আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
53 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
আমি ৭ মাসের প্রেগন্যান্ট। আমার শ্বশুর মারা গেছে ১০ দিন হলো।আমি এখন আমার স্বামীর সাথে দিনাজপুরে আছি।আমার আল্ট্রাসাউন্ড করানো হয় গতকাল।ধরা পরে আমার বাচ্চার ওজন কম।আমার আম্মু নরসিংদী থাকেন।তিনি খুব জোর দিয়ে বলছেন আমি যেনো তার কাছে নরসিংদী চলে যাই।আমার সামনে অনার্স ফাইনাল ইয়ারের দুইটা ভাইবাও বাকি রয়ে গেছে যেটা এই মাসের শেষে হতে পারে।এমতাবস্থায় আমার স্বামীকে রেখে আমি নরসিংদী যেতে চাচ্ছি না।বা ঢাকায় গিয়ে অনার্সের পরীক্ষাও দিতে চাচ্ছি না।কারণ ডাক্তার আমাকে জার্নি করতে কঠোর ভাবে মানা করেছেন। আমার স্বামীও চাচ্ছে আমি যেন তার কাছেই থাকি।


এই সিচুয়েশনে আমি যদি দিনাজপুরে থেকে যাই আল্লাহ না করুক আমার বাচ্চার কিছু হয়ে যায় তবে আমাকে তো জবাবদিহিতা করতে হবে আল্লাহ তায়ালার কাছে।ধর্মীয় দৃষ্টি কোণ থেকে এর একটু গুছানো সমাধান দিবেন যে স্বামীর আদেশ পালন করতে গিয়ে গর্ভের সন্তানের হক নষ্ট যদি হয়ে যায় তবে কে দায়ী থাকবে।নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল কিছু নিয়ন্ত্রণকারী।

জাযাকুমুল্লাহু খইরান ফিদ্দুনিয়া ওয়াল আখিরাহ

1 Answer

0 votes
by (551,490 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم

শরীয়তের বিধান হলো স্বামীর বৈধ আদেশ পালন করা ওয়াজিব।  

হাদীস শরীফে  এসেছে-

একবার এক নারী সাহাবী রাসূলের কাছে এলেন নিজের কোনো প্রয়োজনে। যাওয়ার সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি স্বামী আছে? তিনি বললেন, জী, আছে। নবীজী বললেন, তার সাথে তোমার আচরণ কেমন? সে বলল, আমি যথাসাধ্য তার সাথে ভালো আচরণ করার চেষ্টা করি। তখন নবীজী বললেন, فانظري أين أنت منه، فإنما هو جنتك ونارك
 হাঁ, তার সাথে তোমার আচরণের বিষয়ে সজাগ থাকো, কারণ সে তোমার জান্নাত বা তোমার জাহান্নাম। (মুআত্তা মালেক, হাদীস ৯৫২; মুসনাদে আহমাদ, ৪/৩৪১ হাদীস ১৯০০৩; মুসতাদরাকে হাকেম, হাদীস ২৭৬৯; সুনানে কুবরা, বায়হাকী, হাদীস ১৪৭০৬)

অপর হাদীসে এসেছে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
إذا صلت المرأة خمسها ، وصامت شهرها ، وحصنت فرجها ، وأطاعت زوجها قيل لها : ادخلي الجنة من أي أبواب الجنة شئت
নারী যখন পাঁচ ওয়াক্ত  নামায ঠিকমত আদায় করবে, রমযানের রোযা রাখবে,  আপন লজ্জাস্থানের হেফাযত করবে,  স্বামীর আনুগত্য করবে তখন সে  জান্নাতের যেই দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে। (সহীহ ইবনে হিব্বান,  হাদীস ৪১৬৩)
,
আরো জানুনঃ  

★সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
স্বামীর আদেশ পালন করতে গিয়ে গর্ভের সন্তানের হক নষ্ট যদি হয়ে গেলে তবে স্বামী দায়ী থাকবে।

তবে বিশেষ জরুরত হলে তাহা ভিন্ন কথা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামী আপনাকে মায়ের বাসায় পাঠাতে না চাইলে দিনাজপুর স্বামীর কাছে থেকে যাওয়াই উচিত বলে মনে করছি। 

তবে দিনাজপুরে থাকলে বাচ্চার সমস্যা হলে সেক্ষেত্রে নরসিংদী গিয়ে মায়ের কাছে থাকলে যদি বাচ্চার উক্ত সমস্যা কেটে যায়,সেক্ষেত্রে স্বামীর জন্য উচিত আপনাকে নরসিংদী যাওয়ার অনুমতি দেয়া।

তবে ডাক্তার যেহেতু আপনাকে জার্নি করতে কঠোর ভাবে মানা করেছেন।
আর দিনাজপুর থেকে নরসিংদী যেতে হলে তো আপনাকে জার্নি করতেই হবে,তাই এমতাবস্থায় দিনাজপুর স্বামীর কাছে থেকে যাওয়াই আপনার জন্য উচিত বলে মনে করছি।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...