উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো যদি ফজরের নামাজ পড়তে পড়তে সূর্য উদিত হয়ে যায়, তাহলে সেই নামাজ বাতিল হয়ে যাবে,পরবর্তীতে আবার কাজা আদায় করতে হবে।
ইশরাক নামাজের ওয়াক্তেও তার কাজা আদায় করতে পারবে।
যদিও শেষ বৈঠক চলাকালীন সূর্য উদিত হোক,তারপরেও তার নামাজ বাতিল হয়ে যাবে।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৩/১৩১ আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল ২/২৪৬)
হাদীস শরীফে এসেছে
عن عقبۃ بن عامر الجہني رضي اللّٰہ عنہ یقول: کان رسول اللّٰہ صلی اللّٰہ علیہ وسلم نہانا أن نصلي حین تطلع الشمس بازغۃ حتی ترتفع۔ (صحیح مسلم، الصلاۃ / باب الأوقات التي نہی عن الصلاۃ فیہا ۱؍۲۷۶ رقم: ۸۳۱)
যার সারমর্ম হলো রাসুলুল্লাহ সাঃ আমাদেরকে সূর্য উদিত হওয়ার সময় থেকে নিয়ে সূর্য উঁচু হওয়ার আগ পর্যন্ত নামাজ পড়তে নিষেধ করেছেন।
(এ সময় যেকোনো নামাজ পড়া হারাম)
,
ইমাম নাসাঈ বলেন,
وَلِلنَّسَائِيِّ مِنْ وَجْهٍ آخَرَ مَنْ أَدْرَكَ رَكْعَةً مِنَ الصَّلَاةِ فَقَدْ أَدْرَكَ الصَّلَاةَ كُلَّهَا إِلَّا أَنْ يَقْضِيَ مَا فَاتَهُ
যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে এক রাকাত পেয়ে গেছে,সে যেন পূর্ণ নামাযকেই পেয়ে গেছে,তবে পরবর্তী রা'কাত এখন পড়তে হবে না বরং পরবর্তীতে কা'যা করতে হবে।
আরো জানুনঃ
বাদাইউস সানায়ে' গ্রন্থে এসেছে
ولا یتصور أداء الفجر مع طلوع الشمس عندنا، حتی لو طلعت الشمس وہو في خلال الصلاۃ تفسد صلاتہ عندنا۔ (بدائع الصنائع، الصلاۃ / بیان الوقت المکروہ ۱؍۳۲۹ زکریا)
অনুবাদঃ
আমাদের নিকটে সূর্য উদিত হওয়ার সময় ফজর নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই।
যদি ফজরের নামাজ পড়াকালীন সূর্য উদিত হয়ে যায়,তাহলে আমাদের নিকটে তার নামাজ ফাসেদ (বাতিল) হয়ে যাবে।
,
তাশাহুদ পড়ার পর নামাজ ভঙ্গ কারী কিছু পাওয়া গেলে সেই নামাজের বিধান জানুনঃ
★★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সেই নামাজ আবার আদায় করতে হবে।
আরো জানুনঃ
,
সালাতের নিষিদ্ধ সময় সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