আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (6 points)
বাংলাদেশে শতকরা ৮০ ভাগ মাসজিদে ফরজে আইন পরিমাণ ইলম নেই, তবে এলাকার প্রভাবশালী। এই শ্রেণির লোক গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত হয়ে গঠন করে মসজিদ কমিটি।
এই কমিটি আর কিছু জুময়া মুসল্লি হয়, ঈমাম - মুয়াজ্জিন নিয়োগে বিচারক।

শরীয়ত কি এরুপ পন্থা সমর্থন করে? যদি উত্তর না হয়, সেক্ষেত্রে মেহেরবানি করে বিস্তারিত শরঈ বিধান জানাবেন যেনো সচেতন মহলে বিষয়টি উপস্থাপন করতে পারি

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

মসজিদ পরিচালনাকারী মানুষের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে কুরআনের এক আয়াত থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়। 

মহান আল্লাহ বলেন,

اِنَّمَا یَعۡمُرُ مَسٰجِدَ اللّٰہِ مَنۡ اٰمَنَ بِاللّٰہِ وَ الۡیَوۡمِ الۡاٰخِرِ وَ اَقَامَ الصَّلٰوۃَ وَ اٰتَی الزَّکٰوۃَ وَ لَمۡ یَخۡشَ اِلَّا اللّٰہَ فَعَسٰۤی اُولٰٓئِکَ اَنۡ یَّکُوۡنُوۡا مِنَ الۡمُہۡتَدِیۡنَ ﴿۱۸﴾ 

 ‘তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও পরকালের ওপর।তারা সালাত কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১৮)

এ আয়াতে আল্লাহর মসজিদ নির্মানের ও আবাদের যোগ্যতা কাদের রয়েছে তা জানিয়ে বলা হচ্ছেঃ আল্লাহর মসজিদ আবাদ করার যোগ্যতা রয়েছে উপরোক্ত গুণাবলীসম্পন্ন নেককার মুসলিমদের। এই থেকে বুঝা যায়, যে ব্যক্তি মসজিদের হেফাযত, পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও অন্যান্য ব্যবস্থায় নিয়োজিত থাকে কিংবা যে ব্যক্তি আল্লাহর যিকর বা দ্বীনী ইলমের শিক্ষা দানে কিংবা শিক্ষা লাভের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাতায়াত করে, তা তার কামেল মুমিন হওয়ার সাক্ষ্য বহন করে। 

হাদীসে বর্ণিত রয়েছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি সকালসন্ধ্যা মসজিদে উপস্থিত হয়, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে একটি স্থান প্রস্তুত করেন। [বুখারীঃ ৬৬২, মুসলিমঃ ৬৬৯]

সালমান ফারেসী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মসজিদে আগমনকারী ব্যক্তি আল্লাহ্র যিয়ারতকারী মেহমান, আর মেজবানের কর্তব্য হল মেহমানের সম্মান করা। [আত-তাবরানী ফিল কাবীর ৬/২৫৫]

তৃতীয় খলীফা উসমান ইবন আফফান রাদিয়াল্লাহু আনহু যখন মসজিদে নববী নতুন করে তৈরী করছিলেন তখন লোকেরা বিভিন্ন ধরনের কথা বলছিল। তখন তিনি বললেন, তোমরা বড্ড বেশী কথা বলছ, অথচ আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, যে কেউ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে মসজিদ বানাবে আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে অনুরূপ একটি ঘর বানাবেন। [বুখারী ৪৫০; মুসলিম: ৫৩৩]

ইবন আব্বাস রাযিঃ থেকে এ আয়াতের অর্থ এরূপ বর্ণিত হয়েছে যে, ঐ ব্যক্তিই মসজিদ নির্মাণ করবে, যে আল্লাহর তাওহীদ প্রতিষ্ঠা করেছে, শেষ দিবসের উপর ঈমান এনেছে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তা স্বীকার করে নিয়েছে। পাঁচ ওয়াক্ত সালাত কায়েম করেছে, আর আল্লাহ ব্যতীত কারও ইবাদত করেনি, নিশ্চয় তারাই হবে সফলকাম। কুরআনে যেখানেই আল্লাহ্ তা'আলা আশা করা যায় বলেছেন সেটাই অবশ্যম্ভাবী। [তাবারী]

