আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
138 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,

আমি খুব সাধারণ একটি সমাধান চাচ্ছি। হস্তমৈথুন যেহেতু গুনাহ তাই এটি করা নিষিদ্ধ। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে শুনেছি এক্সেপশন থাকে।

আমি একটা শারীরিক সমস্যায় পড়ছি। যদি প্রতি ৫-৭ দিন এ অন্ডকোষ অনেক ভারী অনুভব হয় এবং কেমন একটা চিনচিনে ব্যাথা সব সময় থাকে। হস্তমৈথুন করলে অনেক পরিমান বীর্য বের হয়ে যায় এবং ব্যাথা তখনি ৫০ পার্সেন্ট কমে যায় এবং কিছু সময়ের মধ্যেই বাকি ৫০ পার্সেন্ট ও কমে যায়। যদি এই ৫-৭ দিনের মধ্যে কখনো স্বপ্নদোষ হয়ে যায় তাহলে আর এই সমস্যাটা হয়না। এখন মুফতি সাহেব দয়া করে বেয়াদবি নিবেন না, আপনি পুরুষ মানুষ, নিশ্চই আমার অবস্থান থেকে একটু হলেও বুঝবেন আমার কষ্টের বিষয়টা। যদি শরীরের এরকম একটা স্থানে ভার অনুভূত হয় এবং এর কারণে ওই স্থান এ চিনচিনে ব্যাথা ও সেটার কিছুটা অনুভব তলপেটেও হয় তাহলে কতটা অস্বস্তি লাগতে পারে। আমার বয়স ২৫, মাস্টার্স এ অধ্যয়নরত প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এই সময়টা মেজাজের উপরেও নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারি না। শুধুমাত্র এই পাপ কাজটা করলেই মন মেজাজ শরীর সব রিলাক্সড হয়ে যাই।
এমন ও একবার হয়েছিল যে এই ধরণের কন্ডিশন নিয়ে জিমে গিয়েছিলাম , ইন্সট্রুমেন্টাল এক্সারসাইজ এত বেশি করে ফেলেছিলাম এবং বেশি বেশি ওয়েট নিয়ে, অতঃপর মাথা ঘুরে পড়ে গেছিলাম। অজ্ঞান হইনি তবে খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিলো। কোনো কিছুর বোধ শক্তি ছিল না আর, ঘন্টাখানেক পরে নরমাল হয়ে বাড়িতে আসছিলাম।

এক্ষেত্রে কি নিজেকে রিলিফ দেওয়ার জন্য হস্তমৈথুন করা জায়েজ হবে?
রোজা রেখে দেখছি, এতে আমার ভিতরে কামভাব আরো বেড়ে যায়। রমজান মাসে আমি সর্বাধিক স্বপ্নদোষ এর শিকার হই। তবে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন কারণ এইটা হয় শুধুমাত্র সেহেরি শেষে ফজর এর নামাজ পরে ঘুমানোর পরে। এজন্য নামাজ নিয়ে সমস্যা হয়না আলহামদুলিল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত।
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
‘তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)

«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2276

হস্তমৈথুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/4344

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনার উপর বিয়ে করা ফরয। আপনার জন্য এবং আপনার মত যারা সমস্যায় জর্জরিত, তাদের জন্য হস্তমৈথুন কখনো স্থায়ী সমাধান হতে পারে না। সুতরাং আপনার জন্য হস্তমৈথুন কখনো জায়েয হবে না। আল্লাহ আপনাকে বিয়ে করার তাওফিক দান করুক।আমীন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...