আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
93 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম।
মুহতারাম।

দুইজন ছেলে আর মেয়ে প্রেম করতো।স্বাভাবিকভাবেই তাদের সারাক্ষণ কথা বার্তা হতো,দেখা সাক্ষাৎ হতো।তো আস্ত আস্ত তারা ঘনিষ্ট হতে শুরু করে,এবং চরম জিনায় লিপ্ত হয়ে পড়ে।কিন্ন্তু এরপর তাদের অনেক পাপবোধ হলো,আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করলো।নিজেদের হারাম থেকে দূরে রাখার জন্য যোগাযোগ বন্ধ করে দিলো,কিন্তু, কয়েকদিন বন্ধ রাখার পর আবার কথা হতো,আবার বন্ধ করতো,এভাবে চলতেই থাকলো। তারা একে অপরকে হালালভাবে চাইতো।তাই,তারা গোপনে বিয়ে করে ফেলে।পরবর্তীতে কথা ছিলো পরিবার থেকে বিয়ে হবে।কিন্তু, কোনো এক কারণে হয়নি,তাদের কথা ছিলো যদি পরিবার থেকে বিয়ের জন্য রাজি না হয় তাহলে যেহেতু গোপন বিয়ে অপছন্দনীয় কাজ,কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিয়ে শুদ্ধ না হলে  সবসময় জিনার গোনাহ হয়,আর,এ গোপন বিয়ের মাধ্যমে পরিপূর্ণ হক আদায় করাও সম্ভব হচ্ছিলো না তাই তারা ১ তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে যাবে।তো যেহেতু পারিবারিকভাবে বিয়েটা হয়নি তখন তাই তারা কথা মতো এক তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে গেল এবং বললো যে এখন থেকে আমাদের মধ্যে আর স্বামী স্ত্রী সম্পর্ক নেই, আমরা আলাদা হয়ে গেলাম।ইন শা আল্লাহ, আমি যখন প্রতিষ্ঠিত হবো তখন আবার আসবো,আর,তখন যদি দুই পরিবার মিলে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয় তবে আমরা আবার এক হবো,নাহলে যে যার মতো বিয়ে করে নিবো।সবকিছু ঠিকঠাকই চলতে লাগলো।কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এক তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে গেলেও মানুষের শারীরিক চাহিদা থাকবে এটাই স্বাভাবিক, বাসায় বার বার বিয়ের কথা বলার পরও রাজি হচ্ছিলো না।আর,মেয়ে ১ তালাক নিয়ে ধৈর্য ধরতে লাগলো।কিন্তু, ছেলেটা মাঝে মাঝে নক দিতো যে তার শারীরিক চাহিদা জাগছে বার বার  এখন কি করবে,মেয়েটা ধৈর্য ধরতে বলতো।১ তালাক দিয়েছিলো বিয়ের প্রায় ৯ মাস পর,এই ৯ মাসে ওদের মধ্যে ১২-১৩ দিন শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে,যেহেতু একসাথে থাকতোনা,মাঝে মাঝে একসাথে সময় কাটাতো।তো কল করার পর মেয়েটা বুঝাতো যে আমাদের ধৈর্য ধরতে হবে।শারীরিক সম্পর্ক করা গুনাহ,ছেলেটাও বুঝতো।কিন্তু, চাহিদা তো আর বুঝ মানেনা।তখন সে বলতো একসাথে সময় কাটানোর কথা।মেয়েটা তখন ছেলেটার কষ্ট দেখে+নিজেরও কষ্ট যেহেতু তারা ভালোবেসেই একে অপরকে বিয়ে করেছে আবার ১ তালাকও হয়ে গেছে,তবুও ছেলেটার সাথে সময় কাটাতে রাজি হয়,কিন্তু ছেলেটা বলে আমরা কিন্তু এখন আর স্বামী স্ত্রী না,বিয়ের আগে যেমন আমরা মাঝে মাঝে সময় কাটাতাম,এখনও সেভাবই, গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডের মতো সময় কাটাবো।তো মাসে ১ বার তারা এভাবে সময় কাটাতো,যখন আর ধৈর্য ধরতে পারতোনা।১ তালাক হয়েছিলো ফেব্রুয়ারির  শেষে।তারা এর পর আবার ১ম শারীরিক সম্পর্ক করে  এপ্রিলের শেষে।কিন্তু, যাওয়ার আগে ছেলেটা বার বার বলে যে আমরা কিন্তু গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড হিসেবে যাচ্ছি। অর্থাৎ ছেলেটা মেয়েটাকে আর বউ হিসেবে স্বীকার করেনি,যেহেতু  এক তালাক দিয়ে দিয়েছে।তবুও মেয়েটা ভালোবাসতো বিদায় তালাক হয়ে যাওয়ার পরও রাজি হয়েছে।