উক্ত আয়াত থেকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের পাঁচটি গুণের কথা জানা যায়। যথা—

১. আল্লাহর ওপর ঈমান আনা। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মসজিদের যাবতীয় কাজ করা।

২.পরকালের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করা। অপার্থিব উদ্দেশ্যে মসজিদের জন্য কাজ করা।

৩. সালাত কায়েম করা। সালাত কায়েম হয় জামাতের সঙ্গে যথাযথভাবে সালাত আদায়ের মাধ্যমে।

৪. জাকাত দেওয়া। সাধ্যমতো দান-সদকা করার মানসিকতা থাকা।

৫. দল-মতের ঊর্ধ্বে উঠে নির্ভয়ে সত্য বলার অভ্যস্ত হওয়া। যারা স্বাধীনভাবে ও নিরপেক্ষভাবে সত্য বলে, তারাই মসজিদ কমিটিতে স্থান পাওয়ার যোগ্য।

৬. মসজিদের সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক থাকা।
ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ যেসব গৃহকে মর্যাদায় উন্নীত করার এবং সেগুলোতে তাঁর নাম উচ্চারণ করার আদেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল-সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে সেই সব লোক, যাদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম করা থেকে এবং জাকাত দেওয়া থেকে বিরত রাখে না।’ (সুরা নুর, আয়াত : ৩৬-৩৭)

এ আয়াত থেকে বোঝা যায়, এমন মানুষের তত্ত্বাবধানে মসজিদ পরিচালিত হওয়া জরুরি, যাদের সঙ্গে মসজিদের অবিচ্ছেদ্য বন্ধন রচিত হয়েছে, যারা সুখে-দুঃখে সব সময় মসজিদের সঙ্গে লেগে থাকে। ইবাদত ও আমলের মাধ্যমে মসজিদকে আবাদ রাখে।

৭. মসজিদ ব্যবস্থাপনার পূর্ব-অভিজ্ঞতা এবং বৈষয়িক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যখন অযোগ্যকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তখন কিয়ামতের জন্য অপেক্ষা করতে থাকো।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৪৯৬)

৮. পদলোভী না হওয়া। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘আমরা কোনো পদপ্রার্থী বা পদপ্রত্যাশীকে পদ দিই না।’ (বুখারি, হাদিস : ৭১৪৯)

৯. আমানতদার হওয়া। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছেন আমানত তার যথাযথ হকদারকে পৌঁছে দিতে...।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ৫৮)

১০. আল্লাহভীরু ও মুত্তাকি হওয়া এবং মসজিদের শুভাকাঙ্ক্ষী হওয়া। মক্কার কুরাইশরা মসজিদুল হারামের তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে গর্ব বোধ করত এবং সেখানে মানুষের প্রবেশাধিকার ও ধর্মীয় কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করত। 

আল্লাহ তাআলা তাদের এই প্রবণতার নিন্দা করে বলেন, ‘তাদের কী-ই বা বলার আছে যে আল্লাহ তাদের শাস্তি দেবেন না, যখন তারা মানুষদের মসজিদুল হারাম থেকে বাধা দেয়? অথচ তারা এর তত্ত্বাবধায়ক নয়। আল্লাহভীরুরাই এর তত্ত্বাবধায়ক। কিন্তু তাদের বেশির ভাগ বিষয়টি জানে না।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৩৪)

১১. প্রয়োজনীয় দ্বীনি জ্ঞান থাকা। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘দ্বিনি জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিমের জন্য ফরজ।’ (নাসায়ি, হাদিস : ২২৪)

১২.  ফাসেক, পাপাচারী ও অপবিত্র না হওয়া। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘সেখানে (মসজিদে কোবায়) এমন লোক আছে, যারা পবিত্রতা অর্জন ভালোবাসে। আর আল্লাহ পবিত্রতা অর্জনকারীদের ভালোবাসেন।’ (সুরা তাওবা, আয়াত : ১০৮)

এই আয়াতে বাহ্যিক অপবিত্রতার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ অপবিত্রতার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ মসজিদসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রকাশ্য পাপ ও অপ্রকাশ্য অপবিত্রতামুক্ত হতে হবে।

