়।এখন তাদের মিল হইছে এবং এই মাসালা চোখে পরাতে দুইজনেই চিন্তিত বিবাহ ঠিক আছে কিনা সেটা নিয়ে।উক্ত ঘটনা ঘটার সময় আমার বউয়ের উড়না সামান্য শড়ে গিয়েছিল কিনা সে বিষয় নিশ্চিত নয় মানে রুটি বানানুর সময় উড়না সরে গিয়্রছিল কিনা আমার বউ নিশ্চিত জানেনা।তবে এই ঘিটনা ঘটার আগে একদিন আমার বউ তার যৌনাঈ কাপরের উপর দিয়ে খাটের সাথে  ঘসছিল ত যা দেখতে অনেকটা সহবাসের মত তখন নাকি নাকি ঘরের দরজা খুলা ছিল আমার বউ হটার দেখে বাবা তাকিয়ে আছে এখন সে পুর্বে থেকে দেখছিল কিনা নাকি ঘর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাকিয়ে ছিল আর আমার বউয়ের চুখ পড়ে তার দিকে।সে তাকিয়ে আছে তা মিশ্চিত না তখন আমার বউ উক্ত কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর কিছুদিন পর রুটি বানাতে গিয়ে উক্ত ঘিটনা ঘটে।
১।উপরে যে ঘটনা বর্ননা করা হয়েছে উত্ত ঘটনার পর তার শশুর  প্রথমে বলেছিল সে তরিকা মানে নিয়ম শিখানুর জন্য এমন করে।এখন গত কাল স্ত্রী হুরমত নিয়ে জানার পর তার ছেলে জিগাস করে তুমি কেন আমার বউকে চুমা দিয়া দিয়েছিলে সে বলে আমি মেয়ে হিসাবে চুমা দিয়েছি।এই জিনিস্টা নিয়ে অনেক ঝামেলা ও তাকে অপমান করাতে হয়তো উনি তখন বলেছিল তরিকা শিখাতে এমন করেছে আর এখন বলতাছে মেয়ে হিসাবে দিয়েছে হয়তো উনি নিজেও লজ্জিত বা বুজতে পারে নি বা উনি এখন কিভাবে কি বলবে মানুষ এর কাছে তাই বলতাছে মেয়ে হিসাবে দিয়েছে। স্ত্রীও কিছুটা সন্দিহান আসলেই উনি উত্তেজনার সাথে চুমা দিয়েছে কিনা?কারন কপালে ঠুটে ও গালে চুম্মন দেওয়ার সময়ে উত্তেজনা আসলে যেমন দীর্ঘ শ্বাস বা নিঃশাস নেয়া এমিন কিছু মেয়েটি দেখে নাই। এবং উত্ত মেয়ের শাশুড়ী পুরো যৌবিন কাল কাজের জন্য বিদেশে থেকেছে সামি সন্তান রেখে কিন্তু তবুও তার শশুরের চারিত্রিক খারাপ দিক কেউ দেখ নি কখন।বা পুরো এলাকা আত্নীয় সজন কেউ কখন বলে নি যে তার চরিত্র খারাপ বা তিনি এমন কাজ করেছেন।এখানে কি হুরমত সাব্যস্ত হবে? নাকি শশুরের কথাই ধরা হবে যে খারাপ নিয়তে দেয় নাই। যেহেতু চুমা দেওয়ার সময় সাধারণ পুরুষ মানুষ এর উত্তেজিত হলে যেমন নিঃশাস ভারি হওয়া এমন কুন লক্ষন ছিল না তাই এখানে কি হুরমত সাব্যস্ত  হবে?নাকি শশুরের কথাই ধরে নিবে যে তার উত্তেজনা ছিল না।
২।হুজুর সামি এই ঘটনা ঘটার দিন এই কথা জানালে সে তার বাবাকে প্রচন্ড বকাজকা করে।এরপর আমি তাকে জিগাস করি তুমি কি মনে কর সে উত্তেজনা হয়ে আমাকে স্পর্শ করেছে তখন সে বলে আমি জানিনা।তুনি য্রভাবে বল সেভাবেত সন্দেহ হয় আবার বাবা কথা বললে সেটাও বিশ্বাস হয়।আমার কুন মতামত নেই আমি জানিনা এখানে কি হুরমত হবে?
৩।হুজুর  যদি উত্তেজনা নিয়ে স্পর্শ করে থাকে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হওয়ার যে পরিমান উত্তেজনা প্রয়োজন৷ যেমিন৷ লিঈ দাড়ান ও নাড়াচাড়া করছিল কিনা কিছুই জানা নাই।তবে এক্ষেত্রে করনিয় কি?যদি শশুড় সিকারই না করে যে উত্তেজিত হিয়্র স্পর্শ করে নাই।বা স্পর্শ করার পর উত্তেজনা ছিল কিনা বা বির্যপাত হয়ে গিয়েছল কিনা জানা নাই।তবে সাধারণ মানুষ এর উত্তেজনা আসলে যেমন নিঃশ্বাস ভারি হয়ে আসা বা অন্যরকম অনুভুতি আসা তা উপস্থিত ছিল না।তবে হুজুর আপনি প্রথম বার ফতোয়া দেওয়ার পর মনে হচ্ছে তার নিঃশাস বাড়ি হয়েছিল কিনা সেটা নিয়ে এখন সন্দেহ হচ্ছে তবে মনে নেই । এতটুকু বলতে পারি যে সে উত্তেজনা নিয়ে দিয়েছিল কিনা সেটা আসলে বুজতে পারি নাই তার আচরম থেকে। তবে এক্ষেত্রে একা ঘরে মেয়ে ও শশুড় উপস্থিত ছিল একা শশুড় চাইলে হয়তো মেয়েটিকে সহবাস করতে পারত জুর করে তবে সে চুম্মন করেই ছেড়ে দেয় এতে কি ধরা হবে যে ডশুরের উত্তেজনা আসলেও তা সহবাসের করার মতো উত্তেজনা ছিল না।কারন যেহেতু সে সুযোগ পেয়ে পেয়ে করে নাই এবং উত্তেজিত হলে যেমন অন্যরকম একটা ভাব আসে তা ছিল এতে হুরমত হবে?

