জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
অনলাইনে অনেক ধরনের ইনকাম সোর্স রয়েছে,যদি এতে নাজায়েজ এর কোনো কার্যক্রম না থাকে,তাহলে তা নাজায়েজ হবেনা।
,
আর যদি কোনো শরীয়ত বহির্ভূত কাজ থাকে,তাহলে সেখানে থেকে ইনকাম করা জায়েজ হবেনা।
,
অনলাইনে দেশী-বিদেশী যে কোনো কম্পানি বা ক্লায়েন্টের সাথে পারিশ্রমিক নির্ধারণ পূর্বক আপনি কাজ করতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে শর্ত হচ্ছে কোন হারাম কাজ হতে পারবেনা।
যেমন সুদী কম্পানি বা মদ,জুয়া ইত্যাদি সম্পর্কিত কম্পানি বা ছবি আকার কাজ হতে পারবেনা।
সুতরাং হারাম কাজ থেকে বেছে থাকা এবং পারিশ্রমিক নির্ধারণী হওয়ার শর্তে ফ্রীল্যান্সিং পেশা জায়েয আছে।
আরো জানুনঃ
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، أَنْبَأَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ مُجَالِدٍ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهُ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " الْحَلاَلُ بَيِّنٌ وَالْحَرَامُ بَيِّنٌ وَبَيْنَ ذَلِكَ أُمُورٌ مُشْتَبِهَاتٌ لاَ يَدْرِي كَثِيرٌ مِنَ النَّاسِ أَمِنَ الْحَلاَلِ هِيَ أَمْ مِنَ الْحَرَامِ فَمَنْ تَرَكَهَا اسْتِبْرَاءً لِدِينِهِ وَعِرْضِهِ فَقَدْ سَلِمَ وَمَنْ وَاقَعَ شَيْئًا مِنْهَا يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَ الْحَرَامَ كَمَا أَنَّهُ مَنْ يَرْعَى حَوْلَ الْحِمَى يُوشِكُ أَنْ يُوَاقِعَهُ أَلاَ وَإِنَّ لِكُلِّ مَلِكٍ حِمًى أَلاَ وَإِنَّ حِمَى اللَّهِ مَحَارِمُهُ " . حَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ زَكَرِيَّا بْنِ أَبِي زَائِدَةَ، عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ بِمَعْنَاهُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ حَسَنٌ صَحِيحٌ وَقَدْ رَوَاهُ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الشَّعْبِيِّ عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ بَشِيرٍ .
নুমান ইবনু বাশীর (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে আমি বলতে শুনেছিঃ হালালও সুস্পষ্ট, হারামও সুস্পষ্ট এবং এ দুটির মাঝে অনেক সন্দেহজনক বিষয় আছে। তা হালাল হবে না হারাম হবে সেটা অনেকেই জানে না। যে লোক এই সন্দেহজনক বিষয়গুলো নিজের দ্বীন এবং মান-ইজ্জাতের হিফাযাতের উদ্দেশ্যে ছেড়ে দেবে সে নিরাপদ হল। যে লোক এর কিছুতে লিপ্ত হল তার হারাম কাজে লিপ্ত হওয়ারও সংশয় থেকে গেল। (উদাহরণস্বরূপ) নিষিদ্ধ এলাকার আশেপাশে যে লোক পশু চড়ায়, তার এতে প্রবেশের ভয় আছে। জেনে রাখ! প্রতিটি সরকারেরই কিছু সংরক্ষিত এলাকা থাকে। সাবধান! আল্লাহ্ তা'আলার সংরক্ষিত এলাকা হল তার হারাম করা বিষয়গুলো'।
- সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৩৯৮৪),বুখারী, মুসলিম
হান্নাদ ওয়াকী হতে, তিনি যাকারিয়্যা ইবনু আবী যাইদা হতে, তিনি শা'বী হতে, তিনি নুমান ইবনু বাশীর হতে, তিনি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ অর্থে হাদীস বর্ণনা করেছেন। আবু ঈসা বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ। একাধিক বর্ণনাকারী নুমান (রাঃ)-এর সূত্রে একই বিষয়বস্তু সম্বলিত হাদীস বর্ণনা করেছেন।
(তিরমিজি ১২০৫)
,
বিস্তারিত জানুনঃ
যে সমস্ত ওয়েবসাইট হালাল উপায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে, আর কোন নাজায়েজ বিষয় এতে সম্পৃক্ত না থাকে, সেটা তৈরী করা জায়েজ।
তার ইনকামও জায়েজ।
,
যে সমস্ত ওয়েবসাইট হারাম উপায়ে তাদের কার্যক্রম পরিচালিত করে,সেটা তৈরী করাও জায়েজ হবেনা।
সেখান থেকে ইনকাম করাও জায়েজ হবেনা।
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে জিমেইল আইডি তৈরী করে সেটি সেল করে টাকা ইনকাম করা জায়েজ আছে।
তবে মূল্য,পারিশ্রমিক নির্ধারন করা শর্ত।
তবে যেমন মদের কোম্পানির ওয়েবসাইট তৈরী করা,এ থেকে ইনকাম করা হারাম।
হারাম কাজের জন্য জিমেইল আইডি তৈরী করা যাবেনা।
তাহলে সেটির ইনকামও হারাম হবে।