ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আপনাকে ঘরোয়া ভাবে কিছু রুকইয়ার পরমার্শ দিচ্ছি,
(১) সকল প্রকার ফরয ওয়াজিব ইবাদত যত্নসহকারে পালন করা এবং সকল প্রকার হারাম ও নাজায়ে কাজ হতে বেঁচে থাকে।
(২) অধিক পরিমাণ কুরআন তেলাওয়াত করা।
(৩) দু'আ, জায়েয তাবীয ও যিকিরের মাধ্যমে নিজেকে হেফাজতের চেষ্টা করা।
নিম্নোক্ত দু'আকে সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে পড়া।
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِي لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ، فِي الْأَرْضِ، وَلَا فِي السَّمَاءِ، وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ،
প্রত্যক নামাযের পর ও ঘুমানোর সময় এবং সকাল সন্ধ্যায় আয়াতুল কুরসী পড়া এবং ঘুমানোর সময় ও সকাল সন্ধ্যা তিনবার করে সূরা নাস,সূরা ফালাক্ব ও সূরা ইখলাস পড়া এবং প্রতিদিন নিম্নোক্ত দু'আটি একশতবার করে পড়া।
لا اله الا الله وحده لا شريك له له الملك وله الحمد وهو على كل شيئ قدير،
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১-৫. আবার আল্লাহ সবকিছুর খালিক ও মালিক, জগতের সব কিছু উনার হুকুমেই সংগঠিত হয়, তাবিজ বা ঔষধের অদ্য কোনো ক্ষমতা নেই। এমন আক্বিদা পোষণ করে জায়েয ও বৈধ কালামের মাধ্যমে চিকিৎসা হিসেবে ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজও ব্যবহার করতে পারেন।
তাই পরামর্শ দিবো, উপরোক্ত বিষয়গুলোর জন্য ভালো কোনো বিশুদ্ধ আকিদার মুদাব্বিরের শরণাপন্ন হওয়ার। মুদাব্বির মানে যিনি কুরআন হাদীস থেকে সেহেরের চিকিৎসা করে থাকেন। যাকে রুকইয়ায়ে শরঈয়্যাহ বলা হয়।
৬. ক্যান্সার রোগের জন্য উন্নতমানের চিকিৎসা করানোর পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালার কাছে বেশি বেশি দোয়া করতে পারেন। কারণ সমস্ত রোগ থেকে মুক্তি দানকারী একমাত্র আল্লাহ তাআলা। তিনি রাজি ও খুশি হয়ে গেলে উক্ত রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারেন।
দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা উনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতার নেয়ামত দান করেন।