আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
1,630 views
in পবিত্রতা (Purity) by (45 points)
আসসালামু আলাইকুম।

নেইলপলিশ ব্যবহারে আগলা প্রলেপ পড়ে নখের উপর।

এখন প্রশ্ন হলো
১. নেইলপলিশ থাকাকালীন ফরজ গোসল করলে কি পবিত্রতা অর্জন হবে?যদি পবিত্রতা অর্জন না হয় তবে তো তার নামাজ রোজা ও হবেনা।

৩.সে যদি সবসময়ই নেইলপলিশ ব্যবহার করে তবে কি কখনো তার  পবিত্রতা অর্জন হচ্ছে না?

1 Answer

0 votes
by (575,580 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(১.২)
শরীয়তের বিধান হলো যদি হাতের ভিতর কোনো এমন জিনিস লেগে যায়,যেটা চামড়া পর্যন্ত পানি পৌছার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে,তার কারনে যদি আসলেই শরীরে পানি না পৌছে,এমনটি হয়ে থাকলে অযু, গোসল হবেনা, সেই অযু বা গোসল দিয়ে নামাজ আদায় করে থাকলে  ঐ নামায গুলো আবার পড়ে নিতে হবে। 

হযরত আবু তামীম জায়শানী রাহ. থেকে বর্ণিত আছে, আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা. যখন অযু করতেন আংটি নাড়াচাড়া করতেন। আবু তামীমও তা করতেন। ইবনে হুবায়রাও তা করতেন।
(মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা ১/৩৭১ (৪৫৬); মাবসূত, সারাখসী ১/১০; আদ্দুররুল মুখতার ১/১২৬; আলবাহরুর রায়েক ১/১৩; হাশিয়াতুত তহতাবী আলাল মারাকী ৪২৮)

অজুর ক্ষেত্রে অজুর অঙ্গগুলো এবং ফরজ গোসলের ক্ষেত্রে পুরো শরীর পরিপূর্ণভাবে পানি দ্বারা ভেজানো আবশ্যক।
যদি কোনো অংশ না ভিজে,তাহলে অযু,গোসল হবেনা।

,
★নেইল পলিশের মধ্যে যদি এমন কোন ধাতু থাকে যার ফলে পলিশের নীচে পানি না পৌঁছে তাহলে পলিশ তুলে ফেলা ছাড়া ওজু ও গোসল শুদ্ধ হবে না। ওজু-গোসল শুদ্ধ না হলে নামাযও শুদ্ধ হবে না। 

সুতরাং যদি নেইল পলিশ নখের ওপর প্রলেপ তৈরী করে তাহলে ওজুর আগে এই প্রলেপ তুলে ফেলা ছাড়া ওজু শুদ্ধ হবে না। আর যদি মেহেদির মত পলিশের কোন প্রলেপ না থাকে তাহলে ওজু শুদ্ধ হবে।
,
হাদিসে বর্ণিত আছে- আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কোনো এক সফরে আল্লাহর রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে পড়ে গেলেন। পরে তিনি আমাদের কাছে পৌঁছলেন। এদিকে আমরা (আসরের) নামাজ আদায় করতে বিলম্ব করে ফেলেছিলাম। তাই (তা আদায় করার জন্য) আমরা অজু করা শুরু করলাম। এ সময় আমরা আমাদের পা কোনোমতে পানি দ্বারা ভিজিয়ে নিচ্ছিলাম। তখন তিনি উচ্চৈঃস্বরে বলেন, ‘সর্বনাশ! গোড়ালির নিম্নাংশগুলোর জন্য জাহান্নামের আগুন রয়েছে।’ তিনি দুই বা তিনবার এ কথা বললেন। (বুখারি, হাদিস : ৯৬, মুসলিম, হাদিস : ২৪১)
,
জামিয়া বিন নুরি পাকিস্তানের 144105200500 নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে যেঃ

নেইলপালিশের মধ্যে নাপাক উপাদান থাকলে নেইলপলিশ ব্যবহার করা বৈধ নয়।
আর যদি এতে নাপাক উপাদান  না থাকে, তবে এটি ব্যবহার করা বৈধ।
,
তবে যেই নেইলপালিশের কারনে নখে স্তর জমে যায়,
(চাই সেটি যদি ক্যামিক্যাল তথা রাসায়নিক পদার্থ  দিয়ে অপসারণ করতে হয় বা অন্য নখ দিয়ে ঘষে এড়িয়ে যেতে হয়)
,
এমন নেইলপালিশ ব্যবহারের কারণে চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছায় না; অতএব, ওযু / ঘোসাল করার আগে এটি অপসারণ করা প্রয়োজন।
,
আর যদি নেলপলিশের উপর গবেষণা করে প্রমাণ হয় যে এর স্তরটি নখের সাথে লেগে থাকে না।
পানি তার নীচে পৌঁছে যায় তবে এই জাতীয় নেইলপালিশ ওযুর ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়াবে না।
,
★এক্ষেত্রে অযুর জন্য বাধা হলে নামাজের জন্য সেটি সমস্যা হবে,রোযার জন্য কোনো সমস্যা নয়।
কারন রোযার জন্য তো অযু করতে হয়না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...