আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+2 votes
327 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (40 points)
edited by
আমি জেনারেল লাইনে যে সাব্জেক্ট এ পড়ি তা আমার জন্য জুলুম হয়ে যাচ্ছে। সাব্জেক্টটা ভাল মত বুঝিনা আমি।আমি রীতিমতো ভয় পাচ্ছি রেজাল্ট অনেক বেশি খারাপ হওয়ার। এছাড়াও কলেজে ফ্রি মিক্সিং টা অসহ্য লাগে।কলেজের বেশিরভাগ বান্ধবীও জাহিলিয়াতের মধ্যে আছে।এক্ষেত্রে আমার ঈমান আকিদা ঠিক রাখা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আব্বু আম্মু জেনারেল লাইনের পড়াশোনা বাদ দিতে দিচ্ছে না।অথচ আমি জেনারেল লাইনের অন্য একটা সাব্জেক্ট নিয়ে আগ্রহী। ওই সাব্জেক্ট পড়লে দ্বীনের খেদমত সহজ হবে ইনশাআল্লাহ। এখন আমার করনীয় কি??
by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম আপু। কোন সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে দ্বীনের খেদমত সহজ হবে ইন শা আল্লাহ, আমাকে একটু বলবেন প্লিজ?            

1 Answer

0 votes
by (560,700 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


আল্লাহ তা'আলা মাতাপিতার আদেশকে মান্য করা এবং তাদের সাথে উত্তম ব্যবহার করার পরামর্শ দিয়েছেন।তাদের অবাধ্য হওয়াকে হারাম ঘোষনা দিয়েছেন।এ বিষয়ে সমস্ত উলামায়ে কেরাম ঐক্যমত পোষণ করে থাকেন।

মা বাবার সর্বদায় আনুগত্য করতে হবে,তাদের কথার নাফরমানী করা যাবেনা।
তাদের সাথে সর্বদায় ভালো ব্যবহার করতে হবে।
তারা কষ্ট পায়,এমন কাজ কখনোও করা যাবেনা।

তাদের হক বা অধিকারসমূহ এবং তাদের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করা সন্তানের ওপর ওয়াজিব বা আবশ্যক।

আল্লাহ তাআলা বলেন,

وَوَصَّيْنَا الْإِنسَانَ بِوَالِدَيْهِ إِحْسَانًا ۖ حَمَلَتْهُ أُمُّهُ كُرْهًا وَوَضَعَتْهُ كُرْهًا ۖ وَحَمْلُهُ وَفِصَالُهُ ثَلَاثُونَ شَهْرًا

“আমি মানুষকে তার পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহারের আদেশ দিয়েছি। তার মা তাকে কষ্টসহকারে গর্ভে ধারণ করেছে এবং কষ্টসহকারে প্রসব করেছে। তাকে গর্ভে ধারণ করতে ও তার স্তন্য ছাড়তে লেগেছে ত্রিশ মাস।” (সূরা আহকাফ-১৫)

আল্লাহ তা'আলা আরও বলেন,

وَقَضَى رَبُّكَ أَلاَّ تَعْبُدُواْ إِلاَّ إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلاَهُمَا فَلاَ تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّ وَلاَ تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلاً كَرِيمًا

তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা।(সূরা বনী ইসরাঈল-২৩)

তাদের হক সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 

পিতা মাতার বৈধ বিধান তরক করলে গোনাহ হবে।

তবে শরীয়ত বহির্ভূত কোনো আদেশ করলে পিতা মাতা সহ কারো আদেশকে মান্য করা যাবে না।কেননা হাদীসে বর্ণিত রয়েছে।

ﻟَﺎ ﻃَﺎﻋَﺔَ ﻟِﻤَﺨْﻠُﻮﻕٍ ﻓِﻲ ﻣَﻌْﺼِﻴَﺔِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ

আল্লাহর অবাধ্যতায় কোনো মাখলুকের অনুসরণ করা যাবে না।(মুসনাদে আহমদ-১০৯৮)
,
তাফসীর ‘দুররে মানসূর’ গ্রন্থে রয়েছে, হযরত হাসান (রা)-কে কেউ জিজ্ঞাসা করলো, মাতাপিতার সঙ্গে উত্তম ব্যবহার কিভাবে করা হবে? তিনি জবাবে বললেন, “তুমি তাদের প্রয়োজনে নিজের সম্পদ বিলিয়ে দেবে এবং তোমাকে তারা যে-নির্দেশ দেবে তা পালন করবে। তবে হ্যাঁ, কোনো পাপকর্মের আদেশ দিলে তা মান্য করবে না।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
 ফ্রি মিক্সিং পরিবেশে লেখাপড়া করার জন্য দুটি শর্ত মানতে হবে।
উক্ত শর্তাদির সাথে কলেজ-ভার্সিটিতে শিক্ষা গ্রহণের পরামর্শ দেয়া যেতে পারে। 

(০১) শিক্ষা অর্জন দেশ ও মুসলিম জাতীর খেদমতের উদ্দেশ্যে হতে হবে। 

(০২) চোখকে সব সময় নিচু করে রাখতে হবে,প্রয়োজন ব্যতীত কোনো শিক্ষক/শিক্ষিকার দিকে তাকানো যাবে না।মহিলা/পুরুষ তথা অন্য লিঙ্গের সহশিক্ষার্থীদের সাথে তো কোনো প্রকার সম্পর্ক রাখা যাবেই না।সর্বদা অন্য লিঙ্গর শিক্ষার্থী থেকে নিজেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখতে হবে। (ফাতাওয়া উসমানী-১/১৬০-১৭১)
 
সহ শিক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ 
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু আপনার ঈমান আকিদা ঠিক রাখা অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাচ্ছে,তাই এক্ষেত্রে জেনারেল লাইনে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রে আপনার বাবা মার আদেশ মান্য করা জরুরি নয়।
আপনি জেনারেল লাইনে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে পারেন।
,
উপরোক্ত দুটি শর্তের ভিত্তিতে চলে দ্বীনের খেদমত সহজ হবে, এমন সাব্জেক্ট নিতে পারেন।
 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...