ওয়া আলাইকুম আসসালা ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দেশের সার্বিক অবস্থা নিমিষেই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল,সেনাবাহিনী কর্তৃক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা।যেমন মিসরের মুরসি সরকারকে সেনাবাহিনী নিমিষেই উৎখাত করে দেয়।এভাবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমরই আরব রাষ্ট্র সমূহ টিকে আসে।অতীতে এই সেনাবাহিনীর মাধ্যমরই মূলত সাম্রাজ্যবাদ নির্ধারিত হত।যার সেনাবাহিনী যত মজবুত হত,সে তত বড় সাম্রাজ্যবাদী হতো।
বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়,তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।
সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন,তাদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।
সুতরাং যদি কোনো দ্বীন দরদী সেনা সদস্যর কাছ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসে,তাহলে সেই প্রস্তাবকে গ্রহণ করা যাবে।বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদান্য দেওয়াই মূল বিষয়।
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ)
চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তাগুতের অধীনে চাকুরী করা নাজায়েয ফাতাওয়া দিলে,বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কোথাও কারো জন্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করা জায়েয হবে না।আর এভাবে নাজায়েয বলে সরকার থেকে দূরে থাকা মানা নিজের বিপদকে ডেকে নিয়ে আসা।সুতরাং এরকম ফাতাওয়া হেকমতের উল্টো।তাই,আপনি উক্ত পাত্রের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারবেন।