আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
125 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ।
বিদ'আতীরা সবুজ রংকে প্রাধান্য দেওয়ার কি নির্দিষ্ট কোনো কারণ আছে? রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর রওজা মুবারক এর গম্বুজ সবুজ যারা করেছিলেন ইতিহাসে উনাদের ব্যাপারেও বিদ'আত প্রচলন করার কথা আছে। উনারা নির্দিষ্টভাবে সবুজ রং বাছাই করার কারণ কি? জান্নাতীদের পোশাক সবুজ হবে বা সবুজ রংয়ের কথা কিছু হাদীসেও আছে সেজন্য এই রংকে বাছাই করেছে? ইসলামের পতাকা তো কালো। মিলাদুন্নবী যারা পালন করে ইনারা পতাকাও সবুজ ব্যবহার করে, টুপিও সবুজ পরিধান করে। সবুজের এত গুরুত্বের কি কোনো কারণ আছে?

1 Answer

0 votes
by (73,290 points)

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

উসমানীয় খিলাফতে সৈয়দরা সবুজ পাগড়ি ব্যবহারের মাধ্যমে এক স্বকীয় পরিচয়ের স্বাক্ষর বহন করতেন।

সবুজ রঙ (আরবি: الخضر, প্রতিবর্ণীকৃত: 'al-khdir') ইসলামের বেশ কিছু ঐতিহ্যের সাথে সম্পর্কিত এবং ইসলামে এর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দ্বাদশ শতাব্দীতে শিয়া ফাতিমীরা সবুজ রঙকে রাজবংশের প্রতীক হিসাবে বেছে নিয়েছিল। এতে তারা সুন্নি আব্বাসীদের ব্যবহৃত কালো রঙের বিরোধীতা প্রকাশ করে। তাদের পরেও শিয়া আইকনোগ্রাফিতে সবুজ রঙের জনপ্রিয় রয়ে গিয়েছে।


১২৫৩ হিজরিতে, উসমানীয় সুলতান 'আব্দুল-হামিদ (মসজিদে নববীর) গম্বুজটিকে সবুজ রঙ করার জন্য একটি আদেশ জারি করেছিলেন। তিনিই প্রথম এটিকে সবুজ রঙ করেছিলেন এবং বর্তমান অবধি যখনই প্রয়োজন তখনই রঙটি পুনর্নবীকরণ করা হয়েছে।

সূত্র- উইকিপিডিয়া


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


উপরোক্ত কিছু কারণে এই রংয়ের প্রচার-প্রসার বিশ্বব্যাপী বেড়ে গিয়েছে।

তাছাড়া রাসূল সা. সবুজ রঙের কাপড়ও পরিধান করেছেণ

হাদীস শরীফে এসেছে-

আবূ রিমসাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,

عَنْ أَبِي رِمْثَةَ، قَالَ: انْطَلَقْتُ مَعَ أَبِي نَحْوَ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: فَرَأَيْتُ عَلَيْهِ بُرْدَيْنِ أَخْضَرَيْنِ

একদা আমি আমার পিতার সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গেলাম। তখন আমি তাঁর পরিধানে দু’টি সবুজ রঙে চাদর দেখেছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...