ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া
বারাকাতুহু
بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://www.ifatwa.info/4867
নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, শাতিমে রাসূল কে হত্যা
করা ওয়াজিব।শাতিমের রাসূল সাঃ এর অপরাধ মুরতাদের মত নাকি তারচেয়ে বেশী? মুরতাদের মত শাতিমের তাওবাহ কবুল হবে কি না? এ সম্পর্কে উলামাদের মতবিরোধ রয়েছে।ইমাম মালিক রাহ ও ইমাম আহমদ
রাহ, বলেন,তাওবাহ কবুল হবে না। ইমাম
আবু হানিফা রাহ ও ইমাম শা'ফেয়ী রাহ. এর মতে মুরতাদের
মত শাতিমের তাওবাহ ও কবুল হবে।
মুরতাদ সম্পর্কে বর্ণিত
রয়েছে,
إن قتله إنسان قبل
الاستتابة يكره له
ذلك ولا شيء
عليه لزوال عصمته بالردة
যদি ঘটনাক্রমে কেউ মুরতাদকে
তওবা করার পূর্বেই হত্যা করে ফেলে,
তাহলে কাজটি মাকরূহ হবে।
তবে হত্যাকারীর উপর কোন কেসাস বা দিয়ত কিছুই
ওয়াজিব হবে না।কেননা মুরতাদ হওয়ার দরুণ তার রক্ত মূল্যহীন হয়ে গেছে।{বাদায়ে সানায়ে-৭/১৩৪}
শাতিমে রাসূলুল্লাহ সাঃ
এর বিধান হল, এই শাতিম কে হত্যা করা ওয়াজিব। এটা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। জনগণ নিজের হাতে শরয়ী বিধি-বিধান বাস্তবায়নের দায়িত্ব নিতে পারবে না। ইসলামী
হুকুমত সম্বলিত কোনো রাষ্ট্রের জনগণ যদি হত্যা করে ফেলে, তাহলে এই হত্যা মাকরুহ হবে। তবে যেখানে ইসলামী হুকুমত নেই, সেখানকার জনগণের জন্য শাতিমকে হত্যা করা কখনো জায়েয হবে না। বরং
এই শাতিমের ফাসির জন্য যথাসাধ্য আন্দোলন করতে হবে। বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/2689
রাসূল সাঃ কে গালী দেওয়ার
শাস্তি শরীয়তে হত্যা করা। যদি এই বিধানকে কেউ অস্বীকার করে, তবে তার ঈমানকে নবায়ন করতে হবে। শাতিমে রাসূল সাঃ এর শাস্তি
হত্যা। এ আইন সরকার করবে এবং সরকার তার বাস্তবায়ন করবে।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ
ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রথম প্রশ্নের উত্তর
উপরে দেওয়া হয়েছে। উপরের লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়লে এবিষয়ে আর কোন সংশয় থাকবে না ইনশাআল্লাহ।
২. আপনি
ওয়াসসওয়াসা পরিত্যাগ করে নামাজের ওয়াক্ত হলে ওযু করে নামাজ আদায় করবেন। ছেলেদের অজু খানার পাশ দিয়ে অতিক্রম হওয়ার সময়
নজর হেফাজত করবেন, কোন ছেলের দিকে তাকাবেন না। পর্দা রক্ষা করে যতদূর সম্ভব পবিত্রতা অর্জন করবেন
এবং সালাত আদায় করবেন। ওয়াসওয়াসার কারণে কোন অবস্থাতেই নামাজ ত্যাগ করা যাবে না।
আরো জানুন: https://ifatwa.info/92075/