কিন্তু এখন কথা হচ্ছে এই যে তারা আবার সম্পর্ক করলো এতে কি তাদের আবার বৈবাহিক সম্পর্ক শুরু হয়ে গেছে?কারণ,তখন তালাক দেওয়ার পর মেয়েটার মাত্র ২ হায়েজ গিয়েছিলো।ইদ্দত পালন করতে চাইলে তো তিন হায়েজ প্রয়োজন।যদিও ছলেটা বলেছে আমরা আর স্বামী স্ত্রী না।এর উত্তর কি হবে।আর,এর পর জুন মাসে মেয়েটার ৩ হায়েজ পূর্ণ হয়,অর্থাৎ ইদ্দত শেষ হয়।তাহলে তো তাদের পুর্ণ তালাক হয়ে গেছে।এখন তো বৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করতে তাদের আবার বিয়ে করা লাগবে।

কিন্তু এই ইদ্দতের সময়টার মধ্যে ছেলেটার সাথে ২ দিন শারীরিক সম্পর্ক হয় গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড হিসেবে।

তো আবার যেহেতু তারা গুনাহই করে ফেলতেছে তাদের আবার পাপবোধ জাগ্রত হলো।তখন মেয়েটা আবার বাসায় ঐ ছেলের সাথে বিয়ের কথা বললো,ছেলেও বাসায় বললো,কিন্তু কেউ রাজি হলোনা।ছেলে বলতেছিলো,মেয়ে যেন তার পরিবারকে ছেলের পরিবার ছাড়াই বিয়ের জন্য রাজি করাতে যেহেতু তারা আসবেন না।কিন্তু মেয়ের পরিবার রাজি হয়না।তো এটা নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক মন খারাপ,কথা কাটাকাটি হলো,যে কেন রাজি করাতে পারছেনা,এতো ভালোবাসলে।তো,এরপর ছেলেটা বললো আমার এসব নিয়ে চিন্তা করতে আর ভালো লাগছেনা,জীবনটা জাহান্নাম হয়ে যাচ্ছে। আমি আর কিছুই চাইনা,তোমাকেও চাইনা।রেগেই বলেছিলো এই কথাগুলো।পরে মেসেজে বললো যে তোমাকে ২ নাম্বার তালাক। এর কিছুদিন পর আবার মেসেজে তালাক তালাক তালাক লিখলো।

কিন্তু, সমস্যা হচ্ছে যখন ২ নাম্বার তালাক দিয়েছে তখন ১ম তালাকের ইদ্দতের সময় শেষ হয়ে গেছে,অর্থাৎ ১ম তালাক দেওয়ার পর ৪ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে আর মেয়েটারও চার হায়েজ হয়েছিলো মোট।এখন,যেহেতু এর মধ্যে তারা আরো ২ দিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে ১ম ইদ্দত চলাকালীন,এ কারণে কি তাদের বিবাহ বহাল ছিলো,নাকি গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ড হিসেবে করার কারণে ১ম তালাক কার্যকর হয়েছিলো পুরোপুরি, এবং  বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে।

অর্থাৎ ২য় তালাক টা কিন্তু ইদ্দতের সময় শেষ হওয়ার পর দিয়েছে।এখন এর ফয়সলা কি।

এখন ছেলেটা আবার মেয়েটাকে চাচ্ছে, বিয়ে করতে চাচ্ছে। যদিও এক তালাক দিয়ে আলাদা হয়ে গেছিলো,পরবর্তীতে ঐ দুইদিনের শারীরিক সম্পর্ক, তারপর ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পর আবার ২ তালাক মেসেজে লিখে বলা এর কারণে কি তাদের ৩ তালাক হয়ে গেছে?নাকি ১ম তালাকের পর ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার পরই ঐ বিয়ে বাতিল হয়ে গেছে আর সেক্ষেত্রে পরবর্তী তালাক ২ টা আর কোনো প্রভাব ফেলবেনা  বা কার্যকর হবেনা।একটু জানাবেন দয়া করে।

ঐ মেয়েটা জানতে চাচ্ছে।কারণ,যদি বিয়েটা তখন বাতিল না হয়,তাহলে তো তাদের তিন তালাক হয়ে গেছে কারণ তারা ইদ্দতের সময় আরো ২ দিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে।আর,যদি  স্বামী-স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ না করায় বিয়েটা বাতিল হয়ে যায় তাহলে তো পরবর্তী ২ তালাক আর কার্যকর হবেনা।তাহলে কি তারা আবার পরিবার থেকে বিয়ে করতে পারবে?অনেক বড় লিখা,একটু কষ্ট করে জানাবেন প্লিজ।

