আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
124 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (5 points)
আসসালামু আলাইকুম।
নিম্নোক্ত প্রশ্নগুলোর উতর দিলে কৃতজ্ঞ থাকব।
প্রশ্ন -১ । ইসলামি ব্যাংকে চাকুরিরত কোনো ব্যক্তির উপার্জন কি হালাল(যার অন্য কোনো আয়ের উৎস নেই বা নগন্য) ? তার বাড়িতে দাওয়াত দিলে কি খাওয়া যাবে? তার কোনো হাদিয়া যদি নেসাব পরিমান সম্পদহীন কোনো ব্যক্তি গ্রহণ করে তাহলে কি তা জায়েজ? নেসাব পরিমান সম্পদ আছে এমন কোনো ব্যক্তির ব্যাপারেও  কি জায়েজ? একজনের যদি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রায় ৮০ হাজার টাকার ল্যাপটপ থাকে এবং  ক্যাশ টাকা ২০ হাজারের মত থাকে সে কি সাহেবে নেসাব হিসেবে গন্য হবে? যদি আরো বেশি মূল্যের ব্যক্তিগত সম্পদ থাকে যার সবই প্রয়োজনীয় তবেও কি সে সাহেবে নেসাব হিসেবে ধর্তব্য হবে না?

প্রশ্ন -২।  এক ব্যক্তির পিতা ছোট বয়সে তার মা কে ডিভোর্স দিয়ে অন্যত্র বিবাহ করেছে(বর্তমানে তার একটি মেয়ে রয়েছে)। মা তার ২ ছেলেকে লালন-পালন করেছে। পিতা মাঝে মধ্যে  দেখা করলেও ভরণ পোষণের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো খরচ দেয়নি। এক্ষেত্রে পিতার হক কি কি যা আদায় না করলে সন্তানদের গুনাহ হবে?  পিতার বৃদ্ধাবস্থায় কি তার দায়িত্ব ১ম ঘরের সন্তানদের ওপর বর্তাবে? উক্ত ব্যক্তির পিতার সংগে কিছু যোগাযোগ থাকলেও পিতার আত্নীয়দের স্বজনের সঙ্গে সচরাচর যোগাযোগ হয়না বললেই চলে। এতে কি সে আত্নীয়তার সম্পর্ক ছিন্নকারী হিসেবে গন্য হবে?  উক্ত মাতার ছোট ছেলে যদি বিদেশে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে গমন করে যেখানে আয়ের সুযোগ নেই তবে মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব কার?ছোট ছেলে কি খরচ দিতে বাধ্য?
প্রশ্ন ৩।  কোন আচরণ বা কথাবার্তা  চোগলখোরি হিসেবে গন্য হবে?  আর কোন কথা চোগলখোরি হবে না?

1 Answer

0 votes
by (675,600 points)
edited by
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বেশিরভাগ উলামায়ে কেরামদের মতে বাংলাদেশের ইসলামী ব্যাংক সহ কোনো ব্যাংকই  সম্পূর্ণ (১০০%) ইসলামী শরিয়া ভিত্তিক ভাবে পরিচালিত হয়না।
,
বিস্তারিত জানুনঃ 

আল্লাহ তায়ালা বলেন 
يا ايها الذين امنوا لا تاكلوا الربا اضعافا مضاعفه واتقوا الله لعلكم تفلحون 

 ‘হে মুমিনগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেও না। আল্লাহকে ভয় করো। তাহলে তোমরা সফল হতে পারবে। ’ -সূরা আল ইমরান: ১৩০

হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عبد الله بن مسعود عن أبيه عن النبي صلى الله عليه وسلم قال لعن الله آكل الربا وموكله وشاهديه وكاتبه

হযরত আব্দুল্লাহ বিন মাসউদ রাঃ এর পিতা থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-“যে সুদ খায়, যে সুদ খাওয়ায়, তার সাক্ষী যে হয়, আর দলিল যে লিখে তাদের সকলেরই উপর আল্লাহ তায়ালা অভিশাপ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস নং-৩৮০৯, মুসনাদে আবি ইয়ালা, হাদিস নং-৪৯৮১)

বিস্তারিত জানুনঃ  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
ইসলামী ব্যাংকে যেহেতু অনেক আলেমদের মতে  শরীয়াহ নীতিমালা পুরোপুরি মানা হয়না,তাই সতর্কতামূলক প্রশ্নে উল্লেখিত ব্যাক্তির দাওয়াত  গ্রহন না করা উচিত।
,
★একজনের যদি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য প্রায় ৮০ হাজার টাকার ল্যাপটপ থাকে এবং  ক্যাশ টাকা ২০ হাজারের মত থাকে সে সাহেবে নেসাব হিসেবে গন্য হবেনা।
,
(০২)
সন্তানদের উপর তার সেই পিতার বৈধ আদেশ মান্য করা জরুরি। 
নিজেদের কামাই রোজকার থাকলে তাহা যদি নিজ ও নিজের পরিবারের প্রয়োজন অতিরিক্ত হয়,সেক্ষেত্রে তার পিতার অর্থনৈতিক অবস্থা যদি সত্যিকার অর্থেই শোচনীয় হয়,তাহলে কেবল সেক্ষেত্রে ছেলেদের উপর ওয়াজিব হবে পিতাকে টাকা দেওয়া।
নতুবা ওয়াজিব হবেনা।
হ্যাঁ প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা হবে।
তাই মাঝে কথাবার্তা বলা,খোজ খবর নেওয়া সেই ছেলেদের জন্য জরুরি। 
,
(০৩)
"গোলযোগ সৃষ্টি বা মানুষের মধ্যে পারস্পরিক কলহ-দন্ধ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে একের কথা অন্যকে বলাকে চোগলখোরি বলা হয়।

অর্থাৎ মানুষের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ সৃষ্টি, প্রিয়জনদের মধ্যে শক্রতা ও বিচ্ছেদ সৃষ্টির জন্য একজনের কথা অন্যজনের কাছে লাগানো।
,
সুতরাং এহেন কথা বলা অবশ্যই চোগলখোরি হবে।
তবে এহেন কথা যদি না হয়,তবে দোষ যদি হয়,তাহলে গীবত হবে।
,
তাই যেকোনো ব্যাক্তির দোষ মূলক কাজ অন্যের কাছে বর্ণনা না করা উচিত।     


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (5 points)
জাযাকাল্লাহ প্রশ্নের উত্তরের জন্য।  
আরো কিছু বিষয় একটু পরিষ্কার বললে ভালো হয়। 
""তার কোনো হাদিয়া যদি নেসাব পরিমান সম্পদহীন কোনো ব্যক্তি গ্রহণ করে তাহলে কি তা জায়েজ? নেসাব পরিমান সম্পদ আছে এমন কোনো ব্যক্তির ব্যাপারেও  কি জায়েজ?""
এবং
""উক্ত মাতার ছোট ছেলে যদি বিদেশে পড়ালেখার উদ্দেশ্যে গমন করে যেখানে আয়ের সুযোগ নেই তবে মাতার ভরণপোষণের দায়িত্ব কার?ছোট ছেলে কি খরচ দিতে বাধ্য?""
জাযাকাল্লাহ খইর

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 96 views
...