আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
278 views
in সালাত(Prayer) by (9 points)
সাধারণত এমন রোগীরা অনেক অবসাদগ্রস্ত থাকে। অনেকে দিনের বেশিরভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটায় অথবা দুর্বলতাবসত শয়ন অবস্থায় থাকে। এমতাবস্থায় করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (707,240 points)
জবাব
এমন মানুষের কোনো গোনাহ হবে না।


জ্বীন জাতির আছর সত্য।মানুষের উপর জ্বীন প্রভাব বিস্তার করে থাকে,মারুষের জ্ঞান বুদ্ধিকে লোপ পাইয়ে দিয়ে থাকে।জ্বীনের আছরগ্রস্থ কোনো মানুষ আত্মহত্যা করে নিলে,উক্ত ব্যক্তি যেহেতু সজ্ঞানে আত্মহত্যা করছে না,তাই তার কোনো গোনাহ হবে না।


জ্বীনজাতি সম্পর্কে একটি তাত্বিক লিখা সংগৃহিত রয়েছে-নিম্নে সেই লিখাটিকে দিচ্ছি-

মানুষ সৃষ্টির প্রায় ২০০০ বছর আগে থেকে জিনরা পৃথিবীতে আছে বলে জানা যায়। জিনদের আদি পিতা সামুম। জিন তৈরি করে আল্লাহ সামুমকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তুমি আমার কাছে কিছু কামনা করো। সামুম দুটি বিষয় কামনা করেছিলেন। এক. জিন মানুষকে দেখতে পারবে কিন্তু মানুষ জিনকে দেখতে পারবে না। দুই. জিনরা বৃদ্ধ বয়সে যুবক হয়ে মৃত্যুবরণ করবে। আল্লাহপাক সামুমের দুটি চাওয়া পূরণ করেন। জিনদের কিছু বৈশিষ্ট্য হলো এক. জিন অদৃশ্য এবং খুব দ্রুত এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যেতে পারে। দুই. পৃথিবী বাদে অন্য সব গ্রহ-নক্ষত্রে জিনরা চলাফেরা করতে সক্ষম। তিন. যেকোনো প্রাণীর রূপ ধারণ করতে পারে। চার. জিনরা অন্ধকারে থাকতে পছন্দ করে। মানুষের চেয়ে জিনরা অনেক বেশি দিন বেঁচে থাকে। কারও কারও মতে প্রায় ৫০০ বছর। তবে ৩০০ বছর বয়সে তারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়। জিনদের মধ্যে নারী জাতি রয়েছে, যাদের পরী বলা হয়ে থাকে। জায়েদ বিন আরকাম (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘এই জায়গাগুলোতে (শৌচাগার) জিন ও শয়তানরা অবাধে বিচরণ করে। তোমাদের মধ্যে যে এই স্থানগুলোতে যাবে, সে যেন বলে আমি আল্লাহর কাছে পুরুষ ও নারী শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।’ (আহমেদ ইবনে হাম্বল : ৪/৩৬৯)

মহানবী (সা.) বলেছেন, তিন ধরনের জিন রয়েছে। একদল যারা সর্বদা আকাশে উড়ে বেড়ায়। আরেক দল যারা সাপ ও কুকুরের আকার ধারণ করে থাকে। তৃতীয় দল পৃথিবীবাসী, যারা কোনো এক স্থানে বাস করে বা ঘুরে বেড়ায়। (বায়হাকি ও তাবরানি)।

বিস্তারিত জানুন-৬৯৬০






(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...