জবাবঃ-
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
ফুকাহায়ে কেরামগন শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি বিনা ওজরে চল্লিশ দিন পর কাটাকে মাকরূহ তাহরীমি বা গোনাহর কাজ বলেছে।
এ মর্মে হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
সাহাবী আনাস রাযি. বলেন,
وُقِّتَ لَنَا فِي قَصِّ الشَّارِبِ، وَتَقْلِيمِ الأَظْفَارِ، وَنَتْفِ الإِبِطِ، وَحَلْقِ الْعَانَةِ، أَنْ لاَ نَتْرُكَ أَكْثَرَ مِنْ أَرْبَعِينَ يَوْماً.
অর্থাৎ, গোঁফ ছোট রাখা , নখ কাঁটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা এবং নাভীর নিচের লোম চেঁছে ফেলার জন্যে আমাদেরকে সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছিল যেন, আমরা তা করতে চল্লিশ দিনের অধিক দেরী না করি। (মুসলিম ২৫৮)
ফাতাওয়ায়ে শামীতে আছে,
وفى الدر المختار- والأفضل يوم الجمعة وجاز في كل خمسة عشرة وكره تركه وراء الأربعين (رد المحتار على الدر المختار، كتاب الحظر والإباحة، فصل فى البيع-9/582-583
উত্তম হলো প্রতি জুমআয় পরিস্কার করা,প্রত্যেক পনের দিন পর পরেও পরিস্কার করা জায়েজ আছে,তবে চল্লিশ দিন অতিক্রম করলে মাকরুহ হবে।
,
উল্লেখ্য, প্রতি সপ্তাহে নুন্যতম একবার শরীরের অবাঞ্ছিত লোম, নখ ইত্যাদি কেটে নেয়া সুন্নাহ।
বিনা ওযরে দেড়ি করা ঠিক নয়।
আরো জানুনঃ
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
৪০ পর্যন্ত নখ না কাটলে গুনাহ হবে না।
বিনা ওযরে ৪০ দিন অতিক্রম করলে গুনাহ হবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
হযরত আনাস ইবনে মালেক রা. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন খানা খেতেন তখন আঙ্গুল চেটে খেতেন এবং বলতেন, খাদ্য পড়ে গেলে তা থেকে ময়লা দূর করে খেয়ে নাও এবং তা শয়তানের জন্য রেখে দিও না। তিনি আমাদের পাত্র চেটে খাওয়ার আদেশ করতেন এবং বলতেন, তোমাদের তো জানা নেই খাদ্যের কোন্ অংশে বরকত রয়েছে। (সহীহ মুসলিম, হাদীস ২০৩৪; সুনানে আবু দাউদ, হাদীস ৩৮৪৭; সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৫২৪৯)
★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
এক্ষেত্রে উচিত ছিলো,দস্তরখানার উপর খাবার খাওয়া,যাতে দানা পড়ে গেলে তাহা উঠিয়ে নিয়ে খাওয়া যায়।
সর্বপরি প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ভাতের দানাগুলো অনেক ময়লা থাকার কারণে যেহেতু উঠিয়ে খাননি,সুতরাং এমতাবস্থায় সেগুলো একত্রিত করে ধুয়ে কোনো প্রানীকে দেয়া উচিত ছিলো,এভাবে ফেলে রাখা উচিত হয়নি।
এর দরুন আপনার অপচয়ের গুনাহ হবে।
(০৩)
হ্যাঁ, এই বিশ্বাস রেখে দুআ করা যাবে।
(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে তার সাথে ফোনে কথা বলাতে আপনার জন্য কোনো সমস্যা নেই।
জায়েজ আছে।