ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://ifatwa.info/40728/
নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
□ মুদারাবা দুই ধরনের:
১. মুদারাবা মুতলাক অর্থাৎ চুক্তিপত্রে কিছুই উল্লেখ থাকবে না
যে, কোথায় ব্যবসা করবে, কিসের
ব্যবসা করবে, সময়সীমা কতটুকু হবে ইত্যাদি অনির্দিষ্ট থাকবে। এ
ধরনের মুদারাবা চুক্তির আওতায় মুদারিব স্বাধীন থাকে। সে ইচ্ছানুযায়ী যে কোনো পণ্যের
যে কোনো জায়গায় ব্যবসা করতে পারে। তবে সাহিবুল মালের অনুমতি ছাড়া মূলধনকে নিজের সম্পদের
সঙ্গে মেশাতে কিংবা অন্যকে মুদারাবার ভিত্তিতে প্রদান করতে পারবে না।
২. মুদারাবা মুকাইয়াদ অর্থাৎ ব্যবসার চুক্তিপত্রে যাবতীয় বিষয়
কিংবা যে কোনো একটি বিষয় নির্দিষ্ট থাকবে।
এ পদ্ধতির আওতায় ব্যবসা করলে মুদারিব স্বাধীন থাকবে না। তাকে
চুক্তিপত্রের শর্তানুযায়ী ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। (শিরকত ও মুজারাবাত আসরে হাজের
মে, পৃষ্ঠা ২৩২)।
□ মুদারাবা শুদ্ধ হওয়ার জন্য কিছু শর্ত:
১. মূলধন নির্দিষ্ট করে মুদারিব তথা উদ্যোক্তার পূর্ণ দখলে দিতে
হবে।
২. মালিক ও উদ্যোক্তার মধ্যে মুনাফার অংশ আগেই নির্দিষ্ট হতে
হবে। এক্ষেত্রে স্মরণ রাখবে যে, শরিয়ত মুনাফা বণ্টনের
কোনো অনুপাত নির্দিষ্ট করে দেয়নি। বরং তা উভয়পক্ষের স্বাধীন মতামতের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
তারা মুনাফা সমহারেও বণ্টন করতে পারে আবার সাহিবুল মাল তথা মালিক ও মুদারিব তথা উদ্যোক্তার
জন্য পৃথক কোনো অনুপাতও নির্দিষ্ট করতে পারে। তবে মুনাফা বণ্টন করতে হবে মুনাফাকেন্দ্রিক;
মূলধনকেন্দ্রিক নয়। অর্থাৎ মূলধনের আনুপাতিক হারের সঙ্গে মুনাফা নির্দিষ্ট
করা যাবে না। উদাহরণস্বরূপ মূলধনের ২০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। অর্থাৎ ১০০ টাকা বিনিয়োগ
করলে লাভ কত এলো না এলো সেটা দেখার বিষয় নয়; বরং ১০০ টাকায় ২০
টাকা মালিক পেয়ে যাবে। এরূপ শর্ত করলে তা সুদে পরিণত হবে। অনুরূপভাবে কোনো পক্ষের জন্য
নির্দিষ্ট পরিমাণ লাভ ধার্য করাও যাবে না। যেমন মূলধন যদি এক লাখ টাকা হয় তাহলে সমুদয়
মুনাফার ১০ হাজার টাকা মালিক পাবে। বাকি যা থাকবে সেটা মুদারিব বা উদ্যোক্তা পাবে।
এ ধরনের চুক্তি করা যাবে না। বরং এভাবে চুক্তি করতে পারবে যে, প্রকৃত মুনাফার ৪০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৬০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে,
কিংবা ৬০ শতাংশ মুদারিব পাবে এবং ৪০ শতাংশ রব্বুল মাল পাবে। স্থান,
কাল, পাত্র ভেদে ও ব্যবসা পণ্যের ধরন বুঝে মুনাফার
হার পরিবর্তন হতে পারে। (শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
১. তিনি যেহেতু ব্যক্তিগত কাজে তা নিয়েছিলেন এবং তার টাকা দ্বারাই তা পরিশোধ করছেন। এই বিষয়টা যেহেতু তার
ব্যবসা থেকে আলাদা। তাই তার সাথে ব্যবসা করাতে কোনো সমস্যা নেই।
২. প্রশ্নোক্ত ক্ষেত্রে উভয়ের লাভ বা প্রফিট সুনির্দিষ্ট
থাকতে হবে। নতুবা উক্ত মুদারাবা চুক্তি বাতিল বলে গণ্য হবে।