আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
52 views
ago in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।
আমি গত কয়েকদিন আগে প্রশ্ন করেছিলাম যথেষ্ট ভালো উত্তর পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।
প্রশ্ন ছিল ছোট ভাই বড় ভাইয়ের বউকে ধর্ষণ করেছে এই নিয়ে।


কিন্তু এখন আমি জানতে চাচ্ছি।  যেহেতু ছোট ভাই ধর্ষক প্রমাণিত হয়েছে এবং ন্যাকারজনক কাজ করে  ফ্যামিলির মান সম্মান ইজ্জত নষ্ট করেছে একটা সংসার ভেঙে গেছিলো এখনো ভাঙনের মধ্যই আছে মোটামুটি. …!!!
এতসব অপরাধ করার পরেও ছোট ভাইকে কোন শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় নি শুধু পায়ে ধরে মাফ চাওয়ানো হয়েছে,, এখন যদি আইনের আওতায় এনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কি বড়ভাইয়ের জন্য আল্লাহর দেওয়া বিধানের কোন অমান্য হবে..? কারন বাংলাদেশের আইনে ধর্ষণের বিচার না চেয়ে গোপনে সমাধান করাটা অপরাধ যোগ্য।

এক্ষেত্রে হয়তোবা পুরো পরিবারের সঙ্গে একটু সমস্যা সৃষ্টি হবে কিন্তু বড়ভাইয়ের বউকে ধর্ষণ করা হইছে আর মানুষকে জানানো হইছে পরকিয়ায় লিপ্ততা।  এখানে একটা মেয়েকে জুলুম করা হচ্চে না?
এবং মেয়ের পরিবারের মান সম্মান ইজ্জত নষ্ট করেছে না?
কিন্তু যে করলো তাহার কিছুই হইলোনা..?

এক্ষেত্রে যদি বড়ভাই এবং বড়ভাইয়ের বউ আইনের আওতায় এনে ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হয় তাহলে কি আল্লাহর কোন বিধানে বড়ভাই আটকা পড়বো.?

আইনের মাধ্যমে সমাধান বা শাস্তি দাবি করলে ইনসাফ করা হবে তো?.

যদি ছোট ভাইয়ের পক্ষ নিয়ে বঊকে আলাদা করে দেওয়া হয় সে ক্ষেত্রে তো ১০০% বেইনসাফ!! এবং জুলুম করা হলো না একটা মানুষের উপরে?
এক্ষেত্রে  ইসলামের সঠিক সমাধান জানতে চাই এবং জানতে পারলে খুবই  উপকৃত হবো ইনশাআল্লাহ।
জাজাকাল্লাহ খাইরান।

1 Answer

0 votes
ago by (56,910 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://www.ifatwa.info/105344/ নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

وَ الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَهُمۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهُمۡ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ اَنۡفُسُهُمۡ فَشَهَادَۃُ اَحَدِهِمۡ اَرۡبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۶

আর যারা নিজদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ আরোপ করে, অথচ নিজেরা ছাড়া তাদের আর কোন সাক্ষী নেই, তাহলে তাদের প্রত্যেকের সাক্ষ্য হবে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের অন্তর্ভুক্ত। সূরা নুর-০৬


 وَ الۡخَامِسَۃُ اَنَّ لَعۡنَتَ اللّٰهِ عَلَیۡهِ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۷

আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, সে যদি মিথ্যাবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর লা‘নত। সূরা নুর-০৭


وَ یَدۡرَؤُا عَنۡهَا الۡعَذَابَ اَنۡ تَشۡهَدَ اَرۡبَعَ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ۙ﴿۸

আর তারা স্ত্রীলোকটি থেকে শাস্তি রহিত করবে, যদি সে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয় তার স্বামী মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।

সূরা নুর-০৮


وَ الۡخَامِسَۃَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَیۡهَاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ

আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, যদি তার স্বামী সত্যবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর গযব। সূরা নুর-০৯


হাদীস শরীফে এসেছেঃ-

حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ قَالَ: وَمَا بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي فُلَانٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ صحيح

ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে ডেকে বললেনঃ তোমার সম্বন্ধে যে সংবাদ আমার কানে পৌঁছেছে তা কি সত্য? সে বললো, আমার সম্বন্ধে আপনার নিকট কিরূপ সংবাদ পৌঁছেছে? তিনি বললেনঃ তুমি নাকি অমুক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে যেনা করেছো? সে বললো, হ্যাঁ। অতঃপর সে চারবার একথার স্বীকারোক্তি করে। সুতরাং তিনি তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দেন। অতঃপর তাকে পাথর মারা হয়। আবু দাউদ-৪৪২৫

,

আরো জানুনঃ-

https://ifatwa.info/27362/


হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে বর্ণিত,

عن عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء» فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো। একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ সা.! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, দেবর হল, মৃত্যু। (সহীহ বুখারী-৫২৩২)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


উভয় প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী যতটুকু বুঝে আসছে যে, এই বড় অন্যায়ের ক্ষেত্রে উভয় জনের দোষ আছে অর্থাৎ বড় ভাইয়ের স্ত্রীর ও ছোট ভাইয়ের। তা ছাড়া তো এক পক্ষ থেকে এতো বড় অন্যায় একদিনই সংগঠিত হওয়া একটু কঠিন। তাই এই ক্ষেত্রে বড় ভাইয়ের বা তার পরিবারের অধিকার আছে যে, তাদের দুজনকে প্রশাসনের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার । আবার এই অধিকারও আছে যে, বড় ভাই তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...