সম্মানিত ওস্তাজ,
আস সালামু আলাইকুম। আমার কিছু বিষয় জানার ছিলো। মেহেরবানি করে উত্তর দিলে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ্।
১) আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার আহলিয়া গর্ভধারন করেছেন। আদর্শ ও দ্বিনদার, চরিত্রবান সন্তান লাভের জন্য এবং উত্তম বাবা-বা হওয়ার জন্য আমরা কি কি আমল করতে পারি আল্লাহর কাছে? কিংবা নরমালে যাতে আমাদের ডেলিভারি হয়, সেজন্য ইন শা আল্লাহ কি কি আমল করতে পারি আমরা??
২)গর্ভের সন্তানের কত মাস হলে গর্ভের সন্তানের রুহ দান করা হয় বা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ভাগ্য লিপিবদ্ধ হয়?
৩)গর্ভকালীন সময়ে নারীদের বেশকিছু জটিলতা দেখা দেয়। আমার আহলিয়াও প্রচন্ড কোমড় এবং জয়েন্টে ব্যথার কারনে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন না। উপরন্তু প্রচন্ড মাথা ঘুরানো আর বমির ঔষধ খাওয়া সত্বেও দাঁড়িয়ে নামাজ আদায়ের সময় রুকুতে গেলে কখনো মুখভর্তি বমি চলে আসে। এমতাবস্থায় কি বসে নামাজ আদায় করা যাবে কিনা??
৪)প্রসব /ডেলিভারির সময় উপনিত হওয়ার পরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন নির্দিষ্ট সময় পূর্ণ হলে প্রসব ব্যথা ওঠা, পানি ভাঙ্গা কিংবা কখনো ভাঙ্গে না, অল্প পরিমানে রক্তস্রাব যাওয়া। কোনো নারীর একইসাথে সব লক্ষন প্রকাশ পায় আবার কারো ১ বা ২টি লক্ষন প্রকাশ পায়।আমার জানার বিষয় হলো প্রসব ব্যথা শুরুর পরে কতক্ষণ পর্যন্ত নামাজ আদায় করা যাবে? এই লক্ষণের যেকোনো একটা লক্ষণ দেখা দিলে নাকি সবগুলো লক্ষন প্রকাশ পাওয়ার পরে জানালে উপকৃত হবো ইন শা আল্লাহ্।