আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম। আমার স্ত্রী কে আমি প্রথম এ একা তালাক দেই। পরবর্তী তে সেই এক তালাক প্রত্যাহার করি। ঝামেলা বেশি হলে আমি মেসেজ এ লিখি তোমাকে তিন তালাক দিলাম।এতে করে কয় তালাক হবে। বিয়ে কি ভেঙে যাবে??? এখন আমার করণীয় কি???

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

https://ifatwa.info/89659/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ- 
তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

এ শব্দটি নিয়ত থাকুক বা না থাকুক রাগে বলুক আর মুহাব্বতে বলুক স্ত্রীকে উদ্দেশ্য নিয়ে মুখ দিয়ে এ শব্দ বের হলেই তালাক পতিত হয়ে যায়। 

হাদীসে এসেছে-

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
স্ত্রীকে মেসেজে উদ্দেশ্য ছাড়া "তালাক" শব্দটি লেখার পর তা কেটে মেসেজ না পাঠালেও তালাক পতিত হয়ে যাবে। এক্ষেত্রে লেখার সময় থেকে স্ত্রীর উপর ইদ্দত আবশ্যক হবে। 
এক্ষেত্রে রজয়ী তালাক পতিত হবে। 

فَإِنْ كَانَ كَتَبَ: امْرَأَتُهُ طَالِقٌ فَهِيَ طَالِقٌ سَوَاءٌ بَعَثَ الْكِتَابَ إلَيْهَا، أَوْ لَمْ يَبْعَثْ.
سرخسي، المبسوط، 6: 143، بيروت: دار المعرفة

সারমর্মঃ-
যদি কোনো ব্যাক্তি নিজের স্ত্রীকে তালাক লিখেছে,তাহলে তার স্ত্রীর উপর তালাক পতিত হয়ে যাবে। চাই লেখাটি তার নিকট পাঠাক বা না পাঠাক।

 فتاویٰ عالمگیری
وَلَوْ كَتَبَ الطَّلَاقَ فِي وَسَطِ الْكِتَابِ وَكَتَبَ قَبْلَهُ وَبَعْدَهُ حَوَائِجَ ثُمَّ مَحَا الطَّلَاقَ وَبَعَثَ بِالْكِتَابِ إلَيْهَا وَقَعَ الطَّلَاقُ كَانَ الَّذِي قَبْلَ الطَّلَاقِ أَقَلَّ أَوْ أَكْثَرَ.

الشيخ نظام وجماعة من علماء الهند، الفتاوى الهندية، 1: 378، دار الفكر

সারমর্মঃ-
যদি চিঠির মাঝে তালাক লেখে,এবং তার আগে বা পরে প্রয়োজনীয় কথা লেখে,অতঃপর মাঝে হতে তালাক শব্দ মুছে দেয়,এবং লেখাটি স্ত্রীর নিকট পৌছে দেয়,তাহলে তালাক পতিত হয়ে যাবে। চাই তালাকের পূর্বে কম লিখুক বা বেশি লিখুক।

فتاوی عالمگیری
"بأن كتب أما بعد فأنت طالق فكلما كتب هذا يقع الطلاق و تلزمها العدة من وقت الكتابة."

(كتاب الطلاق،الباب،الباب الثاني في ايقاع الطلاق ج:1،ص:378،ط:رشيديه)
সারমর্মঃ-
স্বামী লিখেছে, পর সমাচার এই যে তুমি তালাক,তাহলে লেখা মাত্র তালাক পতিত হয়ে যাবে। লেখার সময় থেকে স্ত্রীর উপর ইদ্দত আবশ্যক হবে।

الطلاق والخلع يصح دون علم الآخر (الفقه الاسلامى وأدلته-9/291
সারমর্মঃ-
তালাক ও খোলার কথা অপরজন  না শুনলে,বা জানলেও তালাক হয়ে যায়। 

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,   
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার স্ত্রীর উপর তিন তালাক পতিত হয়ে গিয়েছে।
তিনি আপনার জন্য হারাম হয়ে গিয়েছেন।

এখন স্ত্রীকে পুনরায় ফিরিয়ে নিতে চাইলে শরয়ী হালালাহ করতে হবে।

শরয়ী হালালাহ ব্যাতিত স্ত্রীকে ফিরিয়ে নেয়ার এখন আর কোনো অপশন নেই।

এ সংক্রান্ত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...