ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।
বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/105344/
নং ফাতওয়ায় উল্লেখ রয়েছে যে,
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
وَ
الَّذِیۡنَ یَرۡمُوۡنَ اَزۡوَاجَهُمۡ وَ لَمۡ یَکُنۡ لَّهُمۡ شُهَدَآءُ اِلَّاۤ
اَنۡفُسُهُمۡ فَشَهَادَۃُ اَحَدِهِمۡ اَرۡبَعُ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ اِنَّهٗ
لَمِنَ الصّٰدِقِیۡنَ ﴿۶﴾
আর যারা নিজদের স্ত্রীর প্রতি অপবাদ
আরোপ করে, অথচ নিজেরা ছাড়া তাদের আর কোন সাক্ষী নেই, তাহলে তাদের
প্রত্যেকের সাক্ষ্য হবে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেবে যে, সে নিশ্চয়ই সত্যবাদীদের
অন্তর্ভুক্ত। সূরা নুর-০৬
وَ
الۡخَامِسَۃُ اَنَّ لَعۡنَتَ اللّٰهِ عَلَیۡهِ اِنۡ کَانَ مِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ﴿۷﴾
আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, সে যদি মিথ্যাবাদী
হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর লা‘নত। সূরা নুর-০৭
وَ
یَدۡرَؤُا عَنۡهَا الۡعَذَابَ اَنۡ تَشۡهَدَ اَرۡبَعَ شَهٰدٰتٍۭ بِاللّٰهِ ۙ
اِنَّهٗ لَمِنَ الۡکٰذِبِیۡنَ ۙ﴿۸﴾
আর তারা স্ত্রীলোকটি থেকে শাস্তি
রহিত করবে, যদি সে আল্লাহর নামে চারবার সাক্ষ্য দেয় যে, নিশ্চয় তার স্বামী
মিথ্যাবাদীদের অন্তর্ভুক্ত।
সূরা নুর-০৮
وَ
الۡخَامِسَۃَ اَنَّ غَضَبَ اللّٰهِ عَلَیۡهَاۤ اِنۡ کَانَ مِنَ الصّٰدِقِیۡنَ
আর পঞ্চমবারে সাক্ষ্য দেবে যে, যদি তার স্বামী
সত্যবাদী হয়, তবে নিশ্চয় তার উপর আল্লাহর গযব। সূরা নুর-০৯
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
حَدَّثَنَا
مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، عَنْ سَعِيدِ
بْنِ جُبَيْرٍ، عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ
وَسَلَّمَ لِمَاعِزِ بْنِ مَالِكٍ: أَحَقٌّ مَا بَلَغَنِي عَنْكَ؟ قَالَ: وَمَا
بَلَغَكَ عَنِّي؟ قَالَ: بَلَغَنِي عَنْكَ أَنَّكَ وَقَعْتَ عَلَى جَارِيَةِ بَنِي
فُلَانٍ؟ قَالَ: نَعَمْ، فَشَهِدَ أَرْبَعَ شَهَادَاتٍ، فَأَمَرَ بِهِ فَرُجِمَ
صحيح
ইবনু আব্বাস (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাঈয ইবনু মালিককে
ডেকে বললেনঃ তোমার সম্বন্ধে যে সংবাদ আমার কানে পৌঁছেছে তা কি সত্য? সে বললো, আমার সম্বন্ধে
আপনার নিকট কিরূপ সংবাদ পৌঁছেছে?
তিনি বললেনঃ তুমি নাকি অমুক গোত্রের জনৈক বাঁদীর সঙ্গে যেনা
করেছো? সে বললো,
হ্যাঁ। অতঃপর সে চারবার একথার স্বীকারোক্তি করে। সুতরাং তিনি
তাকে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার আদেশ দেন। অতঃপর তাকে পাথর মারা হয়। আবু দাউদ-৪৪২৫
,
আরো জানুনঃ-
https://ifatwa.info/27362/
হযরত উকবাহ ইবনে আমের রাযি থেকে
বর্ণিত,
عن
عقبة بن عامر: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال: «إياكم والدخول على النساء»
فقال رجل من الأنصار: يا رسول الله، أفرأيت الحمو؟ قال: «الحمو الموت»
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,তোমরা গায়রে
মহিলাদের ঘরে প্রবেশ থেকে বেঁচে থাকো। একজন আনসারি সাহাবী জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ
সা.! দেবরের সম্পর্কে আপনি কি মনে করেন/কি হুকুম? রাসূলুল্লাহ সা. বললেন, দেবর হল, মৃত্যু। (সহীহ
বুখারী-৫২৩২)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
উভয় প্রশ্নের বিবরণ অনুযায়ী
যতটুকু বুঝে আসছে যে, এই বড় অন্যায়ের ক্ষেত্রে উভয় জনের দোষ আছে অর্থাৎ বড় ভাইয়ের স্ত্রীর
ও ছোট ভাইয়ের। তা ছাড়া তো এক পক্ষ থেকে এতো বড় অন্যায় একদিনই সংগঠিত হওয়া একটু কঠিন।
তাই এই ক্ষেত্রে বড় ভাইয়ের বা তার পরিবারের অধিকার আছে যে, তাদের দুজনকে প্রশাসনের
মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার । আবার এই অধিকারও আছে যে, বড়
ভাই তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দিবে।