ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-
https://www.ifatwa.info/7474
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৫ তারিখ রক্তস্রাব হওয়ার পর থেকে নিয়ে তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখতে হবে যে রক্তস্রাব কি তিনদিন পর্যন্ত হচ্ছে, এবং নামায থেকে বিরত থাকে হবে। তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে যদি দেখা যায় যে, রক্তস্রাব চলছে, তাহলে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে। নামায থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো গোনাহ হবে না।
(২)
মহিলার উপর হজ্ব তখনই ফরয হবে যখন মাহরামকে সাথে পাওযা যাবে বা মাহরামের খরচ বহন করা সম্ভব হবে।
(৩) ব্যাংকার ব্যক্তি তার হালাল ইনকাম থেকে বা জমি বিক্রি করে হজ্ব করবে এবং হজ্ব কবুল হওয়ার জন্য যেহেতু শর্ত হল, হারাম থেকে বেঁচে থাকা, তাই হারাম ইনকাম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করবে।
(৪) হারাম ইনকাম রয়েছে, এমন কারো থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা বা তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।