আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
76 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (3 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহু

১ম প্রশ্ন -

ওস্তাদ, আজকে শুনলাম মহানবী (স:) কে নিয়ে কটূক্তি করায় বিক্ষিপ্ত জনতা একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছেলেকে হত্যা করে ফেলেছে। কাউকে হত্যা করে ফেলার এই বিষয়টি কতটুকু যুক্তিযুক্ত বা এ বিষয়ক কি কোনো মাসআলা বা হাদীস আছে?

ঘটনাটি শোনার পর থেকে আসলে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছি।

 

২য় প্রশ্ন -

 

আমার ভার্সিটিতে টানা অনেক সময় ক্লাস থাকে তাই মোটামুটি ২,৩ ওয়াক্ত সালাত পাই।আর সে সময় পরিচ্ছন্নতা রক্ষা (সাদাস্রাব জনিত সমস্যার জন্য), ওযু করাটা খুবই ঝামেলাপূর্ণ হয়ে যায়। কারণ হিজাব খুলে বারবার ওযু করা, ওয়াশরুমে যাওয়াটা খুবই ঝামেলা হয়ে দাঁড়ায়। মহিলা ওয়াশরুম, ওজুখানার পাশেই ছেলেদের ওজুখানা আর মেয়েদের অজুখানা থেকে মেয়েদের নামাজের রুমে আসতে হলে ছেলেদের অযুখানা দেখা যায়। এমতাবস্থায় সব সময় ওয়াসওয়াসা কাজ করে আর মেয়ে হিসেবে বাইরে ওযু বারবার করতেও কষ্ট হয় যেহেতু সাদাস্রাবজনিত সমস্যায় ভুগছি। বারবার ওয়াশরুমে যাওয়া, ওযু করা এই ভীতির জন্য নামাজ কাজা হয়ে যায়। আমি বাসা থেকে বের হবার সময় ওযু করে বের হলেও মনের মধ্যে সংশয় কাজ করে যে ওযু আছে কিনা। আর এ বিষয়ক কোনো সঠিক মাসআলা না পাওয়ায় বাহিরে গেলে ওয়াশরুমে যাবার ঝামেলার জন্য আর তখন নামাজ পড়া হয় না। এমতাবস্থায় কি করণীয় জানতে পারলে মুনাসিব হতো।

 

কোথাও ভুল হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

যাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (58,830 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/4867  নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,  শাতিমে রাসূল কে হত্যা করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি নাএ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না। ইমাম আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ. এর মতে মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।

মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত রয়েছে,

إن قتله إنسان قبل الاستتابة يكره له ذلك ولا شيء عليه لزوال عصمته بالردة

যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে, তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে। তবে   হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}

শাতিমে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধান হলএই শাতিম কে হত্যা করা ওয়াজিব। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জনগণ নিজের হাতে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে পারবে না। ইসলামী হুকুমত সম্বলিত কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যদি হত্যা করে ফেলেতাহলে এই হত্যা মাকরুহ হবে। তবে যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেখানকার জনগণের জন্য শাতিমকে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না। বরং এই শাতিমের ফাসির জন্য যথাসাধ্য আন্দোলন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-  https://www.ifatwa.info/2689

রাসূল সাঃ কে গালী দেওয়ার শাস্তি শরীয়তে হত্যা করা। যদি এই বিধানকে কেউ অস্বীকার করেতবে তার ঈমানকে নবায়ন করতে হবে। শাতিমে রাসূল সাঃ এর শাস্তি হত্যা। এ আইন সরকার করবে এবং সরকার তার বাস্তবায়ন করবে।

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. প্রথম প্রশ্নের উত্তর উপরে দেওয়া হয়েছে। উপরের লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এবিষয়ে আর কোন সংশয় থাকবে না ইনশাআল্লাহ।

২. আপনি ওয়াসসওয়াসা পরিত্যাগ করে নামাজের ওয়াক্ত হলে ওযু করে নামাজ আদায় করবেন।  ছেলেদের অজু খানার পাশ দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সময় নজর হেফাজত করবেনকোন ছেলের দিকে তাকাবেন না।  পর্দা রক্ষা করে যতদূর সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করবেন এবং সালাত আদায় করবেন। ওয়াসওয়াসার কারণে কোন অবস্থাতেই নামাজ ত্যাগ করা যাবে না। আরো জানুন: https://ifatwa.info/92075/


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...