আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
47 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (34 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১। ১৫ তারিখ আসরের সময় হায়েজের মত(মেটে,সবুজ) কালারের মত দেখা যায়,(হায়েজের সময় চলছে), পরে রাতেও কিছুটা হলদেটে ছিল কিন্তু ১৬ তারিখে সারাদিন তেমন কিছু দেখা যায় নি,খুব সামান্য হলদেটে ভাব, মানে প্রায় সাদাই,এমন হলদেটে অনেক সময় হায়েজ ছাড়াও আসে।এখন কি সালাত আদায় করবে নাকি করবে না। এর আগেও অনেক সময় দেখা গিয়েছে হায়েজ দেখা গিয়েছে পরে ১/১.৫ দিন নাই,বা খুব সামান্য কিন্ত্য পরে হায়েজ হয়েছে।এখন কি তাহলে ৩দিন ৩রাত অপেক্ষা করে নামাজ পড়বে নাকি শুরু করে দিবে?? যদি হায়েজ না হয় তাহলে কাযা করবে।যদি এটা ইস্তেহাযা থেকে হয় তাহলে যে এই ৩দিন পড়লো না কাযা পড়লো এজন্য কি গুনাহ হবে???

২। আমার আম্মুর নিজের হজ্জের টাকা আছে কিন্তু সাথে যে মাহরাম /আমার ভাই যে যাবে তার হজ্জের সফরের খরচ দেবার মত সামর্থ্য নেই, আমার ভাই স্টুডেন্ট তেমন বেশি টাকাও নেই।আর যদি ম্যানেজ করতে চায় হয়তো জমি জমা বিক্রি করে করতে হবে। এমতাবস্থায় কি আমার আম্মুর উপর হজ্জ ফরজ??

৩।কোন ব্যাংকারের যদি ব্যাংকের বেতন/পেনশন বাবদ টাকা হজ্জের নিসাব পূর্ণ করে সে কি ঐ টাকায় হজ্জ করবে?? যেহেতু ব্যাংকের চাকরী হারাম। এটা কি কবুল হবে?? যদি ঐ টাকা দিয়ে না করতে পারে তাহলে কি  পৈতৃক জমি বিক্রি করে করতে হবে?? যেহেতু পরে জমি কিনলেও ঐ ব্যাংকের বেতন থেকেই করেছে।সে যদি কোন কাফেলার সাথে যায়,আর ব্যাংকের বেতনের টাকায় কিছু না কিছু খাওয়ায় তাহলে হারাম হবে?? এমন যারা তাদের সাথে (জানা আত্নীয়)কি হজ্জের/উমরাহর কাফেলা থেকে দূরে থাকা ভালো??
আর এসব আত্নীয়দের বাসায় খেলে তো জায়েজ হয় না/হারাম তাহলে কি খেলে কোন ইবাদতই কবুল হবে না??

আমার বলতে গেলে একজন খালা( সুস্থ মতিষ্কের) ।আত্নীয় বলতে তাদের সাথে উঠা বসা।খালা খালু ২জনই ব্যাংকার।দেখা যায় বিভিন্ন কারণে তারা আসে আমাদেরও যাওয়া হয়,বাধ্য হয়ে খেতে হয়।,না নিতে চাইলেও অনেক সনিয় জোর করে দিয়ে দেয়।সরাসরি বলতেও  পারি না হারাম খাবার। এটা নিয়ে নিজের বাসায় ঝামেলা / মন খারাপও হয়,মা তো মন করেই,আবার এটাও বলে আত্নীয় তো বাদ দিতে পারবা না,আর গেলে খাওয়া হয়ই।না খেলে কান্নাকাটি করে আরেক অবস্থা খারাপ। এ অবস্থায় কি করণীয়??

এক্ষেত্রে সাদকা করতে চাইলেও এমাউন্ট হিসাব করা তো পসিবল হয় না,বিভিন্ন ধরনের খাবার হয়।আইডিয়া করে দিতে চাইলেও যে পরিমাণ দিতে হবে এটার সামর্থ্য আবার আমার হবে না।কি করবো বুঝি না।একটু উপায় জানাতেন।

1 Answer

0 votes
by (589,830 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
হায়েযের সর্বোচ্ছ সময়সীমা ১০দিন।এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে।(বেহেশতী জেওর-১/২০৬) তথা সাদা রং ব্যতীত সকলপ্রকার রং ই হায়েযের অন্তর্ভুক্ত।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২)এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/7474


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১৫ তারিখ রক্তস্রাব হওয়ার পর থেকে নিয়ে তিনদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখতে হবে যে রক্তস্রাব কি তিনদিন পর্যন্ত হচ্ছে, এবং নামায থেকে বিরত থাকে হবে। তিন দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করে যদি দেখা যায় যে, রক্তস্রাব চলছে, তাহলে হায়েয হিসেবে গণ্য করা হবে। নামায থেকে বিরত থাকার জন্য কোনো গোনাহ হবে না।

(২)
মহিলার উপর হজ্ব তখনই ফরয হবে যখন মাহরামকে সাথে পাওযা যাবে বা মাহরামের খরচ বহন করা সম্ভব হবে।

(৩) ব্যাংকার ব্যক্তি তার হালাল ইনকাম থেকে বা জমি বিক্রি করে হজ্ব করবে এবং হজ্ব কবুল হওয়ার জন্য যেহেতু শর্ত হল, হারাম থেকে বেঁচে থাকা, তাই হারাম ইনকাম থেকে বেচে থাকার চেষ্টা করবে।

(৪) হারাম ইনকাম রয়েছে, এমন কারো থেকে হাদিয়া গ্রহণ করা বা তাদের বাসায় দাওয়াত খাওয়া কখনো জায়েয হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...