আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
40 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (3 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ।

১. আমি অনলাইনে একটি কোর্স করছি। যেটিতে লেখা ছিল মনোযোগ দিয়ে ক্লাস গুলো দেখতে হবে, ক্লাস দেখার পরে নোট পড়তে হবে তারপর পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ক্লাস করার সময় আমার মনোযোগ থাকে না কখনো  কখনো।  আর আমি কখনো  কখনো  যদি ক্লাস দেখার পরে নোট না পড়ে ক্লাস দেখার আগে নোট পড়ি। ক্লাস না দেখে যদি আমি অন্য দিকে তাকিয়ে ক্লাস যাস্ট শুনি, যেমন ধরুন আমি ক্লাসে টিচারের লেকচার শুনছি এবং খাতার দিকে তাকিয়ে টিচারের বলা কথা গুলো নোট করছি কিংবা অন্য যেকোনো দিয়ে তাকিয়ে আছি কোনো কারণে কিংবা কারণ ছাড়াই ইত্যাদি কারণে  কি কোর্সের সার্টিফিকেট গ্রহণ করা আমার জন্য বৈধ হবে? এবং ওই সার্টিফিকেটে মাধ্যমে আমি কি অর্থ উপার্জন করতে পারব। এক্ষেত্রে আমার উপার্জন কি হালাল হবে?
উল্লেখ্য যে, সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় পরীক্ষার রেজাল্টেটে উপর ভিত্তি করে এবং আমি পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির সাহায্য নিইনি। এক্ষেত্রে আমি সম্পূর্ণ সৎ থেকেছি, বি ইযনিল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ।


২।  কুরআন তিলাওয়াতের সময় যদি মাদ্দ এবং গুন্নাহ্'র ডিউরেশন যদি ঠিক না হয় তাহলে কি কুরআনের অর্থের বিকৃতি ঘটতে পারে? যেমন: আমি যদি ৩ আলিফ মাদ্দের জায়গায় ৪ আলিফ মাদ্দ করি কিংবা ৪ আলিফের জায়গায় ৩ আলিফ মাদ্দ করে ফেলি অথবা ১ আলিফের জায়গায় ২ আলিফ তাহলে কি লাহানে জালি হবে? আর হরফ গুলি যদি পরিপূর্ণ সঠিকভাবে উচ্চারণ না হয় কিন্তু হুবহু অন্য হরফের মতোও না হয় তাহলে কি লাহানে জালি হবে?

1 Answer

0 votes
by (54,300 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

আমরা তাজবিদ সংক্রান্ত কিছু মাসয়ালা জেনে নেইঃ “তাজবিদ ও কিরাআতবিদগণ কর্তৃক উল্লেখিত তাজবিদের নিয়ম-কানুনগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেয়া ভালো। এটি কিরাআত সুন্দর করার অন্তর্গত। যেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,

« زَيِّنُوا الْقُرْآنَ بِأَصْوَاتِكُمْ »

“তোমরা সুন্দর কণ্ঠে কুরআন তিলাওয়াত কর।” [হাদিসটি ইমাম আহমদ, ইবনে মাজাহ, নাসায়ী ও হাকেম রহ. হাদিসটি বর্ণনা করেছেন এবং তা সহীহ]

সুতরাং যদি গুন্নাহ, তারকিক (বারিক/চিকন করা), তাফখিম (পোর/মোটা করা) ইত্যাদির প্রতি লক্ষ্য রাখা হয় তাহলে তা উত্তম। কিন্তু আমার কাছে যা মনে হয় এটা আবশ্যক নয়-যদি স্পষ্টভাবে ত্রটি-বিচ্যুতি ছাড়া পাঠ করে।”

 শাইখ সালেহ আল ফাউযান (হাফিযাহুল্লাহ) বলেন,

قراءة القرآن بالتجويد مستحبة من غير إفراط، وليست واجبة، وإنما الواجب تجويد القرآن من اللحن والخطأ في الإعراب

