বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
রাসূল (সা.)-এর হাদিস মান্য করা মুসলমানদের উপর আবশ্যক। কুরআন মাজিদে ইরশাদ হয়েছে,
ﻭَﻣَﺎ ﺁﺗَﺎﻛُﻢُ ﺍﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻓَﺨُﺬُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﻬَﺎﻛُﻢْ ﻋَﻨْﻪُ ﻓَﺎﻧْﺘَﻬُﻮﺍ
‘রাসূল তোমাদের যা দেয় তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে তিনি তোমাদের নিষেধ করে তা থেকে বিরত হও।’ [সূরা হাশর, আয়াত: ৭]
হাদিসের কয়েক প্রকারের মাঝে অন্যতম হল মুতাওয়াতির। ফুকাহায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে, মুতাওয়াতির হাদিস অস্বীকারকারী কাফের হিসেবে গণ্য হবে। তবে হাদিসের বাকি প্রকারগুলো অস্বীকার করলে তাকে কাফের বলা যাবে না।
মিফতাহুল জান্নাহ পৃ. ১৪; রদ্দুল মুহতার ৬/৩৫৭; ফাতওয়ায়ে হিন্দিয়া ২/২৬৫
আল্লাহ তা‘আলাই সবচেয়ে ভালো জানেন।
হাদীস অস্বীকার সম্পর্কে
শাইখ উছাইমীন (রহঃ) থেকে নিম্নোক্ত জবাব এসেছে:
হাদিস অস্বীকার করা হতে পারে অপব্যাখ্যামূলক কিংবা অবিশ্বাসমূলক। অবিশ্বাসমূলক এভাবে যে, সে ব্যক্তি বলে: আমি জানি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ কথা বলেছেন। কিন্তু আমি সেটাকে অস্বীকার করি ও মানি না। যদি এ ধরণের অস্বীকার হয় তাহলে সে ব্যক্তি কাফের মুরতাদ (ইসলাম ত্যাগকারী); এমন ব্যক্তির পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না।
আর যদি তার অস্বীকার করাটা অপব্যাখ্যা নির্ভর হয়; তাহলে দেখতে হবে: যদি (আরবী) ভাষার আলোকে এমন ব্যাখ্যা করার অবকাশ থাকে এবং সে ব্যক্তি শরিয়তের উৎসসমূহ ও মূলভিত্তিগুলোর জ্ঞান রাখেন তাহলে তাকে কাফের গণ্য করা যাবে না; বরং তার অভিমতটি বিদাত হলে তাকে বিদাতীদের মধ্যে গণ্য করা হবে। তার পিছনে নামায পড়া যাবে; যদি না তার পিছনে নামায না পড়ার মধ্যে কোন কল্যাণের দিক থাকে; যেমন সে ব্যক্তি পিছু হটে এসে বিষয়টি নিয়ে পুনরায় চিন্তা করা; সেক্ষেত্রে তার পিছনে নামায না পড়া।
(২)
তাওবাহ তো সমস্ত ছোট বড় গোনাহের জন্যই করতে হবে।সমস্ত গোনাহ থেকে বাঁচার জন্য তাওবাহ করা ওয়াজিব।হ্যা একেকটি গোনাহকে নির্দিষ্ট করেও তাওবাহ করা যাবে।তবে সবগুলি গোনাহের জন্যই তাওবাহ করতে হবে।
(৩)
তৃতীয় প্রশ্নটি পরিস্কার করে ইডিট করে দিবেন।জাযাকুমুল্লাহ।