আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (33 points)

আসসালামু আলাইকুম , 

১/ আমি একজন ছাত্র , পড়াশোনার পাশাপাশি হালাল উপার্জন করতে চাচ্ছি , আমি ফেসবুক পেইজে অনেকে দেখছি অনেক কম খরচে কিছু প্রিমিয়াম কোর্স অফার করছে , যেগুলোর বাস্তব দাম অনেক , তারা সম্ভবত একটা একাউন্ট এ কোর্স কিনে সেটি সবাইকে লগ ইন করে দিচ্ছে , এবং ১ টি অ্যাকাউন্ট দিয়ে অনেকজন ব্যবহার করছে। এটি করা কি হালাল? 

২/  কিছু বিদেশি বই আমাদের দেশে খুব একটা পাওয়া যায় না গেলেও দাম অনেক বেশি। সেগুলার PDF বা নীলক্ষেত এর অনুনোমোদিত কপি পড়া বা জ্ঞান আহোরণ করা যাবে?

৩/ ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে যে কাপরটি বীর্জ লেগে শুকিয়ে যায় সেই পোশাকটি পড়ে কি গোসল করা যাবে কারণ নাপাকি তো লেগেই আছে এবং সাধারণ গোসের শেষে যে ওযু করা হয় ( ৩ কুলি নাকে ৩ বার পানি এবং সারা শরীরে ৩ বার পানি) এটি করার পরও কি সাধারণ ওযু করা লাগে নামাজের জন্য?

৪/ আমি হোস্টেল বা বাসায় ওযুর পর টাইলস এ পা রাখতে হয় খালি পা , সেখানে পা ভেজা থাকে , কিন্তু কেউ যদি সেখানে কোনো নাপাক যা দেখা যায় না (প্রসাব এর ফোটা তার পায়ের সাথে আসা) তা আমার পায়ে লাগলে নামাজ কি হবে?

৫/ আমি জনকে চিনি তার বাবা স্কুলের একটি ল্যাপটপ সেটি সরকারী সম্পত্তি , সেটি কোনোভাবে নিজের আয়ত্তে নেন , এবং সেটা দীর্ঘদিন ব্যবহার করে কিছু সমস্যা দেখা দিলে সেটির পার্ট খুলে সেল দেয় , তার কাছ থেকে এটির কোনো পার্টস কেনা হালাল হবে কি??

1 Answer

0 votes
by (58,740 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

https://ifatwa.info/18137/ ফাতওয়াতে উল্লেখ রয়েছে যে, আবিস্কার লেখা ও প্রকাশনা সত্ত্বকে কি ইসলামী শরীয়ত সত্ত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর হল এই যে,

যে ব্যক্তি সর্বপ্রথম কোনো জিনিষ আবিস্কার করেছে,তার আবিস্কৃত জিনিষ অস্তিত্বমান বস্তু হোক বা অস্তিত্বহীন, নিঃসন্দেহে সেই ব্যক্তি অন্যের তুলনায় তা থেকে উপকৃত হওয়ার, প্রস্তুত করার এবং মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে বাজারজাত করার বেশী অধিকারী। কেননা,আবু দাউদ শরীফে হযরত আসমুর ইবনে মুদরাস (রা.) থেকে একটি হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে, 'আমি নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দরবারে হাজির হয়ে তার হাতে বাইআত গ্রহণ করি। এ সময় নবী আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, 'যে ব্যক্তি ওই বস্তুর দিতে অগ্রসর হল, যে বস্তুর দিকে কোনো মুসলমান অগ্রসর হয় নাই, তাহলে ওই বস্তু ওই ব্যক্তির। (যে ওই দিকে প্রথম অগ্রসর হয়েছে।) আবু-দাউদ:৪/২৬৪ হাদীস নং২৯৪৭)


