আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
369 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (12 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম।
একটি মেয়ের একজনের সাথে অনেক আগে বিয়ের কথা চলছিল।।।কিন্তু পরিবার বিয়ে দিতে দেরি করায় তারা গুনাহ থেকে বাঁচতে গোপনে বিয়ে করে নেয়।।কিন্তু বিয়ের মাত্র ১২দিনের মাথায় ছেলেটা মেয়েটার সাথে অনেক আজগুবি আচরণ করে, তার সাথে সংসার করতে চায়না বলে জানায়।।এবং পরিবর্তিতে মেয়েটি জানতে পারে সে নাজায়েজ ভাবে তার পূর্ব প্রেমিকার সাথে মেলামেশা করছে।।।
তাই দুইজনের সম্মতিতেই ডিভোর্স নিয়ে নেয়ার স্বিদ্ধান্ত নেয় তারা।।।উল্লেখ্য তাদের মধ্যে ইন্টারকোর্স হয়নি।।।
এখন বিয়ের + ডিভোর্সের কথা টা যেহেতু পরিবারের কেউ জানেনা, সেহেতৃ ২য় বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েটি এই বিষয়টা গোপন রাখবে নাকি বলে দিয়ে  বিয়ে করতে হবে?
দুই একজন পাত্রকে গোপনে এই বিষয় টা জানানো হয়েছিল কিন্তু পরবর্তিতে তার পরিবার মেয়েটার সম্পর্কে খারাপ ধারণা নিয়ে আর বিয়েতে আগায়নি।।

১/ প্রশ্ন হলো-  মেয়েটি যদি ২য় বিয়ের ক্ষেত্রে পুর্বের বিয়ের কথা গোপন রাখে ফিতনা এড়াতে তাহলে কি গুনাহগার বা প্রতারক বলে গণ্য হবে???

২/ মেয়ে খাস পর্দা করে কিন্তু মা খাস পর্দানশীন নয়। মেয়ে কি মায়ের সম্মতিতে মায়ের ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে কোন সিম নিতে পারবে?  এতে কি মেয়ের গুনাহ্ হবে?

৩/ আবাসিক শিক্ষিকা হিসেবে মাদ্রাসায় থাকার জন্য কি বাবার অনুমতি লাগবে? বাবা মেয়ের ভরণপোষণ দেয় না। ভাইও দেয় না। ঘরে শুধু খাবারটা খায়। মা দিতে চাচ্ছে মেয়েকে। মায়ের অনুমতি আছে..

1 Answer

0 votes
by (598,650 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/906 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
এ সব মূলনীতির আলোকে আমরা বলতে পারি,
মহিলাকে তার পানিপ্রার্থী বা স্বামী পূর্বে কোনো গোনাহ বা অ্যাফেয়ার সম্পর্কে কিছুই জিজ্ঞাসা করবে না।
যদি নারী কে চাপ প্রয়োগ বা জোড়ালো ভাবে জিজ্ঞাসা করা হয়, তবে সে তাওরিয়াহ করতে পারে।
তাওরিয়াহ হল,এমন কথা যা থেকে শ্রুতা কিছু একটা বুঝে নিবে।কিন্তু বক্তা অন্য কিছু উদ্দেশ্য নিবে।যেমন- স্ত্রী বলবে,আমার কারো সাথে কোনো সম্পর্ক ছিলো না।উদ্দেশ্য নিবে,আজকে বা গতকাল কারো সাথে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না। অথবা এভাবে বলবে, আমার যে সম্পর্ক ছিলো,তুমি কি তা বিশ্বাস করবে?

স্বামীর উচিৎ সে দ্বীনদ্বার, চরিত্রবান কোনো নারী দেখে বিয়ে করবে। যখন সে কাউকে বিয়ে করে নেবে,তখন সে যেন তার স্ত্রীকে অতীত জীবন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা না করে,খোজখবর না নেয়।কেননা দোষ গোপন রাখাই অাল্লাহর পছন্দনীয়।
যা কারো অতীত জীবনী তালাশের বিরোধী। এতেকরে সন্দেহের সৃষ্টি হয় যা সংসার নামক প্রশান্তিদায়ক বস্তুকে অগ্নিময় করে তুলে।মানুষকে অস্থির ও পেরেশান করে তুলে। স্বামীর জন্য এটাই যথেষ্ট যে সে তার স্ত্রীকে ইবাদতে লিপ্ত দেখবে।তার ফরমাবরদার হবে।
ঠিক এমনিভাবে স্ত্রী তার স্বামীকে  অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু জিজ্ঞেস করবে না।স্বামী কি ইতিপূর্বে কাউকে ভালবেসেছিলো? অন্য কারো প্রতি তার মন কখনো চলে গিয়েছিলো?সে কি কোনো গোনাহের কাজে কখনো গিয়েছিলো?
কেননা এমনসব প্রশ্নে কোনো উপকার নেই।বরং এর দ্বারা অপকারের এমনসব দরজা খুলে যায়,যার সংশোধন কখনো সম্ভবপর হয় না।

স্বামী যদি স্ত্রীকে বারংবার জিজ্ঞাসা করে।অথবা এ বিষয়ে স্ত্রীর মূখ থেকে হ্যা/না শুনার জন্য চাপ প্রয়োগ করে, অন্যদিকে স্ত্রী নিজেকে বাচানোর অন্য কোনো রাস্তা খুজে না পায়,তাহলে সে নিজের ভবিষ্যৎ জীবনকে সন্দেহমুক্ত রাখতে তাওরিয়াহ করে কসম করতে পারবে।

কিন্তু যদি এমন হয় যে,পূর্বের রিলেশনের কথা স্বামী একদিন জেনে যাবে,এবং রিলেশনটাও এ পর্যায়ের ছিলো,অস্বীকার করে পার পাওয়া যাবে না।এবং এটা যে স্বামী জানবে,এ সম্পর্কে অধিকাংশ ধারণা থাকে।স্বামী ভবিষ্যতে জানলে সংসার বিষময় হয়ে যেতে পারে।এমন পরিস্থিতিতে বিয়ের পূর্বেই স্বামীকে অবগত করে দেওয়া উচিৎ।

সুতরাং বলা হবে যে,
(১)মেয়েটি যদি ২য় বিয়ের ক্ষেত্রে পূর্বের বিয়ের কথা গোপন রাখে ফিতনা এড়াতে তাহলে মেয়ে  গুনাহগার বা প্রতারক বলে গণ্য হবে না।

(২)মেয়ে খাস পর্দা করে কিন্তু মা খাস পর্দানশীন নয়। মেয়ে তার মায়ের সম্মতিতে মায়ের ছবি ও আইডি কার্ড দিয়ে সিম ক্রয় করতে পারবে।সিম মায়ের মালিকানায় থাকবে,মেয়ে শুধুমাত্র সাময়িক ব্যবহার করবে।

(৩)
বাবা যদি ভরণপোষণ দেয়,খাবার ব্যতীত আরো যা যা একজন মেয়ের জরুরত হতে পারে, সবগুলোই দেয়,তাহলে এমতাবস্থায় বাবার অনুমতি ব্যতীত মেয়ে আবাসিক হোষ্টেলে থাকতে পারবে না।অন্যথায় পর্দাপুশিদা মত মেয়ে আবাসিক শিক্ষিকা হতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 198 views
...