আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
514 views
in সালাত(Prayer) by (13 points)
আসসালামু 'আলাইকুম।
মসজিদের ইমামের নিকটে শুনেছিলাম, হাত বাঁধার তিনটি নিয়ম রয়েছে। যথা : নাভীর নিচে, নাভীর ওপরে, বুকের ওপরে।
আমার আগ্রহী মন জানতে চায়, আসলে কোন নিয়মটি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত?
আর এই তিনটির মধ্যে কোন নিয়মটি মেনে চললে সর্বোত্তম হবে?

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
নামাযে হাত রাখার বিধান
مكان وضع اليدين في الصلاة
ذهب جمهور الفقهاء الحنفية والشافعية والحنابلة إلى أن من سنن الصلاة القبض وهووضع اليد اليمنى على اليسرى وخالفهم في ذلك المالكية فقالوا: يندب الإرسال ويكره القبض في صلاة الفرض وجوزوه في النفل وهذا في الجملة
জুমুহুর ফুকাহায়ে কেরাম, হানাফি, শাফেয়ী, হাম্বলী সবাই বলেন,নামাযের সুন্নাহ হল,এক হাতকে অন্য হাতের উপর বাধা।এ ব্যাপারে মালিকিরা ভিন্ন মত পোষন করে বলেন,নামাযে হাত ছেড়ে দেয়াই মুস্তাহব।এমনকি ফরয নামাযে হাতকে বাধা মাকরুহ।তবে নফল নামাযে অনুমোদন রয়েছে। 
 
ومكان وضع اليدين بهذه الكيفية هو تحت الصدر وفوق السرة، وهذا عند المالكية والشافعية ورواية عند الحنابلة، وهو قول سعيد بن جبير لما روى وائل بن حجر قال: صليت مع رسول الله، ووضع يده اليمنى على يده اليسرى على صدره
وعند الحنفية وفي الرواية الأخرى عند الحنابلة أنه يضع يديه تحت سرته وروي ذلك عن علي وأبي هريرة وأبي مجلز والنخعي والثوري وإسحاق لما روي عن علي أنه قال: من السنة وضع الكف على الكف في الصلاةتحت السرة
নামাযে বুকের উপর হাত বাধা হবে।এটা শাফেয়ী এবং মালিকি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং সাঈদ ইবনে জুবাইর রাহ এর মত ও এটি।কেননা ওয়াঈল ইবনে হাজার রাযি থেকে বর্ণিত রয়েছে,আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে নামায পড়েছি।রাসূলুল্লাহ সাঃ এক হাতের উপর আরেকটি হাতকে বুকের উপর রেখেছেন।(ইবনে খুযাইমাহ-১/২৪৩)
হানাফি মাযহাব এবং এক বর্ণনা অনুযায়ী হাম্বলী মাযহাব মতে নাভীর নীচে হাত বাধা হবে।কেননা আবু হুরায়রা সহ অনেক সাহাবী থেকে এ বব্যাপরে বর্ণিত রয়েছে।হযরত আলী রাযি বলেন,সুন্নাহ হলো,এক হাতের উপর অন্য হাতকে নাভীর নীচে বাধা।(সুনানু আবি-দাউদ-১/৪৮০)
(আল-মাওসুআতুল ফেকহিয়্যাহ-৩৮/৩৬৯)

নাভীর নীচে এবং নাভীর উপরে হাত বাধা সম্পর্কে  উভয় ধরণের রেওয়ায়ত বর্ণিত রয়েছে।
আপনি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকলে সে মাযহাবের ব্যখ্যা অনুযায়ী আ'মল করবেন।এটাই স্বাভাবিক। এবং সেটাই আপনার জন্য সুন্নাহ।
আর যদি পূর্ব থেকে কোনো মাযহাবকে অনুসরণ না করে থাকেন।অথবা হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করে থাকেন,তাহলে  নামাযে নাভির নিচেই হাত বাধবেন।নাভীর নীচে হাত বাধার বিশুদ্ধ প্রমাণ রয়েছে।
বিস্তারিত জানতে দেখতে পারেন।
চান্দ আহম আছরী মাসাঈল-১৫০
আল্লাহ-ই ভালো জানেন।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-১১৭৭


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...