আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
84 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (2 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায।
আমি আজকে স্বপ্ন দেখি আমার ফুফাতো ভাইয়েরা আমার বাসায় আছে।মনে হলো ভাইয়ার আলাদা একটা পাওয়ার আছে,তার সাথে স্বর্নের কিছু আছে,লম্বা কাঠির মতো।যা ভাইয়া হাতে ধরলে উজ্জ্বল আলো ছড়ায়,।ভাইয়ার সাথে কথা বলার সময় আমারও কিছুটা ইচ্ছে প্রকাশ পাচ্ছিল যে আমিও ঐ কাঠি চাই।এটা বুঝতে পেরে ভইয়া আমাকে একটা কাঠি দেয় এবং কাওকে বলতে নিষেধ করে।কিন্তু সেই কাঠি আমার হাতে আসলে ঝলসে যায়।পরে ভাইয়া বললো এটা তোমার হাতে ঝলসে/তামা হয়ে গেলেও এটার গুনাগুন একই আছে।
পরে আমি কাঠিটা আমার হাসব্যন্ডের আলমারির উপরে এক কর্ণারে রেখে দিয়েছি।কাঠি নিয়েছি বা রেখেছি সেটা নিয়ে সে কিছু বলেনি।
এর পরে ভাইয়া আরও একটা কাঠি দিয়েছে আমাকে।আমি সেটাও রেখে দিছি।
এরপর দেখি আমার আম্মু খুব পুরাতন জীর্ণশীর্ণ ড্রেস পড়া আমার বাসায় আসছে নানুকে সাথে নিয়ে।আম্মু অসুস্থ তাই ডাক্তার দেখাতে আসছে।আম্মু আসছে আমি দেখিইনি।চমার ননদ বললো ভাবি ঘুমান! আন্টি আসছে।তারপর উঠে আম্মুকে রুমে আসতে বলেছি,আম্মু রুমে আসতে ইতস্তবোধ করতেছিল। পরে আম্মুকে খাটে বসিয়ে তাকিয়েছিলাম এবং দেখলাম আম্মু কয়েকবছর আগের মতো ফর্সা কিন্তু অনেক অসুস্থ। আম্মু বললো নানুকেও নিয়ে আসছে নানু আসবেই এমন।
এরপর আমার আম্মুকে বলতেছিলাম যে ভাইয়া সর্নের কাঠি দিয়েছে দুইটা।আম্মুকে দেখাইতে ছিলাম পরে দেখি একটা কাঠি ভাঙা।আমি খুব অবাক হয়ে ভাবতেছিলামএকটা কাঠি ভাঙলো কীভাবে?
এরপর দেখি আমি এক বাসায় গেছি,সে বাসায় এক মহিলা ভিখিরি আসে দেখতে অস্বাভাবিক। সে আমার কাছে ভিক্ষা চাচ্ছে। আমি দেখতে পেলাম সামনের রুমে উচু একটা বক্সের মতো এক বক্স ভাত।আমি আমার দুই হাত দিয়ে অনেক ভাত উঠিয়ে তাকে দিলাম।পরক্ষণেই সে বাসার এক পিচ্চি আমাকে বলতেছে এতোগুলো ভাত দিয়ে দিচ্ছেন তাহলে আমরা কী খাব?একটু রাগ হচ্ছিল আমাকে।
এরপর দেখি সে ভিক্ষুক আমার ছেলের খেলনার বক্স, দুইটা বই এবং একটা খাতা নিয়ে যাচ্ছিল।আমি দরজায় দাড়িয়ে বলতেছিলান যে এগুলো আমার বাবুর এগুলো নিয়েন না।ভিক্ষুক বললো ও এগুলো তোমাদের লাগবে?এটা বলে দিয়ে গেছে সেগুলো।এরপরই ঘুম ভেঙে  তখন সকাল ৯ টা বাজে।

1 Answer

0 votes
by (56,130 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম

জবাব,

ইসলামী দৃষ্টিতে স্বপ্ন তিন প্রকার:

১. যা আল্লাহর পক্ষ থেকে বান্দাহকে দেখানো হয় যা কল্যানকর হয়।

২. শয়তানের পক্ষ হতে দেখানো হয় যাতে মানুষ খারাপ, মন্দ ভয়ংকর কিছু দেখে থাকে।

তবে শয়তান স্বপ্ন দেখানোর দ্বারা মানুষের কোন ক্ষতি করতে পারেনা। ভয়ংকর স্বপ্ন দেখলে দুশ্চিন্তার কোন কারন নেই। শয়তান মানুষকে দুশ্চিন্তায় ফেলার জন্যই এমন সব আজব আজব জিনিস দেখায়। এমনটা দেখলে ঘুম থেকে জেগে বাম দিকে থুথু ফেলে আস্তাগফিরুল্লাহ বলতে হয়।

৩. মানুষের কল্পনা। অর্থাৎ মানুষ যা কল্পনা করে স্বপ্নে তা দেখতে পায়।

হাদীস শরীফে এসেছে

خَالِدُ بْنُ مَخْلَدٍ حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا سَلَمَةَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا قَتَادَةَ يَقُوْلُ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلميَقُوْلُ الرُّؤْيَا مِنْ اللهِ وَالْحُلْمُ مِنْ الشَّيْطَانِ فَإِذَا رَأٰى أَحَدُكُمْ شَيْئًا يَكْرَهُه“فَلْيَنْفِثْ حِينَ يَسْتَيْقِظُ ثَلاَثَ مَرَّاتٍ وَيَتَعَوَّذْ مِنْ شَرِّهَا فَإِنَّهَا لاَ تَضُرُّه“وَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ وَإِنْ كُنْتُ لأَرَى الرُّؤْيَا أَثْقَلَ عَلَيَّ مِنَ الْجَبَلِ فَمَا هُوَ إِلاَّ أَنْ سَمِعْتُ هٰذَا الْحَدِيثَ فَمَا أُبَالِيهَا.

আবূ ক্বাতাদাহ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়, আর মন্দ স্বপ্ন হয় শয়তানের তরফ থেকে। সুতরাং তোমাদের কেউ যদি এমন কিছু স্বপ্ন দেখে যা তার কাছে খারাপ লাগে, তা হলে সে যখন ঘুম থেকে জেগে ওঠে তখন সে যেন তিনবার থুথু ফেলে এবং এর ক্ষতি থেকে আশ্রয় চায়। কেননা, তা হলে এটা তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

আবূ সালামাহ বলেনঃ আমি যখন এমন স্বপ্ন দেখি যা আমার কাছে পাহাড়ের চেয়ে ভারি মনে হয়, তখন এ হাদীস শোনার ফলে আমি তার কোন পরোয়াই করি না। [বুখারী ৫৭৪৭ মুসলিম পর্ব ৪২/হাঃ ২২৬১, আহমাদ ২২৭০৭]

★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/ বোন!

আপনার জন্য উচিত আল্লাহ তায়ালার নিকট উক্ত স্বপ্নের অনিষ্টতা থেকে আশ্রয় চাওয়া এবং যা কল্যাণকর তা প্রাপ্তির জন্য দোয়া করা উচিত। স্বপ্নের কথা কারো নিকট না বলা। সুতরাং আল্লাহ তায়ালার রহমত প্রাপ্তির জন্য অধিকহারে আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করুন। গুনাহ পরিহার করার চেষ্টা করুন। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...