জাজাকাল্লাহ খয়রন।

1 Answer

0 votes
by (58,260 points)

ওয়া ‘আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্ল-হি ওয়া বারাকা-তুহু।

বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/69174/ নং ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে,

বিবাহ পূর্ব প্রেম পুরোপুরি নাজায়েজ।  

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ

قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ

মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।


হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে- হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত।

فَالْعَيْنَانِ زِنَاهُمَا النَّظَرُ، وَالْأُذُنَانِ زِنَاهُمَا الِاسْتِمَاعُ، وَاللِّسَانُ زِنَاهُ الْكَلَامُ، وَالْيَدُزِنَاهَا الْبَطْشُ، وَالرِّجْلُ زِنَاهَا الْخُطَا، وَالْقَلْبُ يَهْوَى وَيَتَمَنَّى، وَيُصَدِّقُ ذَلِكَ الْفَرْجُ وَيُكَذِّبُهُ

রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, চোখের জিনা হল [হারাম] দৃষ্টিপাত। কর্ণদ্বয়ের জিনা হল, [গায়রে মাহরামের যৌন উদ্দীপক] কথাবার্তা মনযোগ দিয়ে শোনা। জিহবার জিনা হল, [গায়রে মাহরামের সাথে সুড়সুড়িমূলক] কথোপকথন। হাতের জিনা হল, [গায়রে মাহরামকে] ধরা বা স্পর্শকরণ। পায়ের জিনা হল, [খারাপ উদ্দেশ্যে] চলা। অন্তর চায় এবং কামনা করে আর লজ্জাস্থান তাকে বাস্তবে রূপ দেয় [যদি জিনা করে] এবং মিথ্যা পরিণত করে [যদি অন্তরের চাওয়া অনুপাতে জিনা না করে] {সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২৬৫৭, মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-৮৯৩২}

তওবার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন- https://ifatwa.info/5905/

গোনাহের শাস্তি ও তাওবা সম্পর্কে জানুন- https://www.ifatwa.info/906


আল্লাহ তায়ালা বলেন-

إِنَّ الْمُجْرِمِينَ فِي عَذَابِ جَهَنَّمَ خَالِدُونَ. لَا يُفَتَّرُ عَنْهُمْ وَهُمْ فِيهِ مُبْلِسُونَ. وَمَا ظَلَمْنَاهُمْ وَلَـٰكِن كَانُوا هُمُ الظَّالِمِينَ. وَنَادَوْا يَا مَالِكُ لِيَقْضِ عَلَيْنَا رَبُّكَ ۖ قَالَ إِنَّكُم مَّاكِثُونَ

নিশ্চয় অপরাধীরা জাহান্নামের আযাবে চিরকাল থাকবে। তাদের থেকে আযাব লাঘব করা হবে না এবং তারা তাতেই থাকবে হতাশ হয়ে। আমি তাদের প্রতি জুলুম করিনি; কিন্তু তারাই ছিল জালেম। তারা ডেকে বলবে, হে মালেক, পালনকর্তা আমাদের কিসসাই শেষ করে দিন। সে বলবে, নিশ্চয় তোমরা চিরকাল থাকবে। সূরা যুখরুফ, আয়াত নং-৭৪-৭৭


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ الْحَارِسِ بْنِ جَزْءٍ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ فِى النَّارِ حَيَّاتٍ كَاَمْثَالِ الْبُخْتِ تَلْسَعُ اِحْدَهُنَّ الْلَسْعَةَ فَيَجِدُ حمَوَتَهَا اَرْبَعِيْنَ خَرِيْفًا وَاِنَّ فِى النَّارِ عَقَارِبَ كَاَمْثَالِ الْبِغَالِ الْمُؤْكَفَةِ تَلْسَعُ اِحْدَهُنَّ الْلَسْعَةَ فَيَجِدُ حَمْوَتَهَا اَرْبَعِيْنَ خَرِيْفًا.

