আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
60 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (8 points)
আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহ

১) IFatwa তে মাসে ৪টার বেশি প্রশ্ন করতে পারেনা বলে অনেক প্রয়োজন ভেদে কয়েকটা আইডি খুলে প্রশ্ন করে, এটা কি গুনাহ হবে?

২) আমার খুব কাছের কেউ'র নখের পাশে আঙ্গুলের চামড়া দাঁত দিয়ে খোঁচানোর অভ্যাস আছে, এবং এগুলো খেয়েও ফেলে মাঝেমধ্যে, [নখ কামড়ানোর অভ্যাস থেকেই এটা এসেছে]
এটা কি গুনাহ হবেনা? বা এর হুকুম কী?

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

ইসলামে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসে বিভিন্ন উপায়ে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নানাবিধ শিক্ষা দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। চুল, গোফ, অবাঞ্ছিত লোম পরিস্কার ও নখ কাটাও পবিত্রতার অংশ। নখ কাটাকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য বলা হয়েছে। নারী-পুরুষের দায়েমী সুন্নতের মধ্যেও নখ কাটা অন্তর্ভুক্ত। আবু মালেক আশআরি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক। ’ (মুসলিম, হাদিস নং: ২২৩)  

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ফিতরাত হলো পাঁচটি বিষয়, খৎনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা, বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ খাটো করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৯২)।

আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ফিতরাত দশটি: এর মধ্যে নখ কাটাও রয়েছে। এ ব্যাপারে হজরত আনাস (রা.) বলেন, গোঁফ ছোট রাখা, নখ কাটা, বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা ও নাভীর নিচের লোম মুণ্ডিয়ে ফেলার জন্য আমাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছিল। যেন আমরা এক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের বেশি দেরি না করি। (মুসলিম, হাদিস: ২৫৮)।

অনেকে মাঝে মাঝে নখ মুখে পুরে কামড়াতে থাকেন। একে বদভ্যাসের মধ্যে গণ্য করা হয়। এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। পাশাপাশি ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি ভালো কাজ নয়। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রত্যেক কাজ নির্দিষ্ট নিয়মেই পালন করা উচিত। সে হিসেবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা মাকরূহ। ইবনে আবেদীন রহ. বলেছেন, ‘নখ কাটা মুস্তাহাব। তবে দাঁত দিয়ে কাটা মাকরূহ।

প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম নববী (রহ.) এ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, নখ কাটা সবার মতে সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের উভয় হাত-পা সমান পর্যায়ের। (আলমাজমুউ: ১/৩৩৯)।

অনেকে মাঝে মাঝে নখ মুখে পুরে কামড়াতে থাকেন।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!

১. সাধারণত এক  প্রয়োজনে মাসে চারটি  প্রশ্ন করা। যদি একান্ত আর্জেন্ট কোনো প্রশ্ন না হয় যার উত্তর পরবর্তী মাসেও জানলে সমস্যা নেই এমতাবস্থায় পরবর্তী মাসে প্রশ্ন করার চেষ্টা করা ।  তবে বিশেষ প্রয়োজনে  যদি কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট করে  তাহলে তা জায়েজ আছে।  তবে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।

২. একে বদভ্যাসের মধ্যে গণ্য করা হয়। এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। পাশাপাশি ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি ভালো কাজ নয়। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রত্যেক কাজ নির্দিষ্ট নিয়মেই পালন করা উচিত। সে হিসেবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা চামড়া কাটা মাকরূহ। ইবনে আবেদীন রহ. বলেছেন, ‘নখ কাটা মুস্তাহাব। তবে দাঁত দিয়ে কাটা মাকরূহ। এটা কুষ্ঠরোগীদের আলামত। - রদ্দুল মুহতার, ২/৪০৫


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...