আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
692 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)

আসসালামু আলাইকুম।

আমার বাসা থেকে কয়েকদিনের ভিতর বিবাহ দেওয়ার জন্য মনস্থির করেছে। দেখতে এসে পছন্দ হলেই বিয়ে হয়ে যাবে এমন পরিস্থিতি। কিন্তু তারা যে প্রস্তাব এনেছে এতে আমার কি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বুঝছি না। তাই আপনাদের কাছে পরামর্শ চাচ্ছি।

ছেলে আর্মিতে ক্যাপ্টেনে জব করে। সে নামাজি, দ্বীনদার বলে আমাকে জানানো হয়েছে। তার ফ্যামিলিও দ্বীনদার। তারা দুইভাই, ছোটভাই হাফেজি পড়ছে। তারা পূর্ব থেকেই আমাদের পরিচিত। ছেলের ফ্যামিলি ভালো, ছেলেও ভালো। আর তারা দ্বীনদার পর্দানশীল মেয়েই চাচ্ছে। তাই আমার পরিবারের সবাই রাজি।

কিন্তু রিসেন্টলি একটা দ্বীনীবোনদের গ্রপ থেকে কিছু বোনেরা বলছে, এদের বিবাহ করা নাজায়েজ। কারন এরা তাগুড রাষ্ট্রের আন্ডারে কাজ করে।

এখন আমাকে এসম্পর্কে একটু তাড়াতাড়ি জানাবেন ইন শা আল্লাহ। জাযাকাল্লাহ।

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুম আসসালা ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
দেশের সার্বিক অবস্থা নিমিষেই পরিবর্তনের সবচেয়ে বড় মাধ্যম হল,সেনাবাহিনী কর্তৃক কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা।যেমন মিসরের মুরসি সরকারকে সেনাবাহিনী নিমিষেই উৎখাত করে দেয়।এভাবে সেনাবাহিনীর মাধ্যমরই আরব রাষ্ট্র সমূহ টিকে আসে।অতীতে এই সেনাবাহিনীর মাধ্যমরই মূলত সাম্রাজ্যবাদ নির্ধারিত হত।যার সেনাবাহিনী যত মজবুত হত,সে তত বড় সাম্রাজ্যবাদী হতো।

বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর অধিকাংশই যদি ইসলামপন্থি হয়ে যায়,তাহলে দেশের অবস্থায় আমূল পরিবর্তন চলে আসবে।

সুতরাং দ্বীনদ্বার ব্যক্তিবর্গর জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া অত্যন্ত অপরিহার্য। বিশেষকরে যাদের ইসলাম নিয়ে চিন্তাভাবনা রয়েছে।যারা ইসলামের স্বার্থকে সর্বদা মাথায় রাখেন,তাদের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়া সময়ের দাবী।


সুতরাং যদি কোনো দ্বীন দরদী সেনা সদস্যর কাছ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসে,তাহলে সেই প্রস্তাবকে গ্রহণ করা যাবে।বিয়ের ক্ষেত্রে দ্বীনদারিত্বকে প্রদান্য দেওয়াই মূল বিষয়।

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ عَنْ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ( تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا ، وَلِحَسَبِهَا ، وَلِجَمَالِهَا ، وَلِدِينِهَا ، فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدِّينِ تَرِبَتْ يَدَاكَ) 

চারটি জিনিস দেখে মহিলাকে সাধারণত বিয়ে করা হয়,(১)সম্পদ(২)বংশ(৩)সুন্দর্য্য (৪)দ্বীনদারী
তুমি দ্বীনদারীকে অগ্রাধিকার দাও।
{যদি তা না করো তবে তুমি ক্ষতিগ্রস্ত হবে(تَرِبَتْ يَدَاكَ এর অনেক ব্যাখার একটি ব্যাখা)}(সহীহ বুখারী-৪৮০২সহীহ মুসলিম-১৪৬৬)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/18


প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
তাগুতের অধীনে চাকুরী করা নাজায়েয ফাতাওয়া দিলে,বাংলাদেশ সহ বিশ্বের কোথাও কারো জন্য সরকারী ডিপার্টমেন্টে চাকুরী করা জায়েয হবে না।আর এভাবে নাজায়েয বলে সরকার থেকে দূরে থাকা মানা নিজের বিপদকে ডেকে নিয়ে আসা।সুতরাং এরকম ফাতাওয়া হেকমতের উল্টো।তাই,আপনি উক্ত পাত্রের প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown by
শাইখ, এই ফাতওয়াগুলা একটু পর্যালোচনা করে জানালে উপকৃত হবো-
by
আসসালামু আলাইকুম 
আমার পরিবার থেকে আমাকে একজন সেনাবাহিনীকে বিয়ে করার জন্য বলতেছে। কিন্তু আমি যে একজন দ্বীনদার পাত্র চাই । আমি জেনারেল লাইনে পড়ি তাই বলে কি আমি একজন দ্বীনদার আলেম চাইতে পারিনা।  আমার পরিবারের পছন্দ সেনাবাহিনী ছেলেটা নাকি দ্বীনদার । কিন্তু সে যদি দ্বীনদারই থাকে তাহলে আর্মিতে যারা জব করে তাদের তো দাড়ি রাখতে দেয় না রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সুন্নতি পন্থা অবলম্বন  করে না, এটা কি জায়েজ??

 আমি জেনে বুঝে এটা কি পরিবারের কথা মেনে নিতে হবেই মা বাবা কথা মেনে নিতেই হবে??? মা বাবাকে বলার পরে তারা বলে সেটা নাকি হিসাব দিবে ওই ছেলে,,,  আমাকে বলে আমি নাকি তাদের কথা শুনি না ,,এটা নাকি পাপ ,,আমি এখন কি করতে পারি
by (590,550 points)
আপনার জন্য এমনকি সবার জন্য উচিৎ, একজন আলেম বা সুন্নহ কে মেনে চলেন, এমন কারো সাথে সংসার করা। সুতরাং আপনি আলেমের সাথে বিবাহকে চাইতেই পারেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...