আল্লামা মুনাবী রহ. [আব্দুর রউফ আল মুনাবী, মৃত্যু:১০৩১হি,] যদিও এই হাদীসটিকে পতিত ও অনাবাদী জমিন ব্যবহারযোগ্য করে গড়ে তোলার অর্থে প্রয়োগের বিষয়কে প্রধান্য দিয়েছেন, তথাপি তিনি কোনো কেনো উলামায়ে কেরাম থেকে এ বর্ণনাও উদ্ধৃত করেছেন যে, এই হাদীসটির মর্মে যাবতীয় ঝরণা, কূপ এবং খণিজসম্পদ অন্তর্ভুক্ত। আর যে ব্যক্তি এসবের কোনো একটিতে প্রথম অগ্রসর হবে,ওই জিনিসটির সত্ত্বাধিকারী ওই ব্যক্তিই সাব্যস্ত হবে। এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই যে, যে কোনো বাক্যে শব্দের ব্যাপকতাই গ্রহণযোগ্য হয়ে থাকে, তা কোনো নির্দিষ্ট কারণের প্রেক্ষিতে বলা হলেও সেই কারণের মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ হয় না। (ফায়জুল কাদীর:৬/১৩৮)


উপরের আলোচনা থেকে বুঝতে পারলাম যে, কোনো কিতাব নতুন হোক বা পুরাতন হোক,সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো কপি করা যাবে না। আল্লাহ-ই ভালো জানেন। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1197  


প্রশ্নে উল্লেখিত সূরতে কেউ যদি কোনো বইয়ের পিডিএফ করে তাহলে সেক্ষেত্রে কপির মাসয়ালা চলে আসে।

এক্ষেত্রে প্রকাশনী থেকে কপি.ফটোকপির উপর  নিষেধাজ্ঞা দেওয়া না থাকলে ছবি তুলে নিতে/দিতে সমস্যা নেই, জায়েজ হবে। তবে যদি নিষেধ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো বই এভাবে ছবি তোলা যাবে না।

এটি কপির আওতায় পড়বে।

সেক্ষেত্রে  সংরক্ষিত প্রকাশনায় প্রকাশকের অনুমতি ব্যতীত ঐ প্রকাশনার কোনো বই এভাবে ছবি তুললে তাদেরকে ধোকা দেওয়া হবে।


হাদীস শরীফে এসেছেঃ

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «مَنْ غَشَّنَا فَلَيْسَ مِنَّا»

হযরত আবু হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ যে ধোঁকা দেয়, সে আমার উম্মতের অন্তর্ভূক্ত নয়। {মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-২৩১৪৭, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬৪, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২৫৮৩, সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২২২৫, সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৪৯০৫}


قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الْمُسْلِمُونَ عَلَى شُرُوطِهِمْ

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ মুসলমানগণ তার শর্তের উপর থাকবে। {সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৫৯৪, সুনানে দারা কুতনী, হাদীস নং-২৮৯০, শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৪০৩৯}


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


১. না, এমন কোর্সে অংশগ্রহণ করা যাবে না।


২. বাজারে কোনো কিতাবের সংস্করণ সচরাচর পাওয়া না গেলে সেই কিতাবকে ক্রয় করার নিয়ত অন্তরে রেখে উক্ত কিতাবের পিডিএফ করা যাবে এবং এতে কোনো অসুবিধে হবে না।

আরো জানুন- https://www.ifatwa.info/34263/

লেখক বা সংকলক ও প্রকাশনীর পক্ষ থেকে যদি কোনো ধরণের নিষেধাজ্ঞা না থাকে। বরং অনুমতি থাকে তাহলে উক্ত বইয়ের পিডিএফ করা ও পড়া যাবে। এতে কোনো সমস্যা নেই।


৩. জী হ্যাঁ, উক্ত কাপড় পড়ে ফরজ গোসল করা যাবে। তবে গোসলের পূর্বে কাপড়ের নাপাকি  আগে ধৌত করে নেওয়া ভালো। গোসলের পূর্বে অজু করে নেবেন। গোসলের পর আর অযু করা লাগবে না।

উল্লেখ্য যে, ভালোভাবে গোসল করলে পরে আর অজু করা লাগে না। ঐ গোসলের অযু দিয়ে নামাজ পড়া যাবে।


৪. শুধু সন্দেহের কারণে এ অবস্থায় পা নাপাক হবে না।

৫. না, এ ক্ষেত্রে তা ক্রয় করা আপনার জন্য জায়েজ হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...