★কিছু ইসলামী স্কলারগন আরো শর্ত উল্লেখ করেছেন,

এক. মসজিদ ও মাদরাসায় যারা শ্রম ও অর্থ দেন ধরে নেওয়া উচিৎ যে, তারা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টির জন্যই দেন। সুতরাং এ সব কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার মানেই সেবক হওয়া, পরিচালক কিংবা কতৃর্ত্ববান হওয়া নয়। তাই মসজিদ মাদরাসার সেবার ক্ষেত্রে সেবক মেজাজ লালন করাই কমিটির ক্ষেত্রে কাম্য। কতৃর্ত্ব করার মেজাজ লালন করলে কমিটির দ্বারা এসব দ্বীনী কেন্দ্রগুলোতে শৃঙ্খলা ও সেবার পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা ও বিড়ম্বনার পরিবেশ বেশি সৃষ্টি হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সীমা লংঘনের ঘটনাও ঘটে যায়। এতে সওয়াবের পরিবর্তে গুনাহর পেছনে পড়ে যাওয়ার আশংকাই অবধারিত হয়ে যায়। দ্বীনী খেদমতে যুক্ত হয়ে সওয়াব কামানোর পরিবর্তে গুনাহ্ কামানোটা নিশ্চয়ই কারো কাম্য হতে পারে না।

দুই. মসজিদ মাদরাসা-কমিটির সদস্যদের দ্বীনদার হওয়া জরুরি। দ্বীনের প্রতি মহব্বত এবং ব্যক্তিগত জীবনে দ্বীনের উপর তাদের আমলও থাকা চাই। মসজিদ কমিটির সদস্য যদি মসজিদে এসে জামাতে নামায আদায়েই আগ্রহী না হন, মাদরাসা কমিটির সদস্য যদি খাছভাবে দ্বীনী শিক্ষা গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কেই স্বচ্ছ ধারণার অধিকারী ও উৎসাহী না হন তাহলে এমন সব সদস্য দ্বারা দ্বীনী খেদমতের পরিবর্তে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির আশংকাকে খাটো করে দেখার সুযোগ নেই। কমিটির সদস্য হয়ে আছেন, খেদমতও করছেন, কিন্তু যাদের দ্বীনী হাল এরকম তাদের অবস্থার উন্নয়নে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হওয়া উচিত।

তিন. মসজিদে যোগ্য ইমাম নিযুক্ত করতে উদ্যোগী হওয়ার দায়িত্ব কমিটির। এরপর সে যোগ্য ইমাম ও খতীবের সহীহ দ্বীনী কথা শোনা এবং মেনে নেওয়ার দায়িত্বও তাদের। ইমাম-খতীবকে নিজেদের বুঝ অনুযায়ী বাধা দেওয়া কিংবা নিজেদের বুঝ ও মেজাজ তার ওপর চাপিয়ে দেওয়া তাদের কাজ হতে পারে না। 

আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যখন আমানত নষ্ট করা হবে তখন থেকে কিয়ামতের অপেক্ষা করতে থাকবে। জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল (সা.) কীভাবে আমানত নষ্ট করা হবে? তিনি বললেন, যখন অযোগ্যকে দায়িত্ব দেয়া হবে তখন থেকে কিয়ামতের অপেক্ষা করতে থাক। -সহিহ বোখারি: ৬৪৯৬