1 Answer

0 votes
by (58,350 points)

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/81109/ নং ফাতওয়াতে আমরা বলেছি যে,

হুরমতে মুসাহারাত স্পর্শ  এর মাধ্যমেও হয়, আবার শুধুমাত্র দৃষ্টিপাতের মাধমেও হয়।


হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবার জন্য কয়েকটি শর্ত রয়েছে।

শর্তগুলো হল:

১. সরাসরি খালি গায়ে বা এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যা এতটাই পাতলা যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভব হয়। যদি এমন মোটা কাপড় পরিধান করে থাকে যে, শরীরের উষ্ণতা অনুভূত না হয়, তাহলে নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

فى الدر المختار- أو لمس ) ولو بحائل لا يمنع الحرارة

وقال ابن عبدين– ( قوله : بحائل لا يمنع الحرارة ) أي ولو بحائل إلخ ، فلو كان مانعا لا تثبت الحرمة ، كذا في أكثر الكتب (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-3/107-108)

যার সারমর্ম হলো যদি এমন কাপড়ের উপর দিয়ে স্পর্শ করে, যেটা শরীরের গরমি ভাব অনুভব হয়,তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবে।


২. স্পর্শ করলে পুরুষ মহিলা যেকোন একজনের উত্তেজনা অনুভুত হওয়া।

পুরুষের উত্তেজনা অনুভূত হওয়ার লক্ষণ হল গোপনাঙ্গ দাঁড়িয়ে যাওয়া, আর পূর্ব থেকে দাঁড়িয়ে থাকলে স্পর্শ করার পর উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়া।

وفى رد المحتار- قوله (بشهوة) اي ولو من احدهما،

وفى الدر المختار- وحدها فيهما تحرك آلته أو زيادته به يفتى

وفي امرأة ونحو شيخ كبير تحرك قلبه أو زيادته (الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/107-109)


৩. স্পর্শ করার সময় উত্তেজিত হতে হবে। যদি স্পর্শ করার সময় কেউ উত্তেজিত না হয়, তাহলেও নিষিদ্ধতা প্রমাণিত হবে না। সেই সাথে স্পর্শ করার আগে বা শেষে, হাত ছেড়ে দেওয়ার আগে বা পর যদি উত্তেজনা অনুভূত হয় তাহলেও নিষিদ্ধতার সাব্যস্ত হবে না।

وفى الدر المختار- والعبرة للشهوة عند المس والنظر لا بعدهما

وفى رد المحتار- ( قوله : والعبرة إلخ ) قال في الفتح : وقوله : بشهوة في موضع الحال ، فيفيد اشتراط الشهوة حال المس ، فلو مس بغير شهوة ، ثم اشتهى عن ذلك المس لا تحرم عليه (رد المحتار-كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/108)

যার সারমর্ম হলো স্পর্শ,দৃষ্টিপাত করার সময় উত্তেজনা থাকতে হবে।


৪. স্পর্শ করার পর উদ্ভূত উত্তেজনা স্থীর হওয়ার পূর্বেই বীর্যপাত না হতে হবে। যদি উত্তেজনা হওয়ার সাথে সাথেই বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলেও নিষিদ্ধতা সাব্যস্ত হবে না।

وفى الدر المختار- هذا إذا لم ينزل فلو أنزل مع مس أو نظر فلا حرمة به بفتى

وفى رد المحتار- قوله : فلا حرمة ) لأنه بالإنزال تبين أنه غير مفض إلى الوطء هداية .

