আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
75 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (7 points)
recategorized by
আসসালামু  আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ
১)উস্তাদ, গরুর বয়স ২ বছর হয়েছে কিন্তু দাত উঠেনি এমতাবস্থায় বিক্রতা যদি এই নিশ্চয়তা দেয় যে ২বছর হয়েছে দাত উঠতে দেরী হচ্ছে তবে বিক্রেতার উপর নির্ভর করে এমন গরু কুরবানী দেওয়া যাবে কি?
২) ৬জনের অংশীদারত্বে কুরবানি দিলে তাতে রসুলল্লাহ’র স. নামে একভাগ দেওয়া যাবে কি?

৩)প্রতি বছর সব ভাইয়েরা মিলে কুরবানি দেই। কিন্তু সব ভাইয়ের নিয়ত শুদ্ধ নয়। এক্ষেত্রে বাহিরে কুরবানী দিলে সম্পর্ক অবনতির আশঙ্কা থাকে। এক্ষেত্রে করণীয় কি?

৪)আমার একজন কাছের আন্টি, উনার ৬ থেকে ৭ বছর আগে থেকে এখনো উনি এক প্রকার মানসিক রোগে আক্রান্ত বলা যায়। হঠাৎ নাকি উনার অস্থিরতা কাজ করে, ভিতরে অস্থির লাগে বলে, অশান্তি লাগে বলে,ঘরে থাকতে মন চায়না কারও সাথে থাকলেও শান্তি অনুভব করেন না।উল্লেখ্য তিনি নামাজ দোয়া পরেন। অনেক ডাক্তার চ্যাক আপ করা হয়েছে। কোনো রোগ নেই। মানসিক ডাক্তারও দেখিয়েছেন উনারা ঘুমের ঔষধ দেন।হুজুরও দেখিয়েছেন হুজুররাও জ্বিনজনিত সমস্যা বা কিছু নেই বলেন।প্রায়ই তিনি এই অস্থিরতা অশান্তিতে ভোগেন। কিন্তু কোনো টেনশন বা কিছু নিয়ে প্রেশারও থাকে না।সবাইকে ধরে কাঁদেন। তিনি জানতে চেয়েছেন এমন কোনো আমল আছে যাতে উনার এমন অবস্থা ঠিক হয়ে যাবে? মাসে ২, ৩ বার করে এমন হয়।মাঝে মাঝে কয়েকমাস পর হয়।
৫)উস্তাদ, আমি বিবাহিত।তবে আমার হাসবেন্ড আমাকে এখনো তুলে নেন নি। উনার ২জন বড় ভাই অবিবাহিত। উনারা বিবাহের পর হয়তোবা তুলে নিবে ১/২ বছর পর। উস্তাদ আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমি যদি ২বছর অস্হায়ী জন্মনিয়ন্ত্রণ করি তবে কি গুণাহগার হবো উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هَارُونُ بْنُ حَيَّانَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ، أَنْبَأَنَا زُهَيْرٌ، عَنْ أَبِي الزُّبَيْرِ، عَنْ جَابِرٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " لاَ تَذْبَحُوا إِلاَّ مُسِنَّةً إِلاَّ أَنْ يَعْسُرَ عَلَيْكُمْ فَتَذْبَحُوا جَذَعَةً مِنَ الضَّأْنِ "

জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা (কোরবানীতে) মুসিন্না (পূর্ণ বয়স্ক) ছাড়া যবেহ করো না। কিন্তু তা সংগ্রহ করা তোমাদের জন্য কষ্টসাধ্য হলে ছয় মাস বয়সের মেষ-ভেড়া যবেহ করো।

(মুসলিম ১৯৬৩, নাসায়ী ৪৩৭৮, আবূ দাউদ ২৭৯৭, ইবনে মাজাহ ৩১৪১. আহমাদ ১৩৯৩৮, ১৪০৯৩, যইফাহ ১/৯১-৯৩, ইরওয়া ১১৪৫, যইফ আল-জামি' ৬২০৯।)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে বিক্রেতা মুসলিম হলে তার উপর নির্ভর করে এমন গরু কুরবানী দেওয়া যাবে।
তবে এক্ষেত্রে বিক্রেতাদের মধ্যে কমপক্ষে ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ এর সাক্ষ্য নিবেন।

(০২)
যাদের সামর্থ আছে, তারা একটি কুরবানী রাসূল সাঃ এর নামে দিবে। এটি উত্তম।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ حَنَشٍ، قَالَ: رَأَيْتُ عَلِيًّا يُضَحِّي بِكَبْشَيْنِ فَقُلْتُ لَهُ: مَا هَذَا؟ فَقَالَ: «إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَوْصَانِي أَنْ أُضَحِّيَ عَنْهُ فَأَنَا أُضَحِّي عَنْهُ»

হযরত হানশ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি হযরত আলী রাঃ কে দেখলাম তিনি দু’টি বকরী কুরবানী করলেন। আমি তাকে বললাম, এটি কি? [আপনার উপরতো একটি আবশ্যক ছিল কিন্তু আপনি দু’টি করলেন কেন?] তিনি বললেন, নিশ্চয় রাসূল সাঃ আমাকে অসিয়ত করেছেন তার পক্ষ থেকে কুরবানী করতে। এ কারণে আমি তার পক্ষ থেকে কুরবানী করছি। {আবু দাউদ, হাদীস নং-২৭৯০}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
এক্ষেত্রে রাসুলুল্লাহ সাঃ এর নামে এক ভাগ দেয়া যাবে।
তবে সেই ভাগের টাকা কাহারো সম্পূর্ণ দিতে হবে।
ঢালাও ভাবে দেয়া যাবেনা।

(০৩)
তাদের নিয়ত শুদ্ধ করার চেষ্টা চালিয়ে যাবেন।
চেষ্টার পরেও কাজ না হলে এক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে প্রয়োজনে আপনি খাসি কুরবানী দিবেন।

(০৪)
মানসিক ডাক্তারদের পরামর্শ মেনে চলার পরামর্শ থাকবে। 

(০৫)
শুধু এই অজুহাতে জন্মনিয়ন্ত্রণ করলে মাকরুহে তানযিহি তথা অনুত্তম হবে।
তবে কোনো ভাবেই সন্তানের রিযিকের টেনশন ইত্যাদি কারন নিয়ত হিসেবে রাখা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 66 views
0 votes
1 answer 88 views
...