আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
88 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (36 points)
আসসালামু আলাইকুম উস্তায,,

কারো স্ত্রী,সে বিয়ের আগে দ্বিন পালন করতো,মাদ্রাসায় পড়তো।বিয়ের পর দুই এক বছর দুজনেই ভালোভাবে দ্বিন পালন করে আসছিল। সে সময় তারা শহরে বাসা ভাড়া থাকতো।দু বছর পর গ্রামে ছেলে তার বাবার বাড়িতে চলে আসে এবং সবাই একসাথে থাকা শুরু করে।ছেলের বাবা মা নিজেরা দ্বিন পালনে ততটা আগ্রহী না  হলেও ছেলে এবং ছেলের বউয়ের থাকা,খাওয়া,দ্বীন পালনে উৎসাহ এবং কখনও যাতে কোনো সমস্যা না হয় সে ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন।
পারিবারিক নানা কারণে তারা দুজনেই দ্বিন থেকে বিমুখ হয়ে যায়।
এমতাবস্থায়, স্ত্রী বলতেছে যে সে যে পরিবারে এসেছে এদের কারণেই তার দ্বিনের আজকে এই অবস্থা।যেহেতু পরিবারের কেউ দ্বিন পালনে তেমন আগ্রহী নয়।
বাট স্বামী বলছে,তোমার দ্বীন তুমি পালন করো,তোমাকে ত কেউ বাধা দিচ্ছেনা বরং তুমিই নিজে দ্বিন পালনে কঠোর হয়ে সবাইকে দাওয়াত দাও তাহলেই ত হয়।

প্রশ্ন হল,,স্ত্রী এই অভিযোগ কতটা শরীয়ত সম্মত?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
وَعَن أَبي مُوسَى الأَشعَرِي أَنَّ النَّبِيِّ ﷺ قَالَ إِنَّمَا مَثَلُ الجَلِيسِ الصَّالِحِ وَجَلِيسِ السُّوءِ كَحَامِلِ المِسْكِ، وَنَافِخِ الْكِيرِ، فَحَامِلُ الْمِسْكِ: إمَّا أنْ يُحْذِيَكَ، وَإمَّا أنْ تَبْتَاعَ مِنْهُ وَإمَّا أنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحاً طَيِّبَةً وَنَافِخُ الكِيرِ : إمَّا أنْ يُحْرِقَ ثِيَابَكَ وَإمَّا أنْ تَجِدَ مِنْهُ رِيحاً مُنْتِنَةً مُتَّفَقٌ عَلَيهِ
 নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সৎ সঙ্গী ও অসৎ সঙ্গীর উদাহরণ হল, কস্ত্তরী বহনকারী (আতরওয়ালা) ও হাপরে ফুৎকারকারী (কামারের) ন্যায়। কস্তুরী বহনকারী (আতরওয়ালা) হয়তো তোমাকে কিছু দান করবে অথবা তার কাছ থেকে তুমি কিছু খরিদ করবে অথবা তার কাছ থেকে সুবাস লাভ করবে। আর হাপরে ফুৎকারকারী (কামার) হয়ত তোমার কাপড় পুড়িয়ে দেবে অথবা তুমি তার কাছ থেকে দুর্গন্ধ পাবে।(বুখারী ৫৫৩৪, মুসলিম ৬৮৬০)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সৎ সঙ্গের কারণে দ্বীনের উপর প্রভাব পড়ে। আপনার স্ত্রীর অভিযোগ অমূলক নয়। তবে আপনার স্ত্রীকে স্রোতের তালে গা ভাসিয়ে দিলে হবে না, বরং তাকে নিজ দ্বীন পালনে সচেষ্ট থাকতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...