قال في العناية : ومعنى قولهم إنه لا يوجب الحرمة بالإنزال أن الحرمة عند ابتداء المس بشهوة كان حكمها موقوفا إلى أن يتبين بالإنزال ، فإن أنزل لم تثبت ، وإلا ثبت(الفتاوى الشامية، كتاب النكاح، فصل فى المحرمات-4/109

যার সারমর্ম হলো যদি  যদি দেখা  বা স্পর্শ করার দ্বারায় বির্যপাত হয়ে যায়, তাহলে হুরমতে মুসাহারাত প্রমানীত হবেনা।


৫. মহিলার বয়স ৯ বছর থেকে কম না হতে হবে। আর পুরুষের বয়স ১২ বছর থেকে কম না হতে হবে।  {হুরমতে মুসাহারাত-১৯}

উপরোক্ত ৫টি শর্ত পাওয়া গেলে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়ে যাবে।

وكذا المقبلات، أو الممسوسات بشهوة لأصوله، أو فروعه (رد المحتار-4/100)

لأن حرمة المصاهرة إذا ثبتت لا تسقط أبدا (رد المحتار-4/109)

অনুবাদ হুরমতে মুসাহারাত এক বার প্রমানীত হলে সেটার হুকুম সারাজীবন থাকে। এই হুকুম তার থেকে দূর হবেনা।


দৃষ্টিপাতের বিষয়েও হুরমাতে মুসাহারাত সংশ্লিষ্ট। তবে এখানে ৬টি শর্ত রয়েছে। যথা-

১. দৃষ্টিপাতটি হতে হবে মহিলা পুরুষের আর পুরুষ নারীর সরাসরি শরীরের দিকে। ছবি বা ভিডিও বা কারো অবয়বের পুতুল হলে হবে না।

২. দৃষ্টিটি নিবদ্ধ হতে হবে মহিলার লজ্জাস্থানের খানিকটা ভিতরাংশে। শুধু উপরের অংশ দেখার দ্বারা হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না। আর পুরুষের ক্ষেত্রে শুধু লজ্জাস্থান দেখার দ্বারাই হুরমত সাবেত হবে।

৩. দৃষ্টি নিবদ্ধের সময় শারিরিক উত্তেজনা অনুভূত হতে হবে পরে বা আগে হলে হবে না।

৪. যার লজ্জাস্থান দেখছে সে জীবিত হতে হবে। মৃত হলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।

৫. দৃষ্টি নিবদ্ধের সাথে সাথেই বীর্যপাত না হতে হবে। বীর্যপাত হয়ে গেলে হুরমত সাব্যস্ত হবে না।

৬. মেয়ের বয়স কমপক্ষে ৯ বছর আর ছেলের বয়স কমপক্ষে ১২ বছর হতে হবে।


উপরোল্লিখিত ৬টি শর্ত পাওয়া গেলে দৃষ্টিপাতের দ্বারাও হুরমাতে মুসাহারাত তথা বৈবাহিক সম্পর্কের দরূন আজীবন বিবাহ হারাম হওয়ার নীতি কার্যকর হবে দৃষ্টিপাতকারী পুরুষ ও মহিলার মাঝে।


একটি শর্ত না পাওয়া গেলেও হুরমাতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবে না।

বিস্তারিত জানতে পড়ুন-

মুফতী সাঈদ আহমাদ পালনপুরী দা.বা.কৃত হুরমাতে মুসাহারাত

হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহ.কৃত আলহীলাতুন নাযিজাহ লিলহালীলাতিল আজেযা।

আরো বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/3571/

আরো জানুন- https://ifatwa.info/60297/


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


এক্ষেত্রে শশুর যেহেতু নিজেই বলেছে যে, তার উত্তেজনা ছিলোনা।

আর মেয়েটিও সে সময় দীর্ঘ শ্বাস বা নিঃশাস নেয়া এমন কিছুই তার শশুর হতে অবলোকন করেনি, তাই এক্ষেত্রে হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হবেনা।  এক্ষেত্রে শশুরের কথাই ধরে নিতে হবে যে, তার উত্তেজনা ছিলো না।

যেহেতু হুরমতে মুসাহারাত সাব্যস্ত হয়নি, তাই উক্ত দম্পতির ঘর সংসার করতে শরীয়াহ দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা নেই।

তবে প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উত্তম হলো যে, স্বামী-স্ত্রী আলাদা বাসস্থানে থাকবে। অর্থাৎ শশুরের থেকে আলাদা থাকবে। যাতে করে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি আর না হয়।

এ সম্পর্কে আরো জানুন - https://ifatwa.info/81109/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...