আব্দুল্লাহ ইবনে হারেস ইবনে জাযয়ে (রা.) বলেন, রাসূল (সা.) বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে ‘খোরাসানী’ উটের ন্যায় বিরাট বিরাট সাপ আছে। সে সাপ একবার দংশন করলে তার বিষ ও ব্যাথা চল্লিশ বছর পর্যন্ত থাকবে। আর জাহান্নামের মধ্যে এমন সব বিচ্ছু আছে যা পালান বাঁধা খচ্চরের মত। যা একবার দংশন করলে তার বিষ ব্যথার ক্রিয়া চল্লিশ বছর পর্যন্ত অনুভব করবে (আহমাদ, মিশকাত হা/৫৬৯১)


হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ اَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ اِنَّ غِلْظَ جِلْدِ الْكَافِرِ اِثْنَانِ وَاَرْبَعُوْنَ ذِرَاعًا وَاِنَّ ضِرْسَهُ مِثْلُ اُحُدٍ وَاِنَّ مَجْلِسَهُ مِنْ جَهَنَّمَ مَا بَيْنَ مَكَّةَ وَالْمَدِيْنَةِ.

আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করীম (সা.) বলেছেন, জাহান্নামের মধ্যে কাফেরের গায়ের চামড়া হবে বিয়াল্লিশ হাত মোটা, দাঁত হবে ওহুদ পাহাড়ের সমান এবং জাহান্নামীদের বসার স্থান হবে মক্কা-মদীনার মধ্যবর্তী ব্যবধান পরিমাণ (তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৬৭৫; হাদীছ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৫৪৩১)


তার প্রধান কাজ তো হলো আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত ও লজ্জিত হয়ে তাওবা করা। আর যদি তিনি আসলেই আল্লাহর কাছে তাওবা করতে চান তাহলে প্রথমে এই পাপে পুনরায় পতিত হওয়ার সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিতে হবে। এক কথায়, ছেলেটির সঙ্গে সব ধরণের যোগাযোগ একেবারে বন্ধ করে দিন। যোগাযোগ বন্ধ করার কারণে ছেলেটি যদি মনোকষ্ট নেয় তাহলে আপনার কোনো গুনাহ তো হবেই না; বরং নিজে গুনাহ থেকে বাঁচার এবং ছেলেটিকে গুনাহ থেকে বাঁচানোর সাওয়াব পাবেন।


তার কথা মনে পড়ে, এমন কোনো কাজ, স্থান সবকিছু থেকেই দূরে থাকবেন। মনের কামনার বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রধান অস্ত্র হল ঈমান। ঈমান সুদৃঢ় রাখতে হবে। ধৈর্য ও মনের দৃঢ়-সংকল্পতা এবং সুপুরুষের মত মনের স্থিরতা। মনের খেয়াল-খুশীকে নিয়ন্ত্রণে রেখে দৃঢ়-সংকল্প হোন, যে আপনি ঐ শয়তানী কুমন্ত্রণায় সায় দেবেন না। অতএব ধৈর্যের সাথে শয়তানের বিরুদ্ধে জিহাদ করবেন এবং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর কাছে পানাহ চাইবেন।


নির্জনতা ত্যাগ করুন। কারণ, নির্জনতায় ঐ শ্রেণীর কুবাসনা মনে স্থান পায় বেশী। অতএব সকল অসৎ-চরিত্রের বন্ধু থেকে দুরে থেকে সৎ-বন্ধু গ্রহণ করে বিভিন্ন সৎ আলোচনায় প্রবৃত্ত হোন।  আল্লাহর যিকরে মনোযোগ দিন। বিভিন্ন ফলপ্রসু বইপুস্তক পাঠ করুন। সম্ভব হলে সে জায়গা একেবারে বর্জন করুন, যে জায়গায় পা রাখলে তার সাথে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা আছে। ফোন/মেসেজ এলে তার উত্তর দিবেন না।


প্রত্যেক নামাযের পর দৈনিক অন্তত পাঁচ বার কিছু সময়ের জন্য- দুই থেকে পাঁচ মিনিটের জন্য আল্লাহর সান্নিধ্যের মুরাকাবা করুন। মুরাকাবা এভাবে করবেন- চোখ বন্ধ করবেন। তারপর ভাববেন, ‘আমি যেখানেই থাকি না আল্লাহ আমার সাথে আছেন।’ নিজেকে হেফাজতে রাখার জন্য আপনি অনতিবলম্বে শরিয়তসিদ্ধ পথ গ্রহণ করুন। সেটা হচ্ছে-বিবাহ। বিবাহের মাধ্যমে আপনি পুনরায় এ জাতীয় হারামে লিপ্ত হওয়া থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!


উক্ত প্রশ্নে বেশ কিছু অস্পষ্টতা থাকায় বিস্তারিত উত্তর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তাই নিকটস্ত কোনো নির্ভরযোগ্য ইফতা বিভাগে সরাসরি যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...