“তাজবিদ সহ কুরআন তিলাওয়াত করা মুস্তাহাব। তবে এ ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটা ওয়াজিব নয়। বরং ওয়াজিব হল, ইরাব (উচ্চারণ ও প্রকাশ করা) এর ক্ষেত্রে ভুল-ত্রুটি থেকে মুক্ত করে সুন্দরভাবে কুরআন তিলাওয়াত করা।”

শাইখ উসাইমিন রহ. বলেন,

أما التجويد فليس بواجب، التجويد تحسين للفظ فقط، وتحسين اللفظ بالقرآن لا شك أنه خير، وأنه أتم في حسن القراءة، لكن الوجوب بحيث نقول من لم يقرأ القرآن بالتجويد فهو آثم قول لا دليل عليه، بل الدليل على خلافه

“আর তাজবিদ ওয়াজিব নয়। তাজবিদ শব্দকে সুন্দর করে মাত্র। কুরআনের শব্দকে সুন্দর করা নি:সন্দেহে কল্যাণকর। এটি কিরাআতকে সুন্দর করার ক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গতা দান করে। কিন্তু তাজবিদকে ওয়াজিব বলা অর্থাৎ “এ কথা বলা যে, যে ব্যক্তি তাজবিদ অনুযায়ী কুরআন পড়বে না সে গুনাহগার হবে” এর পক্ষে কোনও দলিল নাই। বরং এর বিপরীতেই দলিল রয়েছে।”

★★যাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত সম্ভব। শুধুমাত্র তাদের জন্যই পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব।আর যাদের বেলায় সম্ভব নয়, তাদের জন্য পূর্ণ তাজবিদ সহকারে কুরআন তেলাওয়াত করা ওয়াজিব নয়।বরং অর্থে পরিবর্তন আসেনা এমনকরে কুরআন পড়াই তাদের জন্য যথেষ্ট হবে।এমনকি তারা পূর্ণ তাজবিদ সহকারে না পড়লেও তাদের কোনোপ্রকার গোনাহগার হবেন না। (শরহু তাইয়্যিবাতুন-নাশর-৬৩)

আরো জানুনঃ

https://ifatwa.info/11627/

https://ifatwa.info/11588/  

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. ক্লাস চলাকালীন সময়ে টিচারের  নির্দেশ অনুযায়ী ক্লাসের আদব রক্ষা করে ক্লাস করা প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য উচিত । যদি কেউ ক্লাসে অমনোযোগী থাকে তাহলে সে ক্লাসের পূর্ণ ফায়দা লাভ করতে পারবে না। এতে তারই ক্ষতি হবে। যদি কেউ ইচ্ছাকৃত ভাবে ক্লাসে অমনোযোগী হয় তাহলে এতে  ক্লাসের হক আদায় হয় না।

তবে প্রশ্নেল্লিখিত ছুরতে আপনি যদি উক্ত সার্টিফিকেট পরীক্ষায় নকল করে অর্জুন না করেন তাহলে উক্ত সার্টিফিকেট আপনার জন্য বৈধ এবং আপনি উক্ত সার্টিফিকেট দিয়ে জব করে উপার্জন করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। আরো জানুন: https://ifatwa.info/44807/

২. মদ অনুযায়ী নামাজ আদায় না করলে এক্ষেত্রে বিধান হলো যদি টান থাকা সত্ত্বেও টান না দেওয়া হয়,বা তিন/চার আলিফের জায়গায় এক আলিফ টানা হয়, এক্ষেত্রে নামাজের কোনো সমস্যা হবেনা। কিন্তু যেখানে টান নেই, সেখানে টান দিলে প্রায়ই অর্থ বিকৃত হয়ে যায়। আর শরীয়তের বিধান হলো নামাজে অর্থ বিকৃত হলে নামাজ ফাসেদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...