আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
74 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম। হুজুর আমার প্রশ্ন হলো একজন মানুষ ২জন মুফতী থেকে ফতোয়া নেয়, ২জনই হানাফি মাজহাব এর। যাকে যখন সুযোগ পায় তখন মাস'আলা জিজ্ঞেস করে। অনেক সময় ওয়াসওয়াসা জনীত সমস্যার কারনে ২ জন কেই একি বিষয় জিজ্ঞেস করে। ২জনই বিজ্ঞ মুফতী। তার মধ্যে একজন একটু সিনিয়র অন্যজন থেকে, বয়সে এবং আমার কাছে ওনাকে বেশি গ্রহণযোগ্য এবং অভিজ্ঞসম্পন্ন মনে হয়।  ওনি এক ফতোয়া বিভাগের প্রধান পরিচালক।  একটি বিষয়ে  ওনাকে প্রশ্ন করার আগে অন্য মুফতী কে জিজ্ঞেস করা হয়েছে ফোনে ওনি একরকম ফতোয়া দিয়েছে,  তারপর মন মানছে না দেখে সিনিয়র বিজ্ঞ সেই মুফতীর নিকট সরাসরি ফতোয়া বিভাগে মাদ্রাসায় গিয়ে ওনার সাথে বিস্তারিত বলে ফতোয়া আনা হয়েছে। আগের জন থেকে এনার ফতোয়া আলাদা। আর আমার সবচেয়ে বেশি এনাকে জ্ঞানী এবং অভিজ্ঞ মনে হয়।  এখন কারো ফতোয়ায় আমি  দলিল জানতে চাইনি। আমার মনে হয় এটা বেয়াদবি হয় কিনা। এখন আমি কি এই মুফতী অর্থাৎ যিনি সিনিয়র  ফতোয়া বিভাগের প্রধান, এবং আমি যার উপর বেশি নির্ভরশীল এখন, তার ফতোয়া কি মানতে পারবো? নাকি আমাকে আবার দলিল জিজ্ঞেস করতে হবে। যেহেতু আমি ওয়াসওয়াসা রুগি তিনি জানেন, এখন দলিল জানতে গেলে কি মনে করবেন,, আমার করনীয় কি,, দয়া করে জানাবেন প্লিজ। জাজাকাল্লাহ খাইরান।
by (4 points)
হুজুর আমি এই বেপাড়ে একজন হুজুরের লেখালেখি তে পড়েছি সাধারণ মানুষের জন্য মাস'আলার ূদলিল জানা আবশ্যক নয়। এটা তাদের কর্তব্যের মধ্যে পড়েনা। তারা বিজ্ঞ ও গ্রহনযোগ্য  মুফতী নির্বাচন করবে এবং তার নিকট মাস'আলা জিজ্ঞেস করবে তার সাথে দলিল জানতে চাওয়া তার কর্তব্য নয়। আর মুফতী তিনি তো অবশ্যই দলিল ভিত্তিক ফতোয়া দিবেন কিন্তু  সাধারন মানুষের কাছে দলিল সহ মাস'আলা সচরাচর বলেন না। 

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তে ভুল ফতোয়া প্রদানের কোনো সুযোগ নেই।
অজ্ঞতাবশত ফতোয়ারও কোনো সুযোগ নেই। 
,
কারন এই বিষয়ে রাসুলুল্লাহ সাঃ অনেক কঠোর ভাবে নিষেধ করেছেন।      
,
আবু দাউদ শরীফের ৩৬৫৭ নং হাদীসে এসেছে 

حَدَّثَنَا الْحَسَنُ بْنُ عَلِيٍّ، حَدَّثَنَا أَبُو عَبْدِ الرَّحْمَنِ الْمُقْرِئُ، حَدَّثَنَا سَعِيدٌ يَعْنِي ابْنَ أَبِي أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ أَبِي عُثْمَانَ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أَفْتَى ح وحَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ دَاوُدَ، أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، حَدَّثَنِي يَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، عَنْ بَكْرِ بْنِ عَمْرٍو، عَنْ عَمْرِو بْنِ أَبِي نُعَيْمَةَ، عَنْ أَبِي عُثْمَانَ الطُّنْبُذِيِّ، رَضِيعِ عَبْدِ الْمَلِكِ بْنِ مَرْوَانَ، قَالَ: سَمِعْتُ أَبَا هُرَيْرَةَ يَقُولُ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ»

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ফতোয়া দেয়া হয় ...। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে অজ্ঞতা প্রসূত ফতোয়া দেয়া হয় তার পাপ ফাতাওয়াদানকারীর উপর বর্তাবে। 
,
حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ " .

আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে।
আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, আহমাদ ৮০৬৭, ৮৫৫৮; দারিমী ১৫৯। তাহক্বীক্ব আলবানী: হাসান। তাখরীজ আলবানী: মিশকাত ২৪২।
,
وَعَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ ﷺ مَنْ أُفْتِيَ بِغَيْرِ عِلْمٍ كَانَ إِثْمُه عَلى مَنْ أَفْتَاهُ وَمَنْ أَشَارَ عَلى أَخِيهِ بِأَمْرٍ يَعْلَمُ أَنَّ الرُّشْدَ فِي غَيْرِه فَقَدْ خَانَه

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তিকে ভুল ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে, অর্থাৎ- বিনা ‘ইলমে (বিদ্যায়) ফাতাওয়া দেয়া হয়েছে এর গুনাহ তার ওপর বর্তাবে যে তাকে ফাতাওয়া দিয়েছে। আর যে ব্যক্তি তার কোন ভাইকে (অপরকে) এমন কোন কাজের পরামর্শ দিয়েছে, যা কল্যাণ হবে না বলে সে জানে, সে নিশ্চয়ই তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

আবূ দাঊদ ৩৬৫৭, সহীহুল জামি‘ ৬০৬৮। ইমাম দারিমীও এটিকে (হাদীস নং ১৫৯) হাসান বলে উল্লেখ করেছেন।

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনি যদি বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহেব থেকে ফতোয়া নিয়ে আমল করেন,তাহলে আপনি তার ফাতওয়া অনুযায়ী আমল করবেন। এক্ষেত্রে তিনি ভুল ফাতওয়া দিলেও আল্লাহ তায়ালা আপনাকে পাকড়াও করবেননা।

তিনি যদি বিজ্ঞ ও নির্ভরযোগ্য মুফতী সাহেব হয়ে থাকেন,সেক্ষেত্রে প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তার ফতোয়ার উপর আমল করার দরুন যদি ফতোয়া ভুল হয়,তবুও আপনার গুনাহ হবেনা।

একাধিক বিজ্ঞ মুফতী সাহেব থেকে ফতোয়া নিলে,যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল আছে,তার ফতোয়া মানবেন।

নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল থাকা সত্ত্বেও আপনি সেই ফতোয়া না মেনে দূর্বল ফতোয়া মানবেননা।

এক্ষেত্রে জেনে শুনে দূর্বল ফতোয়ার উপর আমল করলে আপনার গুনাহ হবে।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উভয়ের নিকট লিখিত ফতোয়া দলিল সহ জানতে চাইবেন,সেক্ষেত্রে  যার ফতোয়াতে নিজ মতের স্বপক্ষে স্পষ্ট দলিল আছে,তার ফতোয়া মানবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
যেকোনো এক কারনে আমি আগের মুফতীর সাথে এখন আর যোগাযোগ নেই। আমি কি শুধু এই মুফতীর কাছে দলিল চাইলে হবে?
by (559,140 points)
হ্যাঁ, হবে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...