ফাতওয়ার কিতাবে আছেঃ-
মসজিদ কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার যোগ্যতা নয়টি। যথা-
১. মোতাওয়াল্লি বা কমিটির সভাপতি হবেন তারা-
 ক. মসজিদের জমিদাতা, খ. তদীয় কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি, গ. ইসলামি প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান, ঘ. তদীয় নিযুক্ত স্থানীয় প্রশাসক, ঙ. কোরআন-সুন্নাহমতে নিয়োগপ্রাপ্ত বিচারপতি, চ. মহল্লাবাসী কর্তৃক মনোনীত প্রতিনিধি।
২. প্রাপ্ত বয়ষ্ক হওয়া।
৩. মানসিকভাবে সুস্থ হওয়া।
৪. ওয়াকফ, দান ইত্যাদি সংগ্রহ ও ব্যয় সম্পর্কে শরয়ী মাসআলার জ্ঞান থাকা।
৫. মসজিদ ব্যবস্থাপনার বৈষয়িক যোগ্যতা ও দক্ষতা থাকা।
৬. আমানতদার হওয়া। অর্থ আত্মসাৎ ও তসরুফ তো দূরের কথা সাময়িক তসরুফেরও কোনো আশঙ্কা না থাকা।
৭. এমন কোনো কাজের অভ্যাস না থাকা- যেগুলো মানুষকে সর্বস্বান্ত করে। যেমন- জুয়াখেলা, মদপান করা ইত্যাদি।
৮. কোনো কবিরা গুণাহতে প্রকাশ্যে লিপ্ত না থাকা। অতএব, যারা নামাজ পড়ে না, নামাজের জামাতে শরিক হয় না, রোজা রাখে না, ফরজ হওয়া সত্ত্বেও হজ করে না, জাকাত দেয় না, সুদি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে, সুদ গ্রহণ করে এককথায় প্রকাশ্য পাপকাজে লিপ্ত কাউকে মসজিদ কমিটির জন্য মনোনীত করা নাজায়েয।
মসজিদ কমিটির কোনো সদস্যের ব্যাপারে কোনো কবিরা গুণাহতে জড়িত থাকার বিষয়টি সমাজে প্রকাশ পেয়ে গেলে তাকে বরখাস্ত করা ওয়াজিব। এমনকি, সে যদি জমিদাতা কিংবা ওয়াকফকারী কর্তৃক মনোনীতও হয় তবুও তাকে বরখাস্ত করতে হবে। -আদ দুররুল মুখতার, ওয়াকফ অধ্যায়।

৯. মসজিদ কমিটিতে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার আগ্রহ ও চেষ্টা না থাকা।

আল্লাহর রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, আমরা কোনো পদপ্রার্থী বা পদপ্রত্যাশীকে পদ দেই না। -সহিহ বোখারি: ৭১৪৯

তিনি (সা.) আরও ইরশাদ করেছেন, তুমি পদপ্রার্থী হবে না। যদি প্রার্থী হয়ে পদ পাও তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে তা তোমার ওপর নিক্ষেপ করা হবে। আর যদি প্রার্থী না হয়ে পদ পাও তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে দায়িত্ব পালনে তোমাকে সাহায্য করা হবে। -সহিহ বোখারি: ৭১৪৭

নবী করিম (সা.) আরও বলেছেন, অতি শীঘ্রই তোমরা পদের প্রতি লোভী হবে। কিয়ামতের দিন তা লজ্জার কারণ হবে। -সহিহ বোখারি: ৭১৪৮।
(কিছু তথ্য সংগৃহীত।)

فتاوی شامی:

"قال في الإسعاف: و لايولى إلا أمين قادر بنفسه أو بنائبه لأن الولاية مقيدة بشرط النظر و ليس من النظر تولية الخائن لأنه يخل بالمقصود، و كذا تولية العاجز؛ لأن المقصود لايحصل به."

(کتاب الوقف ج:4ص:380 ،ط:سعید)

সারমর্মঃ- মসজিদের মুতাওয়াল্লির হওয়ার জন্য একজন বিশ্বস্ত ব্যক্তি ব্যতীত কাউকে নিয়োগ করা যাবে না যিনি (এ কাজ করতে) সক্ষম ব্যক্তিগতভাবে বা তার প্রতিনিধির মাধ্যমে। কারণ অভিভাবকত্ব বিবেচনার শর্ত দ্বারা মুকায়্যাদ (সীমাবদ্ধ), খিয়ানত কারীকে মুতাওয়াল্লি বানানো যাবেনা,কারণ এটি উদ্দেশ্য লঙ্ঘন করে, এবং একইভাবে একজন অক্ষম ব্যক্তির নিয়োগ জায়েজ নয়,কেননা এতে উদ্দেশ্য হাসিল হয়না। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উপরোক্ত শর্তাবলীর আলোকে কমিটি গঠন করতে হবে। 
এক্ষেত্রে সর্বসাধারণ নয়,বরং বিজ্ঞ ব্যাক্তিদের মাশওয়ারা সাপেক্ষে উপরোক্ত শর্তাবলীর আলোকে কমিটি গঠন করা চাই।

বিজ্ঞ ব্যাক্তিদের মাশওয়ারা সাপেক্ষে ইমাম,মুয়াজ্জিন নিয়োগ করা চাই।

ইমামতির শর্তাবলী জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (6 points)
শেষোক্ত আরবি অনুবাদে দাড়ি- কমা ঠিক রেখে আরো সাবলীল করলে বুঝতে সুবিধা হবে

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...