ওয়া
আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু
بسم
الله الرحمن الرحيم
জবাব,
ইসলামে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব
অপরিসীম। হাদিসে বিভিন্ন উপায়ে পরিচ্ছন্নতার গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে এবং নানাবিধ শিক্ষা
দেওয়া হয়েছে। এমনকি পরিচ্ছন্নতা রক্ষাকে ঈমানের অংশ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। চুল, গোফ,
অবাঞ্ছিত লোম পরিস্কার ও নখ কাটাও পবিত্রতার অংশ। নখ কাটাকে মানুষের স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্য
বলা হয়েছে। নারী-পুরুষের দায়েমী সুন্নতের মধ্যেও নখ কাটা অন্তর্ভুক্ত। আবু মালেক আশআরি
(রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ঈমানের অর্ধেক। ’ (মুসলিম,
হাদিস নং: ২২৩)
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, ফিতরাত হলো পাঁচটি বিষয়, খৎনা করা, নাভির নিচের লোম পরিষ্কার করা, নখ কাটা,
বগলের পশম উপড়ে ফেলা এবং গোঁফ খাটো করা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ২৯২)।
আরেক হাদিসে বলা হয়েছে, ফিতরাত দশটি:
এর মধ্যে নখ কাটাও রয়েছে। এ ব্যাপারে হজরত আনাস (রা.) বলেন, গোঁফ ছোট রাখা, নখ কাটা,
বগলের লোম উপড়িয়ে ফেলা ও নাভীর নিচের লোম মুণ্ডিয়ে ফেলার জন্য আমাদের সময়সীমা নির্দিষ্ট
করে দেয়া হয়েছিল। যেন আমরা এক্ষেত্রে চল্লিশ দিনের বেশি দেরি না করি। (মুসলিম, হাদিস:
২৫৮)।
অনেকে মাঝে মাঝে নখ মুখে পুরে কামড়াতে
থাকেন। একে বদভ্যাসের মধ্যে গণ্য করা হয়। এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়।
পাশাপাশি ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি ভালো কাজ নয়। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য
রয়েছে। প্রত্যেক কাজ নির্দিষ্ট নিয়মেই পালন করা উচিত। সে হিসেবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা
মাকরূহ। ইবনে আবেদীন রহ. বলেছেন, ‘নখ কাটা মুস্তাহাব। তবে দাঁত দিয়ে কাটা মাকরূহ।
প্রখ্যাত হাদিস বিশারদ ইমাম নববী (রহ.)
এ সংক্রান্ত হাদিসের ব্যাখ্যায় বলেন, নখ কাটা সবার মতে সুন্নাত। এ ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের
উভয় হাত-পা সমান পর্যায়ের। (আলমাজমুউ: ১/৩৩৯)।
অনেকে মাঝে মাঝে নখ মুখে পুরে কামড়াতে
থাকেন।
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
১. সাধারণত এক প্রয়োজনে
মাসে চারটি প্রশ্ন করা। যদি একান্ত আর্জেন্ট
কোনো প্রশ্ন না হয় যার উত্তর পরবর্তী মাসেও জানলে সমস্যা নেই এমতাবস্থায় পরবর্তী
মাসে প্রশ্ন করার চেষ্টা করা । তবে বিশেষ প্রয়োজনে যদি কেউ একাধিক অ্যাকাউন্ট করে তাহলে তা জায়েজ আছে। তবে অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
২. একে বদভ্যাসের মধ্যে গণ্য করা হয়।
এই অভ্যাস শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। পাশাপাশি ইসলামের দৃষ্টিতেও এটি ভালো কাজ
নয়। প্রত্যেকটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। প্রত্যেক কাজ নির্দিষ্ট নিয়মেই
পালন করা উচিত। সে হিসেবে দাঁত দিয়ে নখ কাটা বা চামড়া কাটা মাকরূহ। ইবনে আবেদীন রহ.
বলেছেন, ‘নখ কাটা মুস্তাহাব। তবে দাঁত দিয়ে কাটা মাকরূহ। এটা কুষ্ঠরোগীদের আলামত।’ - রদ্দুল মুহতার, ২/৪০৫