আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
119 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমি বর্তমানে ৬ মাসের গর্ভবতী আলহামদুলিল্লাহ। আমি স্বামী রিসার্চ সেক্টরে কাজ করেন ফার্মাসি ডিপার্টমেন্টে। তার এই কাজের জন্য সকাল সকাল চলে যেতে হয়, আর আসতে আসতে রাত ৯টা পার হয়ে যায়, কখনও বা ১০:৩০ ও বেজে যায়। আমরা দু'জনই ঢাকায় থাকি। সারাদিন আমি একা একা থাকি বাসায়। শরীর খারাপ হলেও দেখার কেও নেই। স্বামীকে ফোন করলেও রিসিভ করতে পারেনা কাজের চাপের জন্য। আমার স্বামী আলহামদুলিল্লাহ যথেষ্ট চেষ্টা করেন কুরআন ও হাদিসের দেখানো পথে চলতে। এটা আমাদের প্রথম সন্তান। মা-বাবা থেকে দূরে থাকি, কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের দুজনের নেই।

১. উস্তায আপনি দয়া করে আমার জন্য ও আমার স্বামীর জন্য দিকনির্দেশনা দেন। এই বিশেষ সময়ে একজন স্বামীর কি কি দায়িত্ব থাকে তার স্ত্রীর প্রতি?

২. আমার অনাগত সন্তানের জন্য আমার কি কি আমল করা উচিত এই শেষ কয়েক মাসে??

জাযাকাল্লাহ খায়ের উস্তায

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
বেশি বেশি আল্লাহর কাছে সন্তান ও মায়ের সুস্বাস্থের জন্য দোয়া করতে হবে।

★এই সময়ে স্ত্রীর অনেক খাবার খেতে ইচ্ছা হয়। প্রায়শই স্বামীর কাছে অনেক কিছু দাবি করতে পারেন তিনি। 
সাধ্য মতো সেটি পূরনের চেষ্টা করা।  

★এই সময় হরমোনাল পরিবর্তনের কারনে স্বামীকে বিরক্ত করতে পারে,এক্ষেত্রে স্বামী হিসেবে অধৈর্য না হয়ে ধৈর্য ধরতে হবে। 

গর্ভাবস্থায় অনেকেই নিরাপত্তার অভাবে ভুগতে থাকেন। স্ত্রীর পাশে থাকতে হবে। 

গর্ভবস্থায় স্ত্রীকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। তিনি কত ভাল মা হতে পারেন, সন্তান আসছে তাই স্বামী কতটা খুশি এগুলো তাকে বলতে হবে।

গর্ভাবস্থার সময়ে স্ত্রী যাতে আনন্দে থাকতে পারে সেজন্য হাসিঠাট্টা করা, তার প্রতি মনোযোগ ও খেয়াল রাখা স্বামীর অন্যতম দায়িত্ব। স্ত্রীর সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের ঝগড়া-বিবাদের সময়ে স্ত্রীর পাশে থেকে তাকে সাহায্য করা।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত)

আরো করনীয় জানুনঃ 

(০২)
আল্লাহর কাছে বেশি বেশি দোয়া করুন।

رَبِّ هَبْ لِىْ مِنْ لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةًۚ اِنَّكَ سَمِيْعُ الدُّعَآءِ

হে আমার পালনকর্তা! আপনার পক্ষ থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান করুন। নিশ্চয়ই আপনি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (আল ‘ইমরান: ৩৮)

এই দোয়াও পড়তে পারেন—
رَبِّ هَبْ لِىْ مِنَ الصّٰلِحِيْنَ 
হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে সৎকর্মশীল পুত্র সন্তান দান করুন। (আস-সাফফাত: ১০০)

গোনাহ থেকে বিরত থাকুন।
ধৈর্য্য ধারণ করুন।
সময় মত নামাজ আদায় করুন।
যিকির আযকারে লিপ্ত থাকুন।
ওযু অবস্থায় থাকার চেষ্টা করুন।

আপনার সন্তানের জন্য কোরআন তেলাওয়াত করুন: প্রায় ২০ তম সপ্তাহে গর্ভের বাচ্চা শোনার সক্ষমতা অর্জন করে। মা প্রতিদিন কিছু কোরআন তেলাওয়াত করে বাচ্চার মাঝেও কোরআনের মাঝে সম্পর্ক জুড়ে দেয়ার এটাই উপযুক্ত সময়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর রাযি. বলেন,

عَلَيْكُم بِالْقُرْآَن ، فَتَعَلَّمُوه وَعَلَّمُوه أَبْنَائِكُم ، فَإِنَّكُم عَنْه تُسْأَلُوْن ، وَبِه تُجْزَوْن

কোরআনের বিষয়ে তোমাদের উপর অবশ্য পালনীয় এই যে, কোরআন শিক্ষা করা এবং তোমাদের সন্তানদের কোরআন শিক্ষা দেয়া। কেননা এ বিষয়ে তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে এবং তার প্রতিদানও দেয়া হবে। (শরহে সহীহ বুখারী, ইবন বাত্তাল : ৪৬)

খাবারের মধ্যে খেজুর খাওয়ার চেষ্টা করুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...